আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

ভালবাসি বাংলা ভাষাকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার এমন এক হক যা আল্লাহ তাআলা আল কুরআনের অনেক জায়গায় নিজের হকের সাথে সংযুক্ত করে উল্লেখ করেছেন। এমন হক, যা সবার জন্য অবশ্য পালনীয়, যা পালন না করলে সফলতা আসে না। হ্যাঁ, এর নাম বিররুল ওয়ালিদাইন বা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার। আর নিঃসন্দেহে বান্দা ও তার রবের মধ্যে সবচেয়ে বড় বন্ধন হলো তাকওয়া এবং তাঁর বান্দাদের হক আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘তোমরা ইবাদত কর আল্লাহর,তাঁর সাথে কোন কিছুকে শরীক করো না।

আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে (সূরা আন-নিসা:৩৬(। পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার একটি আবশ্যিক বিষয়, যদিও তারা অমুসলিম হন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার ও তাদের অধিকার সংরক্ষণ করা ওয়াজিব। এমনকি যদি তারা অমুসলিম হন তবুও। তাদের মুসলিম হওয়ার সাথে সদ্ব্যবহারের প্রশ্ন জড়িত নয়। আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: ‘ একবার আমার মা আমার কাছে বেড়াতে এলেন।

তিনি ছিলেন মুশরিক। আর তখন কুরাইশদের সাথে মুসলমানদের চুক্তি ছিল। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মা আমার কাছে এসেছেন। তিনি আমার আতিথেয়তা পেতে আগ্রহী। তবে কি আমি তার সাথে সম্পর্ক রাখব? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তোমার মায়ের সাথে তুমি সম্পর্ক রাখবে’(মুসলিম)।

মাতা-পিতার সদ্ব্যবহারের নির্দেশ এখানেই শেষ নয়। বরং, তারা যদি আল্লাহর সাথে কুফরী করার নির্দেশও দেন এবং শিরক করতে বাধ্য করেন, তবু তাদের সাথে ভালো ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন-: আর আমি মানুষকে তার মাতাপিতার ব্যাপারে (সদাচরণের) নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভে ধারণ করে। আর তার দুধ ছাড়ানো হয় দু’বছরে; সুতরাং আমার ও তোমার পিতা-মাতার শুকরিয়া আদায় কর।

প্রত্যাবর্তন তো আমার কাছেই। আর যদি তারা তোমাকে আমার সাথে শির্ক করতে জোর চেষ্টা করে, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তখন তাদের আনুগত্য করবে না এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে। আর অনুসরণ কর তার পথ, যে আমার অভিমুখী হয়। তারপর আমার কাছেই তোমাদের প্রত্যাবর্তন। তখন আমি তোমাদেরকে জানিয়ে দেব, যা তোমরা করতে’(সূরা লুকমান:১৪-১৫( উপরোক্ত আয়াত ও হাদীসে এটাই স্পষ্ট যে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা সর্বাবস্থায় ওয়াজিব, আর তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা গোনাহে কবিরাহ।

শিরক করার প্রতি পিতা-মাতার নির্দেশের পরও যখন একজন অমুসলিম পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে, তাহলে সৎ ও মুসলিম পিতা-মাতার অধিকার কী হবে, তা সহজেই অনুমেয়। নিশ্চয় তাদের অধিকার সবচেয়ে বেশি। আর তা যথাযথভাবে আদায় করাও কঠিন। যে তা আদায় করতে পেরেছে, সে আল্লাহর তাওফীক প্রাপ্ত। আর যে পারেনি, সে পুরোপুরি বঞ্চিত হলো।

জিহাদের চেয়েও পিতার-মাতার সেবার গুরুত্ব বেশি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পিতা-মাতার অধিকারকে জিহাদের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। বুখারী ও মুসলিমে আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাযি. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন:‘ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেন, ‘সময়মতো নামায আদায় করা’। আমি বললাম, এরপর? তিনি বললেন, ‘পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার’। আমি বললাম, এরপর? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা’(বুখারী)। অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ বিন আমর রাযি. হতে বর্ণিত আছে।

তিনি বলেন: এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, তোমার পিতা-মাতা কি জীবিত? লোকটি বলল, ‘জ্বি’। তিনি বললেন, তাহলে তাদের মাঝেই জিহাদ করো’-অর্থাৎ,তাদের সেবায় শ্রম দাও’ (বুখারী)। আব্দুল্লাহ বিন আমর রাযি. হতে অপর এক বর্ণনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : ‘ পিতার সন্তুষ্টিতে রবের সন্তুষ্টি। আর পিতার অসন্তুষ্টিতে রবের অসন্তুষ্টি’ (তিরমিযী, সহীহ)। মুয়াবিয়া বিন জাহিমা রাযি বলেন: এক লোক রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বলল, আমি যুদ্ধে যেতে চাই।

