ওরস শব্দের অর্থ বাসর রাতের মিলন। ঢাকাসহ সারা দেশের অধিকাংশ স্থানেই অনেকেই ইতোমধ্যে হলুদ রংয়ের কাগজে "মহা পবিত্র ওরস শরীফ" লেখাটী দেখে থাকবেন। মাঝখানে মসজিদে নববীর সবুজ গম্বুজ আর কোনায় পীর বাবার নাম। একবারও কি ভেবে দেখেছেন কিংবা জানার সুযোগ হয়েছে যে কি এই "ওরস" ?
'ওরস' শব্দের অর্থ বাসর রাতের মিলন। (আল ক্বামুস ২য় খ ১২৩ পৃ) ওলীমার খানা ও খুশী ইত্যাদি।
(মিসবাহুল লুগাত ৫২০ পৃ)
কিছু লোকের পরিভাষায় ওরস বলা হয়, কোন বুযুর্গ ব্যক্তির কবরে বা মাযারে তার মৃত্যু দিবস পালনের নামে ধর্মীয় জলসার আয়োজন করা এবং তার ভক্তগণের ভিড় অর্থাৎ একটি মেলার রূপ ধারণ করা। আল কুর'আনের কোথাও এ শব্দটী ব্যবহৃত হয়নি, কিন্তু হাদীসে এই শব্দটি এসেছে বাসর রাতের মিলন অর্থে। যেমন, বিখ্যাত সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায়, আল্লাহ্র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের বর্ণনা দিতে গিয়ে মালাইকার (ফেরেশতার) মুখ দিয়ে নেককার লোকদের বলেন, 'নাম কানাওমাতিল আরুস' অর্থাৎ তুমি বাসর রাতের বর কনের মত ঘুমাও, (তিরমিযি, মিশকাত)
►►অথচ, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মৃত্যুর সময় প্রায় সোয়া লক্ষ সাহাবী ছিলেন তাঁরা কেউই এ ধরণের 'ওরস' পালন করেননি।
►►►ওরস নামীয় মেলায় ভক্তরা অজস্র অর্থাদি ব্যয় করে বহু সংখ্যক গরু,মহিষ,ছাগল জবেহ করে ও শিরনী তৈরি করে, আর সব মিলে সেগুলো তাবাররুক হিসেবে খায় ও বিতরণ করে। অনেকে অকাতরে অর্থ ব্যয় করে নিঃস্ব হয়ে ধারণা করে এতে মৃত পীর বাবার রেজামন্দি হাসিল হল, যা প্রকাশ্য বড় শিরক।
অনেক স্থানে একসাথে নারী পুরুষ গান বাজনা ও অবাধ মেলামেশা পর্যন্ত দেখা যায়, একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে আপনিই বলুন এদের সাথে কি ইসলামের দূরতম সম্পর্কও আছে? এগুলো জঘন্য শিরকি কার্যক্রম থেকে এখনই সচেতন হউন এবং অপর ভাইকেও সতর্ক করুন।
►►দ্র - পীর ফকির ও কবর পূজা কেন হারাম (হাফিয মুহাম্মদ আইয়ুব)
share from mobile>>http://on.fb.me/xlBx4E
তাওহীদের পূর্ণতা ততক্ষণ সম্ভব নয় যতক্ষণ পর্যন্ত একমাত্র আল্লাহর এবাদত ও সর্বপ্রকার তাগুত তথা শিরক মুক্ত না হয়। “আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা এক আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত তথা শিরক থেকে দূরে থাক। ” [সূরা নাহল : ৩৬ ] তাগুতের বর্ণনা: তাগুত হলো: এমন প্রত্যেক জিনিস যা দ্বারা মানুষ সীমা লঙ্খন করে। চাই তা মা‘বূদ (উপাস্য) হোক যেমন : মূর্তি অথবা অনুসরণীয় ব্যক্তি হোক যেমন : জ্যোতিষ-গণক ও ধর্ম ব্যবসায়ী পীর-বুজুর্গ এবং বদ আমল আলেম সমাজ অথবা মান্যবর ব্যক্তিরা হোক যেমন : শাসক, সর্দার ও নেতাজি ও প্রধানরা যারা আল্লাহর অবাধ্য।
তাগুতের নেতারা: তাগুত অনেক আছে তাদের মধ্যে বড় পাঁচটি: • ইবলিস শয়তান : আল্লাহ আমাদের তার থেকে পানাহ দিন। • আল্লাহর আইন (হুকুম) পরিবর্তনকারী অত্যাচারী শাসক • যে আল্লাহর বিধান ছাড়া অন্যের বিধান (মানব রচিত বিধান) দ্বারা বিচার ফয়সালা করে। আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ (আইনের) হুকুমের বিপরীত হুকুম প্রদানকারী। • যে ব্যক্তি “গায়বী ইলম” তথা কোন মাধ্যম ছাড়াই অদৃশ্যের খবরাদির জ্ঞান দাবি করে। • যে মানুষকে নিজের এবাদতের জন্য ডাকে।
আল্লাহ ছাড়া যার ইবাদত করা হয় এবং সে এই ইবাদতে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট “যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদের অভিভাবক। তাদেরকে তিনি বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফরি করে তাদের অভিভাবক হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হলো জাহান্নামের অধিবাসী, চিরকাল তারা সেখানেই থাকবে।
” [সূরা বাকারা:২৫]
By: সরল পথ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।