শুষ্ক ঠোঁটের কবিতা
উষ্ঞতার আবরন ছিড়ে বেরুতেই
খানিকটা রয়ে যাওয়া শীত
তার অস্তিত্বের জানান দিয়ে গেল ।
ভাবনা গুলো আজকাল শীতের রোগাটে নদীর মত,
জল যার ক্রমশই যাচ্ছে কমে।
দূরে বিন্দু মাত্র আলো -
যা দু চোখ ভরে দেখার জন্য যথেষ্ট নয় ।
অন্ধকারে, পা্ড়ের বাতাস আর
ভিজিয়ে দেয়া শিশিরের ফোঁটা
সমস্ত নদীর রূপশ্রী ধীরে ধীরে
জানান দিল আমার কানে কানে ।
হ্যাঁ, আমি শুনতে পেলাম তোমার ডাক ।
তোমায় দিয়েছিলাম স্বাধীনতা
খাঁচায় পু্ষলেও, তার দরজাটা
কখনো ভেজাইনি ।
চেয়েছিলাম তুমিও উড়তে শেখ
উড়ে গিয়ে বস, আমারই হাতে তৈরী
নদী তীরের ঐ খড় কুটুরে ।
সন্ধে হলে ধুপকাঠি জেলে দিতাম
সুগন্ধময় ধোয়া থেকে তুমিও উষ্ঞতা খুঁজে নিতে ।
তুমি উড়লে ঠিকই,
অচেনা কার উঠোন পেরিয়ে ;
পরের খাঁচায় বাঁধলে নিজের বাসা ।
এ খাঁচার পাশে আমার সেই নদী কোথায় ?
নেই দু চোখ ভরে দেখার মত অন্ধকার ।
তবু তুমি সুখী ?
কত দিন শিশিরের ফোঁটায়
স্নান করা হয় নি বল তো ?
হাওয়া বইলেই আমি তোমাকে ডাকতাম
ঠোঁটের ডগায় প্রাণ নিয়ে তুমি উড়ে এসে
সে প্রাণ বসিয়ে দিতে তুমি আমারই ঠোঁটে ।
আজও হাওয়া বয়,
আমি ডাক পাঠাই তোমায়
কিন্তু, আমার ঠোঁট গুলো শুষ্কই রয়ে যায় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।