সত্য কথা বলি, সৎ পথে চলি......বুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর কথা কে না জানে?
তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড-কে হত্যা চেষ্টার জন্য তাকে ফাঁসি বরণ করতে হয়। এই বিপ্লবীর প্রতি রইলো অগনিত শ্রদ্ধা।
ক্ষুদিরাম বসুর এই মৃত্যু নিয়ে পরবর্তিতে লোকগীতিকার পিতাম্বর দাস রচনা করেন বিখ্যাত গান "একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি"।
গানটির দুটো পংক্তি আমাকে খানিকটা প্রশ্নবিদ্ধ করে।
গানটির দুটো পংক্তিতে বলা হয়েছেঃ
দশ মাস দশদিন পরে
জন্ম নেব মাসির ঘরে মাগো
তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি’।
ধর্মীয় এবং বৈজ্ঞানিক দুটি দৃষ্টিকোণ থেকেই কথাগুলো প্রশ্নের সম্মুখিন হওয়ার কথা। হয়তো বিপ্লবী ও দেশপ্রেম সম্বন্ধিয় বলে গানটি কোনো ধর্মবেত্তা কিংবা বিজ্ঞানীর বিশ্লেষণের স্বীকার হয়নি।
তা যাই হোক গানটি নিয়ে আমার প্রশ্নগুলো নিচে লিখলামঃ
ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে
হিন্দুরা পুনঃর্জন্মে বিশ্বাসী। তাদের মতে মৃত্যু বলতে আমরা যা দেখি তা কেবল দেহের ক্রিয়ার সমাপ্তি, আত্মার সমাপ্তি নয়। আত্মা অমর, অনাদি, অনন্ত।
মানুষ যেমন পুরাতন বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন বস্ত্র ধারণ করে। আত্মাও তেমনি পুরাতন দেহ পরিত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করে। সুতরাং, পুনঃর্জন্ম আত্মার হয় দেহের নয়।
যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে দশমাস দশদিন পরে যখন ক্ষুদিরামের আত্মার পুনঃর্জন্ম হবে তাহলে কেমন করে তার গলার ফাঁসির দাগ টিরও পুনঃর্জন্ম হবেগো দাদা!!!!!!!!!!!!!!!
আর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে পুনঃর্জন্মের কোনো ভিত্তিই নেই। তাইলে কেমনে পিতাম্বর বাবু এই হিসাব মিলাইলেন আর তা এক বিখ্যাত গান হইয়া গেলো।
[বিঃদ্রঃ আগেই উল্লেখ করিয়াছি যে এই পোস্ট খানা রসিকতা করিয়া । আসলে এই গানটি আমারো খুব প্রিয় একটি গান ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।