বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসিতে) মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে দুটি সংগঠন। এগুলো হচ্ছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট অব বাংলাদেশ ও গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি বাংলাদেশি আমেরিকান। আজ শনিবার সকালে বিবিসি রেডিওর প্রত্যুষার খবরে এ কথা জানানো হয়।
প্রত্যুষার খবরে বলা হয়, এ দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগটি করা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেলজিয়ামের আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিন বিবিসিকে জানান, আইসিসি যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে ব্যাপারটা এত গুরুতর যে পৃথিবী এর জন্য উদ্বিগ্ন হতে পারে তখনই কেবল আনুষ্ঠানিক তদন্তের অনুমতি দিতে পারে। বিষয়টি আমলে নেওয়ার আগে আরও অনেকগুলো ধাপ রয়েছে। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, ‘এটা এত সহজ ব্যাপার না যে দুটি সংগঠন বা ওয়াশিংটনের জনগণ একটা চিঠি পাঠিয়ে দিল আর মামলা শুরু হয়ে গেল। এ ধরনের চিন্তা হবে বড় একটি ভুল।
’ তিনি বলেন, ‘আইসিসি কোনো মানবাধিকারের আদালত না। এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এখানে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে যে আন্তর্জাতিক অপরাধ হয়েছে। ’
আহমেদ জিয়াউদ্দিন বলেন, ‘খবরে আমি অভিযোগটির বিষয়ে পড়ে যতটুকু জানতে পেরেছি, এখানে বার বার মানবাধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তা দেখে মনে হচ্ছে, হয় কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা প্রচারণার জন্য এটি করা হয়েছে।
হয়তো তাঁদের কোনো রাজনৈতিক লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে। ’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোন অপরাধ বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি, যেটা আইসিসির মানদণ্ডে অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। ’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।