রাতের উপর ভর করে আরেক নিশি/আঁধারের চারপাশে বসত করে গুমোট অন্ধকার।
আমার বাংলার আছে সবুজ ঘাস,
আছে নদীর জল,বৃষ্টি ধারায় স্নিগ্ধ আকাশ।
আমার বাংলায় বসন্তে ফোটে কৃষ্ণচূড়া,
যা লাল হয়েছে আমার ভাইয়ের রক্তে,
আর আমি কবিতা লিখি সেই লাল বর্ণমালায়।
আমার বাংলার আছে শোভিত ধানক্ষেত,
যাকে বিদায় জানিয়ে শহরে এসেছে যান্ত্রিক মানুষ
তবে ধানক্ষেতে গেলে সবাই মাটির মানুষ।
আমার বাংলার আছে বীরাঙ্গনা মা,
যার গর্ভে জন্মেছি এই আমি।
জন্মে চিতকার করেছি 'আমি বাংলাদেশী'।
সর্বস্ব হারা আমার মা কেঁদেছে
কেননা আমার পিতৃ পরিচয় নেই।
আমি চাই না সে পিতাকে-
যে আমার মা'কে ভোগ করেছে,
পাপ হিসেবে আমি,চিৎকার করে বলি-
'আমি বাংলাদেশী'।
আমার বাংলার আছে কিছু বীর বাবা,
যাদের দেখে আমি আমার নিকৃষ্ট পিতাকে ঘৃণা করি।
আমার বীর বাবার চোখে ছিল স্বাধীন বাংলা;
বুকে স্বাধীন মানচিত্র,হাতে পতাকা শোভিত রাইফেল।
যার যৌবন আমায় উদ্দীপ্ত করে,
আর আমি চিৎকার করে বলি-
'আমি বাংলাদেশী'।
আমার বাংলার আছে কিছু পাষন্ড,
মানচিত্র খচিত আমার বাবার বুকে করেছে ব্রাসফায়ার,
তারা আমার মা'র সর্বস্ব কেড়ে করেছে বীরাঙ্গনা।
আর আজ এতদিন পর মন্ত্রীত্বের ফ্ল্যাগ নিয়ে গাড়িতে ঘোরে,
বুক ফুলিয়ে বলে-
আমার বাবা কিনা যুদ্ধ করেছে নারীর মোহে,
বলে আমার মা বীরাঙ্গনা নয়
অথচ আমার পিতৃ পরিচয় নিয়ে তাচ্ছিল্য করে।
তবুও আমি চিৎকার করে বলি-
'আমি বাংলাদেশী,বাংলাকেই ভালবাসি'।
আমার বাংলার এখন আছে কিছু তাগড়া জোয়ান
যারা আমার বাবা মা'র তাচ্ছিল্যকারিদের হটিয়ে
আবার স্বাধীন বাংলাদেশ গড়বে।
যেথায় আমি উন্নত শিরে বলবো
বীর বাবার আত্মকথা,বীরাঙ্গনা মায়ের দুঃখ ঘোচাব।
তাই আমি চিত্ত্রকার করে বলি-
'আমি বাংলাদেশী,বাংলাকেই ভালবাসি'।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।