আজ আমার প্রিয় খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের জন্মদিন। ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ তিনি মাগুরায় জন্ম গ্রহন করেন।
২৬ বছরে পা দিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট কে বিশ্বের দরবারে অন্য উচ্চতায় তুলে দেওয়া এই সুপারম্যান।
২০০৬সালে তার অভিষেক হয়। এর পর থেকে প্রতিটি ম্যাচেই তিনি নিজের পারফর্ম দিয়ে আলোচিত হয়ে উঠেন।
এই অলরাউন্ডার আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তে নাম লিখিয়েছেন। উংলিস কাউন্টি ক্রিকেট খেলা হতে শুরু করে আইপিএল এর মত বিদেশি বিভিন্ন আয়োজন গুলোতেও দেখিয়েছেন মুগ্ধকর পারফরমেন্স।
সাকিব তার ধারাবাহিক পারফরমেন্স দিয়ে উইজডেন ক্রিকেটারর্স ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন ২০০৯ সালে।
প্রথম কোন বাংলাদেশি ক্রিকেটার তিনি যার কাছে কোন প্রতিবন্ধকতাই যেন আটকে দিতে পারেনি তার পথ চলা। তরুণ ক্রিকেটারদের এই আইডল তার খেলার মাঠের মত বাইরের জগতেও বিনয় আর স্মাটনেস দিয়ে জয় করেছেন ভক্ত মিডিয়া সহ সকল এর মন।
বাংলাদেশের বিজয়ে সকল দ্বায়িত্ব কাধে তুলে নেন তিনি। তার খেলা দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তিনি ক্রিজে থাকলে মনে হয় যেকোন দলই আমাদের কাছে কিছু না।
তার মুখের মিষ্টি হাসি আর উইকেট তুলে নিয়ে দুহাত দুপাশে মেলে ধরে পাখির মত ডানা মেলে দর্শকদের দিকে তাকানোটা যেন বুকের ভেতর ফ্রেমে বাধিয়ে রেখেছে প্রতিটি ক্রিকেট প্রেমি। তার তুলনা কারো সাথে হয়না।
বাংলাদেশের এই সোনর টুকরো ছেলের জন্ম দিনে তাকে হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা জানাচ্ছি।
এ পর্যন্ত ২৬ ম্যাচ খেলে ১৬৩০ রান করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। দু`টি শতক এবং ৯টি অর্ধশতকসহ ৯৬ উইকেট পেয়েছেন টেস্টে। ওয়ানডেতে পেয়েছেন ৫টি শতক এবং ২৫টি অর্ধশতকের পাশাপাশি ১৬০টি উইকেট নিয়েছেন। রান করেছেন ৩৬৩৫।
তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছেন।
২০০৯ সালে তাকে অধিনায়ক করা হয়। সাকিব বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশকে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ জিতিয়ে তার জাত চিনিয়ে ছিলেন। দেশের মাটিতে ২০১১ সালে কিউইদের করেছিলেন ধবলধোলাই করে সারা বিশ্বে হইচয় ফেলে দিয়ে ছিলেন তখন বিশ্ব মিডিয়ায় সাকিবে অধিনায়কত্ব নিয়ে ভূয়শি প্রসংসা করা হয়। কিন্তু ২০১১ সালের আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে দেশে ফেরার পর এই ক্রিকেটার কে কামাল এবং কয়েকজন আমলা কর্মকতার ব্যাক্তিগত আক্রোশের স্বিকার হতে হয়।
সম্পূন্ন অগন্ত্রকি উপায়ে স্বেরশাষক স্টাইলে তাকে কোন রকম আত্নপক্ষ সর্মথনের সুযোগ না দিয়ে তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয় ।
সাকিব ভক্তদের জন্য যা ছিল চরম দুঃসংবাদ। তবে এত কিছুর পর সাকিব আল হাসান খেলে তার প্রতি অন্যায় আচরণের জবাব দিয়ে যাচ্ছেন। দাবী করছি তার অধিনায়কত্ব আবার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।