আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে বর্তমান সরকারের কালজয়ী উদ্দ্যোগ!

বেপোয়া মানুষ কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বর্তমান সরকার উদ্দ্যোগ গ্রহন করার সাথে সাথে আগ্রহী হয়ে উঠছে দাতারা। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে সরকারকে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দরটি নির্মিত হলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই দশক আগে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করে সরকার।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই যে ৭টি প্রকল্প বিশেষ মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে এ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প। এ বিষয়ে গঠিত ফাস্ট ট্রাক মনিটরিং কমিটির প্রথম সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ দ্রুত করতে তাগিদ দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত ৬টি দেশ এ বন্দর নির্মাণে বড় অঙ্কের বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে। এগুলো হলো- ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও জার্মানি।

এ বন্দরটি নির্মাণ হলে মাত্র ১ শতাংশ আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পন্ন হবে। দেশের আমদানি-রফতানির কাজে বাকি ৯৯ শতাংশ ব্যবহার হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলো পণ্য পরিবহন কমাতে ও সময় বাঁচাতে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এজন্য ভারতে সাত হাজার টিইউস, শ্রীলঙ্কায় আট হাজার টিইউস ক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেইনার জাহাজ আসতে পারে। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হলে ৪ হাজার টিইউস ক্ষমতাসম্পন্ন কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসতে পারবে।

কারণ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের গভীরতা কম থাকায় বড় জাহাজ আসতে পারে না। লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে পণ্য গভীর সমুদ্র থেকে বন্দরে আনতে হয়। গভীর সমুদ্রবন্দর হলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর বন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। বর্তমানে বড় জাহাজগুলো গভীরতা কম থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে না। সিঙ্গাপুরে পণ্য খালাস করার পর সেটি ছোট জাহাজে করে বন্দরে আনা হচ্ছে।

এ গভীর সমুদ্রবন্দরটি স্থাপিত হলে সরাসরি বড় জাহাজগুলো ভিড়তে পারবে। ফলে সময় ও পরিবহন খরচ কয়েক গুণ কমে আসবে। এর ফলে সবচেয়ে উপকারভোগী হবে তৈরি পোশাক খাত। এ সরকারের আমলে ৪৩ বছর মেয়াদী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে মোট ৫৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করা হয়। তিন পর্যায়ে এ বন্দর নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ‘গভীর সমুদ্রবন্দর সেল’ নামের একটি সেলেরও উদ্বোধন করা হয়।

২০১১ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ২০১৬ সাল নাগাদ প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়। প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ করতে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০৩৫ সাল নাগাদ দ্বিতীয় পর্যায়ের এবং আগামী ২০৫৫ সাল নাগাদ নির্মাণ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.