অনুতাপ নিপীড়িত ব্যাথিত জনের শক্তিধরে অস্ত্রধারী শত সিপাহের বাবা মা কোন ভাবেই ব্যবসা করতে দিবে না। তারা দুজনেই চাকরিজীবি। চাকরি মানে নিরাপদ জীবন। কোন লাভ-লস এর হিসেব করতে হবে না। ৯টা -৫টা ডিউটি।
মাস গেলে বেতন। টেনশন নাই। কিন্তু আমার যে এ এই খানেই প্রবল আপত্তি। আমি আবার টেনশন ছাড়া থাকতে পারি না। টেনশন না করতে পারলে আমার রাতে ঘুম হয় না।
নিজেকে তখন জেলখানার বন্দি বন্দি মনে হয়। তাহলে সমাধান? ব্যবসা করতে হবে। ব্যবসা তে দুনিয়ার টেনশন। কি ব্যবসা করবো? যে ব্যবসার কথা ভাবি সেটাই কেউ না কেউ করছে। আর সে কি কম্পিটিশন! তার চেয়ে বড় কথা হল টাকা পাবো কই? ব্যবসা করার আগে যে জিনিসটা মানুষের মাথায় আছে সেটা হল টাকা।
আসলে আমার এখানেও প্রবল আপত্তি টাকা কি আসল সমস্যা নাকি টাকা দিয়ে কি করবো সেই প্লানটাই আসল সমস্যা। দেখুন আমার যুক্তি হল; মানুষের জীবনে টাকা জোগাড় করা টা কোন সমস্যা নয়। ধরুন আপনার প্রিয় কারো হঠাৎ বড় কোন অসুখ করলো। আজই অপেরেশন করতে হবে। নয়তো সে বাচবে না।
তখন আপনি কি করবেন? টাকা নাই বলে কি থেমে থাকবেন? নাকি প্রবল ভাবে টাকার খোজ করবেন? এখন একটু ভাবেন তো কি করে এমন একটা বিপদে টাকা ম্যানেজ করবেন? আমি সিওর আপনার টাকা ম্যানেজ হয়ে যাবে। কিছু না পেলে মানুষ কিন্তু নিজের কিডনিও বিক্রি করে। নিজের একটা কিডনি কারো কাছে কিন্তু অপ্রয়োজনীয় নয়। তাহলে কেন সে এমন কাজ করল? কারণ যে কাজের জন্য সে নিজের কিডনি বিক্রি করল, সেই কাজটাকে সে নিজের কিডনির চেয়ে বেশি ভালবেসেছে। তীব্র ভাবে চেয়েছে।
তাই সে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। ব্যবসার সাথে এই উদাহরণের কি সর্ম্পক? আসলে আমি বোঝাতে চেয়েছি আপনি কতটা তীব্র ভাবে চান ব্যবসা করতে? আপনার স্বপ্নটাকে সত্যি করে তুলতে। ব্যবসা মানে হলঃ
ব্য তে ব্যবহার
ব তে বুদ্ধি
সা তে সাহস
এই তিনটা জিনিস আপনার আছে কিনা দেখুন। আর না থাকলে এগুলোর ব্যাপারে কিছু পড়াশুনা করুন। সফল কিছু ব্যবসায়ীর কথাবার্তা, চালচলন, পোশাক -আষাক খেয়াল করুন।
সর্বোপরি আপনার নিজেকে মানসিক ভাবে একজন ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বর্তমান মার্কেট ট্রেন্ড কোনদিকে যাচ্ছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনি যে ব্যবসা করতে চান তার ভোক্তা শ্রেনীর মানসিকতা কেমন, তাদের সামাজিক অবস্থা কেমন, তাদের পছন্দ অপছন্দ কেমন সেটা সর্ম্পকেও আপনার কিছু ধারণা থাকতে হবে। এ ব্যাপারে আপনি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বেশ ভালো একটা আইডিয়া পেতে পারেন। আপনার নিজের ব্যবসা সর্ম্পকে প্রচুর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে।
তবে এখন হচ্ছে মার্কেটিং আর ইনফরমেশনের যুগ। তাই এই দুটো বিষয়ে আপনার বেশ ভালো আইডিয়া নিতে হবে। নতুন কোন ব্যবসা করবেন? আইডিয়া পাচ্ছেন না? ইন্টারনেটে পৃথিবী যে কোন একটা দেশ খুজে বের করুন। দেশ টা বাংলাদেশর কাছাকাছি মানের হলে ভাল হয়। এর পর ঐ দেশ সর্ম্পকে বেশ ঘাটাঘাটি করুন।
এবার ওদের দেশের ইয়োলো পেজ থেকে ওদের কিছু ব্যবসায়ীর ঠিকানা বের করুন। ওরা যে ব্যবসা করে ঐ ব্যবসা আমাদের দেশে কতটা লাভজনক হতে পারে সেটা ওদের কে মেইল করে জানান। এরকম ২০/৩০ জনকে জানালে আপনাকে হয়তো একটি উত্তর পাবেন। হাল ছাড়বেন না। এবার চালিয়ে যান কথাবার্তা।
এরকম আরো খুজে দেখুন। ওদেরকে বলুন আপনি ওদের পন্য বা সেবা এদেশের মার্কেটে আনতে চান। তবে ওদের কে আপনার সবকিছু খুলে বলুন যে আপনার পুঁজি নেই। তবে প্রবল আগ্রহ আছে। এবং আপনি পারবেন।
এখন সারা পৃথিবীতেই একটা বাজার হয়ে গেছে। পন্য কোথায় তৈরী হচ্ছে এখন সেটা কোন ব্যপার না। আশা করি আপনি পারবেন। আপনি যদি ওদের কাছে ঠিক ভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে ওরা আপনার সাথে কাজ করতে রাজি হতে পারে। শুরু করুন এভাবে অথবা ওদের দেশের কোন কম্পানিকে আমাদের দেশের কোন পন্য বা সেবার ওফার দিতে পারেন।
খুব ছোট আকার থেকে শুরু করে এভাবে আপনি আর্ন্তজাতিক মার্কেট এ আপনার নিজের একটা নেটওর্য়াক তৈরী করতে পারেন খুব সহজেই। আমি বেশ কিছু দিন ধরে এমন কাজ করে আসছি, অবশেষে একটু একটু করে সফলতার আশার আলো দেখতে পাচ্ছি পনে হয়। সিংগাপুরের একটা কোম্পানি ফেব্রুয়ারীতে আসছে বাংলাদেশে ওদের একটা কাজে এবং ওরা আমাকে ইনভাইট করেছে। আমার ব্যবসায়ীক পলিসি এবং পরিকল্পনা ওদেরকে জানাতে। ১৫ই ফেব্রুয়ারীতে উত্তরার একটি হোটেলে আমাদের মিটিং হবে।
আপনি যদি চাকরিজীবি হন তাহলে আর যদি বড় কোন রিস্ক নিতে না চান, তাহলে আপনার চাকরীর কাজটাকেই সেবা হিসেবে ব্যবসা আকারে করতে চেষ্টা করুন। অনেক ছোটখাট কোম্পানি আছে যাদের আপনি কনসালটেন্সি দিতে পারেন। [তথ্যসূত্রঃ ব্লগার - মিঠাপুর]
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।