আমার চোখে ঠোটে গালে তুমি লেগে আছো !! মনটা আমার বড় রোমান্টিক । বারবার শুধু প্রেমে পড়ে । কোন সুন্দর মেয়ে চোখের সামলে আসলেই হল , আমি টুপ করে তার প্রেমে পড়ে যাই । কিন্তু সমস্যা হল চোখের আড়াল হলেই সে মনের আড়াল হয়ে যায় । এমনই ক্ষনস্হায়ী আমার প্রেম ।
কিন্তু সব সময় আমার মন একই গতানুগতিক পথ অবলম্বন করবে তার কোন মানে নেই । তা করলও না । টিয়াপাখিকে প্রথম যেদিন দেখলাম যথারীতি তার প্রেমে পড়েই গেলাম । কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম চোখের আড়াল হবার পরেও টিয়াপাখি মনের আড়াল চলে গেল না । তার জল তরঙ্গের মত হাসিটা কিছুতেই ভুলতে পারলাম না ।
তার চোখ তার মুখ ঠোট নাক চুল কিছু আমি ভুলতে পারলাম না । ঐ দিন পুরোটা রাত আমি কেবল টিয়া পাখির কথাই ভাবছি । ভোর রাতের দিকে আমি ঘুমাতে যাই । ঘুমাতে যাওয়ার আগে বুঝলাম তার আগমন ঘটেছে । ঘুমানোর সময় এক অদ্ভুদ আনন্দে আমার সারা দেহ মন পুলকিত হয়ে রইল ।
পরদিন বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল টিয়া পাখিকে আবার দেখার জন্য । সকালবেলা প্রাইভেট পড়া ছিল । কিন্তু সকাল বেলার প্রাইভেট বিকাল বেলায় সিফট করে নিলাম । প্রতিদিন বিকাল বেলা পড়তে যাই টিয়াপাখি কে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখি । আর দীর্ঘ শ্বাস ফেলি ।
কল্পনাতে টিয়াপাখির সাথে কথা বলি । সরাসরি বলতে পারি না । পুরো একটা বছর এক সাথে ছিলাম । প্রায় প্রতিদিনই আমাদের দেখা হত । কিন্তু একটা দিনের জন্যও কথা বলতে পারি নি ।
কি যে সংকোচ ছিল মনের ভিতর । টিয়াপাখি খুব চঞ্চল ছিল । সবার সাথে খুব কথা বলত । কেবল কেন জানি আমার সাথেই কথা বলতো না । খুব কম আমাদের চোখাচুখি হত ।
কি অদ্ভুদ সেই চোখে চাউনি ছিল । আমার পুরো শরীর কেঁপে উঠত ।
তারপর এসএসছি পরীক্ষা চলে এল । পড়া শেষ ঐ স্যারের কাছে । তারমানে টিয়া পাখির সাথে ছাড়াছাড়ি ।
পুরো দুইটা বছর টিয়াপাখির কাছ থেকে দুরে ছিলাম । খুব কম দেখা হত । বছরে দু এক বার ।
তারপর একদিন হঠাত্ করেই টিয়াপাখির সাথে যোগাযোগ হয়ে যায় । একেবারে হঠাত্ করে ।
আমি কখনও ভাবিও নি টিয়াপাখির সাথে আমার আবার দেখা হবে । কথা হবে । যোজাযোগ হবে । মনে পড়ে কি কাঁপা হাতে আমি টিয়াপাখির প্রথম এসএমএসটা খুলেছিলাম । একটা মাত্র লাইন ছিল ।
কি করছেন ? কত না মুঠোফোনে বার্তা পাঠাতাম । কিন্তু তখনও কথা বলার সাহস হয়ে ওঠে নি । আসতে আসতে কথাও বললাম । ওহ ! কি দিন না ছিল সেগুল !
তাও সে তিন বছর পার হয়ে গেছে আগের কথা । মনে হয় যেন এই তো সে দিনের ।
ভাবতেই অবাক লাগে টিয়াপাখির সাথে আমার তিন বছরের বেশি ধরে রিলেশন রয়েছে । এখন কার দিন আর তখন কার দিন !! কত পার্থক্য ! আমার এখনও মনে আছে রাতে কথা বলতে বলত কিভাবে হতাৎ করেই টিয়া পাখি কে প্রোপজ করে বসেছিলাম । করে মনে হল কি করলাম । ভালই তো চলছিল । এখন যদি ও না করে দেয় ? তাহলে তো সব গেল ।
কিন্তু টিয়াপাখি সরাসরি কিছু বলল না । তবে কথা বন্ধ করল না । কথা চলতেই থাকল । তারপর একদিন সেই দিন এল । তখন রাত প্রায় তিন টা ।
টিয়া পাখি স্বীকার করেই ফেলল যে সেও আমাকে ভালবাসে । এখন থেকে না সেই স্কুল জীনন থেকেই । তার পর থেকে তো চলছেই আমাদের ভালবাসার নৌকা । আপনারা দোয়া করেন যেনসারা জীবন এভাবেই চলে । আমার টিয়া পাখি যেন কখনও আমার কাছ থেকে হারিয়ে না যায় !
আমার এই শততম পোষ্টে আমার জীবনের সত্যি কিছু কথা সবার সাথে শেয়ার করলাম ।
আমার টিয়াপাখির কথা বললাম । সবাই ভাল থাকবেন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।