পৃথিবীর সব সফল মানুষদের মধ্যে একটা সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো তারা প্রত্যেকে জীবনে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাই অতীত বা ভবিষ্যত নয়, মনকে নিয়ে আসুন বর্তমানে। যা হতে চান সেই ছবিটা সবসময় মনের মধ্যে থাকবে, কিন্তু মনকে তা অশান্ত করবে না। দেখবেন বড় কোনো লক্ষ সামনে নিয়ে যখন কাজে নামবেন- কাজই তখন আপনাকে আনন্দ দিবে। অবশ্যই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাটা খুব-খুব দরকার, কিন্তু তা মনুষ্যত্বকে বাদ দিয়ে নয়।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একবার বলেছিলেন যে, তিনি যখন পেছনে ফিরে তাকান তখন তার কোনো আফসোস হয়না। কারণ প্রতিটি মুহূর্তকে তিনি কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুটো পংক্তি আছে: “সমুখে শান্তি পারাবার, ভাসাও তরণী হে কর্ণধার”, -একজন মানুষ কতটা পরিতৃপ্ত হলে মুত্যু নিয়ে এমন কথা বলতে পারেন!রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে নিজেকে বলুন- নিজে ভালো থাকতে চাই, অন্যকে ভালো রাখতে চাই।
মনে রাখতে হবে, শরীরটা আপনার। এটাকে দেখাশোনা করার দায়িত্বও আপনার।
কথায় আছে সুস্থ দেহে বাস করে সুন্দর মন। ওজন কমানোর জন্য মানুষ কতশত পরিকল্পনাই না করে থাকে। কিন্তু কিছু দিন পর সব ভুলে আবার আগের মতোই দেদারসে চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া শুরু করে। হা হা হা....কিন্তু যা করতে হবে তা হলো- পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার তালিকায় চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলো রাখতে হবে। দোকানের খাবার পরিত্যাগ করে ঘরে বানানো খাবার খেতে হবে।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। এর ফলে নিজেকে ফুরফুরে মনে হবে। কাজের প্রতি আগ্রহ জাগবে। মনোযোগ বাড়বে। মাঝে মাঝে মজার কিছু ব্যায়ামও করতে হবে, যাতে একঘেয়েমি না হয়।
যারা রাতে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমায় অন্যদের চেয়ে তাদের দ্বিগুণ চর্বি কমে যায়। অতিরিক্ত ওজন থাকলেও যথেষ্ট পরিমাণ ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখে।
পেঁয়াজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা নিয়মিত পেঁয়াজ সমৃদ্ধ তরকারি বা পেঁয়াজের তরকারি খেলে উপকার পাবেন। পেঁয়াজ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়।
প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খান। হার্ট সুস্থ থাকবে। কারণ, ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় উচ্চরক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। উচ্চরক্তচাপ না হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়। প্রতিবেলায় আহারের সাথে ২/১ কোয়া রসুন খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ জনীত রোগ দূরীভূত হয়।
সুস্থ থাকবে হার্ট। যতটুকু সম্ভব হাসুন। দুশ্চিন্তা বা উত্তেজনা নয়। সবার সঙ্গে গল্প করুন। গান গাইতে পারেন মনের আনন্দে।
মজার বই পড়ুন। সঙ্গে পরিশ্রমও করুন। ভালো থাকবে দেহ। ভালো থাকবে মন। হিন্দুধর্মের অতি পরিচিত ধর্মগ্রন্থ গীতা।
গীতায় আছে - যাহাদের আহার, বিহার, চেষ্টা, কর্ম, স্বপ্ন, জাগরণ ইত্যাদি উপযুক্তভাবে নিয়ন্ত্রিত যোগ তাহাদের সমস্ত দূঃখকে হরণ করে।
হরমোনের প্রভাবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সে পুরুষের কপালের দুই দিকে এবং মাথার মধ্য অংশে টাক পড়ে। মাথার চুলের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ১ লাখ, এর জন্য ৭০ থেকে ১০০ টি চুল প্রতিদিন ঝরে যায়। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০০টি চুলপাড়া স্বাভাবিক। চুল শুকিয়ে ঘর হতে বের হবেন।