আপনার কাছে পরামর্শের জন্য এসেছি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার মা আছে? লোকটি বলল, জ্বি আছে। তিনি বললেন, ‘তাহলে তাকে সঙ্গ দাও। কেননা জান্নাত তার পদতলে’(নাসায়ী ও ইবনে মাজাহ)। অন্যদিকে যে ব্যক্তি পিতা-মাতাকে জীবিত পেয়েও জান্নাত অর্জন করতে পারল না, তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘ তার ধ্বংস হোক,তার ধ্বংস হোক, তার ধ্বংস হোক।

বলা হলো, কার কথা বলছেন ইয়া রাসুলাল্লাহ? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতার কোনো একজনকে বা উভয়কে বার্ধক্যে পেয়েছে, অথচ জান্নাতে যেতে পারল না’ (মুসলিম)। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার বিপদাপদ থেকে মুক্তি দেয় পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার সবচেয়ে বড় সওয়াবের কাজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাদের সাথে সদ্ব্যবহারে রহমত পাওয়া যায়, বিপদাপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঐ তিন ব্যক্তির কথা শুনে থাকবেন, যারা গুহায় আটকে পড়েছিলেন, বের হতে পারছিলেন না। তাদের একজন অপর দুজনকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের ভালো আমলগুলো স্মরণ করো, এবং গেুলোর অসিলায় দু‘আ করো।

আল্লাহ হয়ত এর মাধ্যমে বিপদ কাটিয়ে দেবেন। তাদের একজন তখন এভাবে দু‘আ করেছিলেন ‘হে আল্লাহ! আমার বৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিল। আবার ছোট ছোট শিশুও ছিল। আমি তাদের জন্য মেষ চরাতাম। যখন ফিরে আসতাম, তাদের দুধ খাওয়াতাম।

প্রথমে আমার পিতা-মাতাকে খাওয়াতাম। এরপর সন্তানদের। একদিন আমার পশুগুলোর চারণভূমি একটু দূরে পড়ে গেল। ফিরতে দেরি হলো। সন্ধ্যা হয়ে গেল।

আমি এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছেন। অন্যান্য দিনের মতো আমি তাদের জন্য দুধ নিয়ে হাজির হলাম। কিন্তু মাথার কাছে এসে জাগাতে অপছন্দ করলাম। আবার তাদের আগে আমার বাচ্চাদের খাওয়াতেও অপছন্দ করলাম। ওদিকে আমার বাচ্চারা আমার পায়ে পড়ে কাঁদছিল।

এভাবে রাত শেষ হয়ে ফজর হলো। আপনি যদি জেনে থাকেন যে এ কাজটি আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্যই করেছি, তাহলে আজ আমাদের বিপদ কাটিয়ে দিন। অপর দুই ব্যক্তিও অনুরূপ ভালো কাজের উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন। অতঃপর আল্লাহ তাদের বিপদ কাটিয়ে দিলেন। গুহার পাথর সরে গেল এবং তারা আকাশ দেখতে পেলেন।

পিতা-মাতার নির্দেশ মানা, তাদের ব্যয়ভার গ্রহণ করা, মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করা সবই তাদের অধিকার পিতা-মাতার অন্যতম অধিকার হলো, তাদের নির্দেশ মেনে চলা, যতক্ষণ না তা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশের বিরোধী হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন: ‘এবং দুনিয়ায় তাদের সাথে বসবাস করবে সদ্ভাবে’(সূরা লুকমান:১৫(। অনুরূপভাবে তারা গরীব হলে তাদের ব্যয়ভার গ্রহণ করা, তাদের পোশাক-পরিচ্ছদ জোগাড় করে দেয়া, তাদের জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পর তাদের জন্য দু‘আ করা,তারা জীবিতাবস্থায় যাদের সাথে ওঠাবসা করতেন,তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা। আল্লাহ তা’আলা বলেন: ‘ আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে ইপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না।

আর তাদের সাথে সম্মাননজনক কথা বল’(সূরা আল ইসরা:২৩)। ইবনে ওমর রাযি একবার মক্কার উদ্দেশ্যে বের হলেন। তার একটি গাধা ছিল, যাতে তিনি ঘুরে বেড়াতেন। তার একটি পাগড়ি ছিল যা মাথায় বাঁধতেন। একবার তিনি ওই গাধায় ওপর সাওয়ার ছিলেন।

পথিমধ্যে এক গ্রাম্য লোকের সাথে দেখা হলো। লোকটি বলল, তুমি কি অমুকের ছেলে অমুক না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এরপর তিনি লোকটি তাঁর গাধা ও পাগড়ি দিয়ে দিলেন। তাকে গাধার পিঠে চড়তে বললেন। পাগড়িটা মাথায় বেঁধে নিতে বললেন।

কেউ প্রশ্ন করল, আপনি এই গ্রাম্য লোককে আপনার গাধা দিয়ে দিলেন? যাতে আপনি ঘুরে বেড়াতেন? আবার আপনার মাথার পাগড়িও দিয়ে দিলেন? তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, মানুষের জন্য অন্যতম ভালো কাজ হলো পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক রাখা। আর ঐ লোকের পিতা ওমর রাযি. এর বন্ধু ছিলেন। পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের ফযীলত প্রিয় ভাইয়েরা! আমরা এতক্ষণ যা আলোচনা করলাম তা থেকে পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের গুরুত্ব উঠে এসেছে। আমরা বুঝতে পেরেছি যে এটা জান্নাতে প্রবেশের কারণ এবং জিহাদ থেকেও এর গুরুত্ব বেশি। আউইস ইবনে আমের আল ক্বারনীর ঘটনা কি শুনেছেন? তিনি ঐ লোক যার সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে গিয়েছেন।

