আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাবা অ্যাকসিডেন্ট করেছে বলে মেয়ে অপহরণ; সবাই সাবধান

সোহেল আহম্মেদ শেরপুরে অপহরণ চক্রের হাত থেকে তিন শিশু উদ্ধার পেয়েছে। এদের মধ্যে রুমানা নামে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে অপহরণ চক্রের হাত থেকে পালিয়ে এসে অপর দুজনকে উদ্ধার করে। তবে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা না হওয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার পাওয়া শেরপুর জেলা শহরের খোয়ারার পাড় এলাকার উত্তরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ও দিঘার পাড় চইরার পাড়া মহল্লার রমজান আলীর মেয়ে রুমানা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো সে স্কুলে আসে। এ সময় স্কুল গেইটে পৌঁছামাত্রই অজ্ঞাত তিন ব্যক্তি তাকে বলেন, তোমার বাবা এক্সিডেন্ট করে আহত হয়েছে।

চলো আমরা তোমাকে নিতে আসছি। এ সময় রুমানা তাদের কথায় সাড়া দিতেই স্কুল গেইটের পাশে নিয়েই রুমানার নাকের কাছে ফুল জাতিয় কিছু শুকিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে। তারপর আর কিছুই বলতে পারেনি রুমানা। এক পর্যায় তার জ্ঞান ফিরলে সে দেখে যে তাকে শহরের জেল খানার পিছনে মিরগঞ্জ মহল্লাস্থ এসএম ব্রিক্স নামক একটি ইটভাটায় পলিথিন কাগজে পেচিয়ে তার চার পাশে ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে পরে সেখান থেকে ওই পলিথিন কাগজ ছিড়ে বের হয়ে এসে দেখে তার মতো আরো দুই শিশুও আটক আছে। এ সময় রুমানা তাদেরও উদ্ধার করে ওই ইট ভাটা থেকে যার যার মতো দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

এ সময় ওই ইট ভাটার পার্শ্বে বিসিক শিল্প নগরীর কাছে জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে একটি মেয়ে রুমানাকে কাঁদতে দৌঁড়াতে দেখে জিজ্ঞেস করে এবং বিষয়টি জেনে রুমানাকে তার স্কুলে পৌঁছে দেয়। পরে স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি জেনে পুলিশে খবর দেয়। পরে দুপুর ১টায় দিকে সদর থানার পুলিশ এসে রুমানাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সদর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, যেহেতু ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটির বিবরণ অনুযায়ী কোন আলামত উদ্ধার বা চিহ্নিত করা যায়নি এবং অপহৃত অন্য দুই শিশুকে চিহ্নিত করা যায়নি, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এছাড়া স্কুল কর্র্তৃপক্ষ ও রুমানার বাবা রমজান আলী এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হয়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.