এই ব্লগে জামাত-শিবির শুয়োরের বাচ্চারা ভুলেও নাক ডুবানোর চেষ্টা করবি না
ব্যাংককের কারাগারে আটক ২৯ জন বাংলাদেশী দূতাবাসের সহায়তা না পাওয়ায় দেশে ফিরতে পারছেননা। তারা আদম ব্যবসায়ীদের প্রলোভনে ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে কক্সবাজার সমূদ্র উপকুল থেকে মালয়েশিয়া রওয়না হয়েছিলেন।
থাই কোষ্টগার্ডের হাতে আটক হয়ে এখন তারা সেখানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে অভিয়োগ। এই ২৯ জন বাংলাদেশী গত ডিসেম্বরে মাছ ধরার ইঞ্জিন নৌকা যোগে সমুদ্র পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়েছিলেন। জানুয়ারি মাসে প্রথম দিকে তারা মিয়ানমারের কোষ্টগার্ডের হাতে আটক হন।
আটক হবার ১১ দিন পর তাদের থাইল্যান্ডের সমূদ্র উপকুলের দিকে ভাসিয়ে দেয়া হয়। এরপর তারা আটক হন থাই কোষ্টগার্ড সদস্যদের হাতে। ঢাকায় পাওয়া খবরে জানা গেছে, একটি আদম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তাদের জন প্রতি ১৬ হাজার টাকায় মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছিল। এই ভাগ্যাহতরা কক্সবাজার এলাকার বাসিন্দা এবং সবাই নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সদস্য। তারা কক্সবাজার সমূদ্র উপকুল থেকে ইঞ্জিন নৌকাযোগে ভাগ্যের সন্ধানে রওয়ানা হয়েছিলেন।
২৯ জন বাংলাদেশী এখন অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ব্যাংককে অভিবাসী ক্যাম্পে আটক আছেন। তারা অভিযোগ করেন, সমূদ্রে উপকুলে আটকের পর পরই তাদের মিয়ানমার কোষ্টগার্ডের সদস্যরা নির্মম নির্যাতন চালায়।
এদিকে আটক বাংলাদেশীরা থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী দুতাবাসে সহায়তা চেয়ে পাচ্ছেননা। তবে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মহপরিচালক কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী দূতাবাসের কাছে সেখানে কোন বাংলাদেশী আটক হওয়ার খবর নেই।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিদেশে রিক্রুটিং এজেন্টদের সংগঠন বায়রার সভাপতি গোলাম মোস্তফা ব্যাংককে আটক ২৯ জন বাংলাদেশীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলো প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে তেমন কোন কাজ করেনা।
তথ্যসূত্রঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।