ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচিত নারী সদস্যদের উদ্দেশে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের ব্যাংক কেউ ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। ’
গ্রামীণ ব্যাংকের এই সদস্যদের সম্পর্কে ইউনূস আরও বলেন, তাঁরা নতুন বাংলাদেশ দিয়েছেন। প্রত্যেকেই ১০ লাখ নারী ঋণগ্রহীতার প্রতিনিধিত্ব করছেন। নারীর ক্ষমতায়নে তাঁরা কাজ করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে সোশ্যাল বিজনেস ডে বা সামাজিক ব্যবসা দিবসের উদ্বোধনী অধিবেশনে মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯ টুকরা করা, সরকারের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোসহ নানা বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে ব্যাংক দেশের জন্য অবদান রেখেছে, সেই ব্যাংককে এভাবে ধ্বংস হতে দেওয়া হবে না। এটা মানুষের প্রতিষ্ঠান, মানুষই তা প্রতিহত করবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কী চায়, সেটা হবে না; জনগণ কী চায়, তা হবে।
’
গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠানে আসা বিদেশি অতিথিদের মনোভাব সম্পর্কে ড. ইউনূস বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে প্রথম থেকেই বিদেশি অতিথিরা উদ্বিগ্ন।
অর্থমন্ত্রী সংসদে বলেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস চলে যাওয়ার পর গ্রামীণ ব্যাংক আরও ভালো চলছে—এ প্রসঙ্গে দেশের প্রথম নোবেলজয়ী বলেন, ‘যদি ভালোই চলে, তবে গ্রামীণ ব্যাংককে নষ্ট করার দরকার নেই। ’
‘রাজনীতিবিদ’ হওয়া প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী আমার প্রশংসা করলেন নাকি দুর্নাম করলেন, বুঝলাম না। ’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে এসেছেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া কংগ্রেশনাল মেডেল পাওয়ায় অভিনন্দন জানাতেও তাঁরা এসেছেন।
’
সামাজিক ব্যবসা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউনূস সেন্টার। ৩০টি দেশের দেড় শতাধিক বিদেশি অতিথি এতে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের অতিথিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মতামত ব্যক্ত করেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।