সময়ের সাথে...... সারাজীবন অন্যের ব্যাপারে রাজনীতির ময়দানে আক্রমণ ভাগের তুখোড় খেলোয়াড় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের আজ অগ্নিপরীক্ষার দিন।
কিছুই জানি না বলে সুরঞ্জিতের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। না আমার কাছে, না মানুষের কাছে। শালীর বিয়ে, লন্ডন থেকে শ্যালক পাঠিয়েছে ৩০ লাখ টাকা, বৌ গাড়িতে টাকা তুলে দিয়েছে, চালক পিলখানায় গাড়ি নিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে_ এপিএস ফারুকের এমন বক্তব্য আষাঢ়ে গল্পের মতো মনে হয়েছে।
সুরঞ্জিত সেন রেলমন্ত্রী হয়েই বলেছিলেন, রেলের দুর্নীতির কালো বিড়াল খোঁজে বের করবেন।
আজ মানুষ বলছে, রেল পিলখানায় ঢুকে পড়ায় কালো বিড়াল দেখা গেছে। রেল কেন পিলখানায়? রেলের গন্তব্য কী জিগাতলা জংশন ছিল? যেখানে রেলমন্ত্রীর বাসভবন।
এপিএস ফারুক বলেছেন, রেলমন্ত্রীর বাসায় যাচ্ছিলেন। ফারুক গাড়িতে পাওয়া টাকা শালীর বললেও, মানুষজন বলছে রমরমা নিয়োগবাণিজ্যের অতিক্ষুদ্র দৃশ্যমান একটি অংশমাত্র। অদৃশ্য বিড়াল আরও নাদুসনুদস।
ফারুকের জন্য মায়া লাগছে। তার চাকরি চলে গেছে। দেশের প্রভাবশালী লুটেরা এপিএস সিন্ডিকেট থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি।
শেয়ারবাজার ধসের পর শেয়ার কেলেঙ্কারীর নায়কদের ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মন্তব্য করেছিলেন, শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার। আজ তো তারা উল্টো প্রশ্ন করতে পারেন, রেলের কালো বিড়াল কে? কেননা এ ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি হয়েছে তা প্রহসন ছাড়া সম্ভাবনাময় কিছু বলে মানুষ বিশ্বাস করছে না।
আওয়ামী লীগের আগের আমলে মরহুম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদের বিরুদ্ধে বা তাকে ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত দুর্নীতির কালো পাহাড় বলতেও দ্বিধা করেননি।
ভারতের লালবাহাদুর শাস্ত্রী রেল দুর্ঘটনায় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সুরঞ্জিত সেন ইস্তফা দেবেন এমনটা আমি দাবি করছি না। কিন্তু মানুষের কাছে সম্পূর্ণ প্রকৃত সত্য খোলাসা করতে তিনি অনন্য উদাহরণ রাখবেন। না হয় বিতর্কের গ্লানি তাকে তাড়া করে ফিরবে।
বিনম্র অনুরোধ করে বলব আজ অন্য কেউ রেলমন্ত্রী হলে আপনি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কি তাকে ফেরেশতা বলতেন? আয়নার সামনে দাঁড়ান। অন্তরাত্মা যা বলে তাই করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।