আল্লাহর কাছে তাঁর উচ্চ মর্যাদার কথাও বলে গেছেন। তার সাথে দেখা করে দু‘আ চাইতে বলেছেন, এবং দু‘আর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাইতে বলেছেন। অথচ মায়ের সেবা ছাড়া তার আর কোনো বিশেষত্ব ছিল না। মুসলিম শরীফের বর্ণনায় এসেছে, উমর রাযি. ইয়েমেন থেকে কোনো দল আসলে জিজ্ঞাসা করতেন, আপনাদের মধ্যে কি আউইস বিন আমের আছেন? এমনি একদিন তিনি আউইস বিন আমেরের কাছে গেলেন। বললেন, আপনিই আউইস বিন আমের? তিনি বললেন,হ্যাঁ।

উমর রাযি. বললেন, মুরাদ এলাকার লোক আপনি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। উমর রাযি. বললেন, আপনার কুষ্ঠরোগ ছিল, অতঃপর সুস্থতা লাভ করেছেন, অবশ্য এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা বাকি, তাই না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। উমর রাযি. বললেন, আপনার মা আছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। উমর রাযি. বললেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমাদের কাছে ইয়েমেনের মুরাদ (যা ক্বারন এলাকায় অবস্থিত) থেকে আগত দলের সাথে আউইস বিন আমের আসবে। তার কুষ্ঠরোগ ছিল, সুস্থ হয়েছে, কেবল এক দিরহাম পরিমাণ বাকি আছে।

তার মা আছে, সে তার সেবা করে। সে আল্লাহর নামে কোনো কসম করলে আল্লাহ তা পূরণ করেন। তুমি যদি চাও যে সে তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুক, তবে তা করো। অতএব আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আউইস ক্বারনী ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।

উমর রাযি. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাবেন? তিনি বললেন, কুফায়। উমর রাযি. বললেন, আপনার ব্যাপারে কি কুফার গভর্নর লিখে পাঠাব? তিনি বললেন, আমি সাধারণ মানুষের মাঝে থাকতেই পছন্দ করি। আসবাগ বিন যায়েদের বর্ণনায় আছে, আউইস তার মায়ের সেবার জন্য রাসুলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন নি। পূর্বসূরীদের জীবনীতে পিতা-মাতার সদ্ব্যবহার প্রিয় ভাইয়েরা! আমাদের সালাফগণ যখন পিতা-মাতার হক ও তাদের সাথে সদাচারের বিষয়টি বুঝেছেন, তখন তাঁরা পূর্ণভাবে পিতা-মাতার সেবায় আত্মনিয়োগ করেছেন। মুহাম্মদ বিন সিরীন র. এর নামতো আপনারা শুনেছেন।

তিনি যখন তাঁর মাতার সঙ্গে কথা বলতেন, তখন মনে হত তিনি অনুনয় করছেন। ইবনে আওফ বলেন, একবার এক লোক মুহাম্মদ বিন সিরীন এর বাড়িতে এলেন। তখন তিনি তার মায়ের সাথে কথা বলছিলেন। লোকটি বলল, তিনি কি কোনো সমস্যায় পড়েছেন? তখন অন্যরা বললেন, না, এভাবেই তিনি তার মায়ের সাথে কথা বলেন। হাইওয়াহ বিন শুরাইহ রহ.।

তিনি একজন বড় মাপের প্রসিদ্ধ আলেম ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে ইলম শেখার জন্য সব অঞ্চল থেকে মানুষ আসত। তিনি তাদেরকে শেখাতেন। এরই মধ্যে কখনো তার মা বলতেন, হাইয়াহ, ওঠো, মুরগীকে খাবার দাও। সাথে সাথে তিনি ক্লাস থেকে ওঠে যেতেন।

এই হচ্ছে আমাদের পূর্বসূরীদের কিছু অবস্থা। অথচ আজ আমাদের অবস্থান কোথায়? আমাদের তরুণ-তরুণীরা পিতা-মাতার সাথে কেমন আচরণ করছে? দেখা যায়, সামান্য এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য পিতা-মাতাকে কাঁদাচ্ছে, তাদের কষ্ট দিচ্ছে ছোট-খাটো কারণে। তাদের সাথে রাগারাগি করছে। তরুণ ও যুবক ভাইয়েরা, আসুন আমরা পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করি। তাদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সব সময় চেষ্টা করি।

দেখুন, আমাদের পিতা-মাতা আমাদের কাছে কী চান? তারা শুধু চান যে প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে থাকি, তাদের খুঁটি হই। বরং, আমাদের মায়েরা তো শুধু একটু মিষ্টি কথা চান, একটু আদর আর মায়া চান। এর বেশি কিছু চান না। এটুকুও কি আমরা দিতে পারি না? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।