বিজ্ঞানী কলিন্স পড়ে চাঁদে যাওয়ার দোয়া। আমি ইমরান মাঝি দেখো ছইয়ের মধ্যে শোয়া যাবতীয় সরলতার মুখ চেপে ধরে আমি এক বেকুপ খুলে দিয়েছি দূর্বোধ্য যন্ত্রনার কপাট। গলিত দূগর্ন্ধ বিষাক্ত লাভা ছড়িয়ে গেছে ফসলের মাঠে। ফলে কৃষকেরা লাঠিসোটা তীর ধনুক, খন্তা কুড়াল নিয়ে প্রবল হুল্লোড়ে সেচের জন্য খননকৃত খালগুলি রক্তে লাল করে দিয়ে তাড়িয়েছে আমায়।
আমি নীলিমার থেকে নেমে আসা বজ্রপাতের মত লাফিয়ে পড়েছিলাম আমার মাথায়।
আমাকে ধুতরার বিচি খাইয়ে দিয়েছে কৃষকের বেটি। আমাকে বাঘের মাংশ রেধে খাইয়েছে বন দেবীর কন্যা। শরীরে সাপের ছোবল নিয়ে আমি রিকভার করার চেষ্টা করেছি আমার যন্ত্রনার নদী। আমাকে চিলের মাংশ খাইয়ে পাগল করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে বস্তায় বেঁধে বিড়ালের মতই ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে আপন গৃহের পথ।
আমি কোমড় সোজা করে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু এক বারিতে মারা সাপের মতই আমার কোমড়ের সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়েছে সাম্রাজ্যবাদের বিশাল পাথর। ফলে আমি মানুষ হয়েও বৃক্ষের মত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছি কবে জলচ্ছাস এসে শিকড়ে আটকে থাকা মাটিগুলি কেরে নেবে আর আমি উস্টা খাওয়া বৃদ্ধের মত হুমড়ি খেয়ে পড়বো মৃত্যুর উত্তপ্ত বিষাক্ত গহীন জলে।
আগুনমুখা । লিটলম্যাগাজিনে প্রকাশিত ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।