একজন ভীরু মানুষ... রোজ ভোরবেলা বারান্দায় যখন বসি তখন তিলোত্তমা ঢাকা নগরীর (যা বর্তমানে পৃথিবীর এক নম্বর অবাসযোগ্য শহর ) সাথে অতি বেমানান একটা ধানি রংয়ের টিয়াপাখি আকাশে ঘুরে ঘুরে প্রথমে তিনটা পাক খায় তারপর সামনের বাসার খোলা রডে এসে বসে; বসার ৩/৪ সেকেন্ড পরেই কিছু গুন্ডা টাইপের কাক এসে টিয়াকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে আর টিয়াটা একটা অদ্ভুত আনন্দ উল্লাস করে আকাশের পশ্চিম কোণে উড়ে চলে যায় । এই একই ঘটনা প্রতিদিন ঘটে। মনে হয় কি এক অদ্ভুত মজার খেলা চলে নিয়মিতভাবে পাখিগুলোর মাঝে। ওদের খেলা দেখে ছেলেবেলার ছুয়াছুয়ি, গোস্তচুরি, বউছি খেলার কথা মনে পড়ে যায়। ভীষণ অদ্ভুত সুগন্ধময় সময় ছিল ছেলেবেলা! সবকিছুতেই আনন্দ আর বিস্ময় ছিল; ছিল অসাধারণ মুগ্ধ হবার ক্ষমতা।
আজকাল বেশীরভাগ জিনিষ-ই পানশে পানশে লাগে । কিন্তু মজাটা পাইলাম যখন দেখলাম তোতাপাখির ইংরেজিটা জানি কিন্তু টিয়াপাখির ইংরেজিটা জানিনা। এই পাখিটা কেউ পৈশাচিক আনন্দ নিতে শখ করে খাঁচায় পুষে থাকে , কেউ আবার একে দিয়ে মানুষের মত কথা বলানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে । তবে কলম্বিয়াতে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ টিয়াপাখির সবচেয়ে ইউনিক ব্যবহার করে তাদের ম্যাসেঞ্জার ও পুলিশ আগমনের সর্তককারী হিসেবে ! বাংলার মানুষ আদর করে প্রিয়জনকে টিয়া বলে ডাকে তাছাড়াও বাংলা গানে কবিতায় প্রেয়সীকে নানা সময় নানাভাবে টিয়া বলা হয়েছে। টিয়াপাখির ঠোটের মত নাক-তো প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়।
কিন্তু ইংরেজি সাহিত্যে টিয়া পাখির বাজার খুবই খারাপ, এত সুন্দর পাখিটাকে এরা প্রায় মুল্য দেয়নি বললেই চলে । আর তাই হয়তো তোতাপাখি, কাকাতুয়া এসবের ইংরেজি আমরা সবাই জানলেও টিয়াপাখিটার ইংরেজিটা সেভাবে জানা হয়ে ওঠেনি । আমি আগে জানতাম না এখন জানি ; আপনি টিয়াপাখির ইংরেজিটা জানেন কি?
যারা অনেকদিন টিয়া দেখেননি তাদের জন্য ছবিটা দিলাম (গুগল থেকে) :
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।