দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডীয় তরুণ প্রজন্মের নব্বই শতাংশই জানে না বাংলাদেশ যুদ্ধ করে কবে স্বাধীন হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা বেঙ্গলি ইনফরমেশন এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস), টরন্টো পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য প্রকাশ পায়। নিজ এবং পিতা-মাতার দেশ, বিশেষ করে এর স্বাধীনতা অর্জন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বাঙালি-কানাডীয়ান তরুণ প্রজন্ম কতটুকু অবহিত এ বিষয়টি জানার লক্ষ্যে বৃহত্তর টরন্টোয় জরিপটি পরিচালিত হয়।
উত্তরদাতাদের কাছে প্রথমে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কোন সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে? এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতা ছিল মাত্র ৩৪%। ভুল উত্তর দিয়েছে ৪৬%।
বাকি ২০% বলেছে তারা জানে না। তবে বাংলাদেশের বাইরে কানাডা কিংবা অন্য কোনো দেশে জন্মেছে এদের মাত্র ১০% সঠিক উত্তরটি দিয়েছে। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশে জন্মেছে কিন্তু বর্তমানে কানাডার নাগরিক কিংবা অভিবাসী এদের ৫৬% এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর বলতে পেরেছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে- এ প্রশ্নের সঠিক উত্তরদাতা ছিল মাত্র ১৬%। ভুল উত্তর দিয়েছে ৬২%।
বাকি ২২% বলেছে তারা জানে না। জন্মসূত্রে বাংলাদেশি নয় এদের ৮৫% সঠিক উত্তরটি পারেনি। অন্যদিকে যাদের জন্ম বাংলাদেশে ছিল তাদের ৭৮% সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
সর্বশেষ প্রশ্নটি ছিল বাংলাদেশের জাতির জনক কে? এর উত্তরে ৪৬% বলেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম, ৩৪% বলেছে অন্যান্য ব্যক্তির নাম। আর ২০% বলেছে তারা জানে না।
বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারীদের ৬৩% বঙ্গবন্ধুর নাম বলেছে। অন্যদিকে কানাডা কিংবা অন্য কোনো দেশে জন্মেছে এদের ১০% বঙ্গবন্ধুর নাম উল্লেখ করেছে।
জরিপটি পরিচালনা করেন বায়েসের মোহাম্মদ ইমাম উদ্দিন ও গোলাম মোস্তফা। তাঁদের সহায়তা করেন, কে এম মবিদুর রহমান, ইসমত আরা মোস্তফা ও অধ্যাপক দিলরুবা খানম। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর গত ১৭ থেকে ২১ মার্চ জরিপটি পরিচালিত হয়।
সরাসরি ও টেলিফোনে তাৎক্ষণিক উত্তরগুলো জানতে চাওয়া হয়। ইন্টারনেট কিংবা অন্য কারো সহায়তা ছাড়া প্রকৃত তথ্য জানে কিনা, মূলত এই লক্ষ্যেই গবেষণার এ কৌশলটি অবলম্বন করা হয়। নমুনায়নের ভিত্তিতে ৬১জন উত্তরদাতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৩৯ জন ছিল বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী। মোট উত্তরদাতার ৩১জন তরুণী এবং ৩০ জন তরুণ।
জরিপের সুপারিশে বলা হয়, প্রবাসে বসবাসরত নতুন প্রজন্ম যদি বাংলাদেশ সম্পর্কে আগ্রহ হারায়, তবে অদূর ভবিষ্যতে দেশ শুধু এই প্রজন্মকেই হারাবে না, অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রবাসী নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, অর্জন এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব প্রথমত পরিবারের। ক্রমোন্নত প্রবাসী রেমিটেন্সের বর্তমান ধারা অব্যহত রাখতে হলে বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে স্থানীয় দুতাবাসগুলোকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন ও কার্যকর ভুমিকা পালন করা উচিত।
উল্লেখ্য, বায়েস অন্টারিও মিনিস্ট্রি অব গর্ভনমেন্ট সার্ভিসেস এর অধীনে নিবন্ধনকৃত একটি স্বেচ্ছাসেবী অলাভজনক সংগঠন। কানাডায় বসবাসরত বাঙালি কমিউনিটির উন্নয়নে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান এর অন্যতম লক্ষ্য।
তথ্যসূত্র-
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।