নখ কে আমরা সাধারনত খুব একটা পাত্তা দেইনা, কিন্তু এটা দেখেও আপনার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে একটা আইডিয়া নেয়া যায়। যদি নখ হলুদাভ হয়, শ্বাসতন্ত্রের কোন অসুখ থাকতে পারে, কাজেই সতর্ক হোন। স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে - প্রথমেই চাই পারিবারিক শান্তির ব্যবস্থা। আমাদের বাসস্থানে যথেষ্ট পরিমান আলো ও বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ভালো বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকলে অর্থাৎ মনোযোগ দিয়ে ভালো ভালো বই পড়লে দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
বই পড়া মানুষের মনোযোগ বৃদ্ধি করে এবং সঠিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়। যেহেতু গল্পের শুরু, মধ্যম এবং শেষ অবস্থা আছে, সেহেতু গল্পের এই স্ট্রাকচার পাঠকের মস্তিষ্কের ওপর ঘটনার পরম্পরা, কার্যকারণের যোগসূত্র, পরিণতি ও সর্বোপরি ফলাফলের নিরীখে চিন্তার সক্ষমতা বাড়ায়।
প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশের আগে আপেল সিডার ভিনেগার দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁত ঝকঝকে হবে। সেই সঙ্গে দাঁত ও মাড়ির ব্যাকটেরিয়াও দূর হবে। ভিনেগার দাঁতের লালচে দাগ দূর করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে।
আপেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক টুথব্রাশ। খাওয়াদাওয়ার পরে একান্তই যদি দাঁত ব্রাশ করার সুযোগ না থাকে। একটি আপেল কিন্তু দাঁত ব্রাশের কাজ করে দিতে পারে। এ ছাড়া আছে গাজর। পপকর্নও দাঁত পরিষ্কার করতে পারে।
দিনে দু'বার ব্রশ করুন!নিয়মিত ব্যায়াম শরীরের জন্য উপকারী। সবচেয়ে সহজ, সস্তা, জনপ্রিয় এবং নিরাপদ ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। হাঁটতে হবে নিয়মিত। সুস্থ থাকব তবে। সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে দই।
বিশ্বের সব দেশেই এ জাতীয় খাবারের ব্যবহার লক্ষণীয়। দই বা ঘোল জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সুস্থ হাড়ের জন্য প্রতিদিন যে পরিমাণ দুগ্ধজাত খাবার দরকার, তার অর্ধেক বা এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করতে পারে এক গ্গ্নাস দই। স্বল্প রক্তচাপের রোগীর জন্য এ দই খেতে অনেক চিকিৎসক পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এদেশে নারীদের অসুখ-বিসুখ নিয়ে চলে লুকোচুরি খেলা।
তাদের শরীরের সমস্যার কথা কেউ জানে না; মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, এমন কি স্বামীও না। করলার তেতো রসের মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন সব উপাদান যা কিনা ব্রেস্ট ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং এর বৃদ্ধি রোধ করে৷ এর পরও এই দেশগুলেতে নারীরা ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে পানি পান খাদ্যকে পাকস্থলীতে পৌঁছতে সাহায্য করে; কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল তথ্য। বাড়িতে মেহমান এলে, তাদের সামনে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার বা ফলমূল পরিবেশন করুন। তরলজাতীয় খাবার যেমন শরবত, জুস ইত্যাদিকে প্রাধান্য দিতে পারেন। সুস্থ্য থাকার জন্য আমাদের সকলেরই মেরুদন্ড এবং স্পাইনাল কর্ড ও নার্ভ সম্পর্কে অল্পবিস্তর জ্ঞান রাখা উচিত।
