ভালো।
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর ধু-ধু বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। হতদরিদ্র চাষিরা কুমড়া চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। সরেজমিন পূর্বছাতনাই ইউপির চরে গিয়ে জানা যায়, তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়া ভালো ফলনে চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি। জানা গেছে প্রাণ ম্যাঙ্গো জুসের সহযোগিতায় ও পিএফপি-সিঁড়ি প্রকল্পের অধীনে উপজেলার নদী ভাঙ্গা ৭টি ইউনিয়নে ৪০২ জন অতি দরিদ্র নর-নারীকে নিয়ে ৪১ একর বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়।
মিষ্টি কুমড়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮০-৭০০ মেট্রিক টন। মিষ্টি কুমড়া বীজ বপনের ৪ মাসের মাথায় প্রতিটি গাছে ৪-৫টি পরিপক্ক ফল পেয়েছেন চাষিরা। তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়ার ওজন হয়েছে ১০-১৫ কেজি পর্যন্ত। জেএসকেএসের পরিচালক মোস্তফা কামাল জানায়, তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়ায় হতদরিদ্রদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবে,এছারা এ দিয়ে প্রাণের ম্যাঙ্গো জুসও তৈরি করা হবে। উল্লেখ বাজারে প্রাপ্ত ম্যাঙ্গো জুসের একটি বিশাল অংশ মিষ্টি কুমড়া দিয়ে উৎপাদন করা হয়।
হতদরিদ্ররা নিজেদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করেও তা প্রাণ গ্রুপের কাছে বিক্রির মাধ্যমে ব্যাপক লাভবান হবেন। প্রাণগ্রুপের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর শাখাওয়াত হোসেন জানান, চাষিদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ, সার, কীটনাশক ও সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্বছাতনাই গ্রামের সুলতানা আক্তার জানান, তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়ার সোনা ফলবে আগে বুঝতে পারিনি। তিনি ২০০ মিষ্টি কুমড়ার গাছ লাগিয়ে ৪৫০টি মিষ্টি কুমড়ার ফলন পেয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।