আমরা সবাই বাঁচতে চাই। মহান ঋষি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানুষের এ অতিসাধারণ আকূঁতিকে প্রকাশ করেছেন “মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভূবনে / মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চায়”।
বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটিরও বেশি লোক ভুগছে ডায়াবেটিসে। অনেকেই জানেননা যে ডায়াবেটিসের সঙ্গে কিডনি রোগের রয়েছে ঘনিষ্ট সম্পর্ক। কিডনি রোগ হলো নীরব ঘাতক।
যা জীবনে গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে। দেশের প্রায় সাড়ে সাত লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ও ৪০ হাজার শিশু চোখের ছানি এবং অন্যান্য কারণে দৃষ্টিহীনতায় ভুগছে। মাইগ্রেন কেন হয় তা এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে এটি বংশগত বা অজ্ঞাত কোনো কারণে হতে পারে। আমাদের দেশে বর্তমানে মাইগ্রেনের চিকিৎসায় বেশ কিছু কার্যকর ওষুধ বাজারে এসেছে, তার মধ্যে ফ্লুনারিজিন, এমট্রিপটেইলিন, পিজোটিফেন, রিজাট্রিপটান, টলফেনামিক এসিড ইত্যাদি ওষুধ বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাঙালির জীবনে মাথাব্যথা প্রবল সমস্যা। ১৫ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে প্রতিদিন ন্যূনতম ১০% লোক মাথাব্যথায় আক্রান্ত হন। অন্যান্য দেশে একই হার। মাথাব্যথা আমাদের জীবনে এত বেশি ‘কমন’ যে এর মধ্যে যারা যারা মাথাব্যথায় ভোগেন তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না। নিজেরাই নিজের চিকিৎসা করেন।
প্যারাসিটামলের কথা সবাই জানি। মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। খেতে পারেন আদা। প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে তা বিশেষভাবে কার্যকর।
স্ত্রীর সঙ্গে যেসব স্বামী প্রতারণামূলক আচরণ করেন, তাঁরা বিশ্বস্ত স্বামীদের চেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। একটা গল্প শুনেছেন নিশ্চয়ই: এক লোক খুব ঘন ঘন ডাক্তারের কাছে যান বলে এক বন্ধু জানতে চাইলো সমস্যাটা কী। তো সে বলে যে, ‘আরে, ডাক্তারদের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে না!’ বন্ধু জিজ্ঞাসা করলো, তাহলে ওষুধ কিনছে কেন? ‘কারণ ফার্মেসির লোকজনের খেয়ে-পরে বাঁচতে হবে তাই!’ তাহলে, বন্ধু আবার জানতে চাইলো, ওষুধ কিনে সে বাসায় আনছে, কিন্তু ওষুধ খাচ্ছে না কেন? হাসিমুখে ভদ্রলোক বললেন, ‘আরে, আমাকেও তো বাঁচতে হবে নাকি?’ একটু সচেতন হলেই আমরা পারি নিজেকে সুখী করতে এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে।
যারা সবসময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অধিক টেনশন করি ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগি, তাদের জন্য মহৌষধ হলো নামাজ পড়া, বেশি বেশি আখেরাতের চিন্তা করা, কবর জগতে কিভাবে থাকব, আমি এতদিন কি পাথেয় যোগাড় করলাম কবরের হাজার হাজার পথ পার করার জন্য? পৃথিবীর মাত্র ৫০/৬০ বছর জীবনের ক্ষুদ্র সময়ের চিন্তা ছেড়ে যখন আপনি আখেরাতের হাজার হাজার বছর পথ পাড়ি দেয়ার চিন্তা করবেন তখন আপনাকে এমনিতেই মনের দিক থেকে ভালো লাগা শুরু করবে ও টেনশন কমতে থাকবে। রোগ ও অসুস্থতা থেকে মুক্তির জন্য প্রথম প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বা জীবন চেতনার পরিবর্তন।
অপনাকে জানতে হবে যে, নিরাময়ের ক্ষমতা আপনার নিজের ভেতরেই আছে, ডাক্তার কেবল সহায়ক শক্তি মাত্র। যতক্ষণ নিজে বিশ্বাস করতে না পারছেন যে আপনিও সুস্থ হতে পাঅবশ্যই জটিল অসুখের ব্যাপারটা আলাদা। রেন ততক্ষণ কোনো চিকিৎসাই আপনাকে সুস্থ করতে পারবেনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।