তোমাকে দেখে অবাক হয়ে যাই বারবার ।
এত আক্রমণ- পরস্পরবিরোধী এত শোকমিছিলের মধ্যেও
কী অনায়াসে বুনে যাচ্ছ লাল পশমের শৃঙ্খলা ।
উদ্ভিদের চেয়ে নীরব, ছাপানো মহাভারতের চেয়ে উদাসীন ।
অথচ- পিছনের দেয়ালেই রক্তছাপ
অথচ- বুকের শাড়ি সরালেই অনাবৃষ্টির চৌচির ।
রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন- কোয়ান্টাম মেথডে এরকম একটি উক্তি আমরা সবাই জানি ।
কিন্তু মনোবিদ্যায় হঠাৎ রেগে যাবার প্রবণতা একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে । মনে রাখা প্রয়োজন, মারামারি, ভাংচুর বা রাগ দেখানো অনেক মানসিক রোগের সাধারণ উপসর্গ । কিছু কিছু মানুষ পাওয়া যায় যাদের বাইরে থেকে স্বাভাবিক বলে মনে হয় কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ খুব সাধারণ কারণে এমনভাবে রেগে যান যে আশপাশের সবাই হতভম্ব হয়ে যায় । ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন যে তার রেগে যাওয়াটা ঠিক স্বাভাবিক না কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না । কারো উপর রাগ, ভালোলাগা, অন্যান্য আবেগ, অনুভূতি ইত্যাদি সম্পর্কে কয়েক পাতা লেখার মধ্যে দিয়ে ।
লেখক এই লেখার মধ্যে দিয়ে নিজের ভেতরে থাকা ক্ষোভগুলোকে হারিয়ে ফেলে । ডায়রি লেখার স্থানটি এখন দখল করে নিয়েছে ব্লগিং । ব্লগের সাহায্য নিয়ে ঠিক ডায়রি লেখার মত মনের সব কথা যেমন প্রকাশ করা যায় তেমনি আবার যারা এই ব্লগের পাঠক, তাদের সুচিন্তিত মতামত লেখকের মনের মধ্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করে । সামাজিক মাধ্যমের অন্যান্য সাইটগুলোর চাইতে ব্লগিং আসলেই একজন ব্যবহারকারীকে চৌকশ করে তোলে যা ফেসবুক বা টুইটার তাদের ছোট্ট স্ট্যাটাসের মধ্যে দিয়ে পারেনা ।
যেমন বাজে খরচ, তেমনি বাজে কথা।
বাজে কথাতেই মানুষ আপনাকে ধরা দেয় । টিন এজ বয়সটা খুবই মারাত্মক । তার সাথে যুক্ত হয়েছে এমন প্রযুক্তি । আপনার টিন-এজ বাচ্চারা ফেসবুকে কী করছে, সেটা তাদের সাথে খোলামেলা কথা বলে জেনে নিন । তাদেরকে সঠিকভাবে গাইড করুন ।
এতে লজ্জার কিছু নেই। এতে তাদের জীবন ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। মা-বাবা'র দায়িত্ব, তাদেরকে সেই ঝুকি থেকে নিরাপদে রাখা । নর-নারীর সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে । কিন্তু ইন্টারনেটে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় সম্পর্ক ভেঙেও যাচ্ছে অনেক ।
সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অনলাইন যোগাযোগে সবসময়ই ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে । যোগাযোগের দুই অধ্যাপক তাদের গবেষণায় দেখেছেন, ইন্টারনেটে জীবনসঙ্গী খুঁজে দেয়ার সাইটগুলোতে ৮০ শতাংশ মানুষই তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও বাড়িয়ে বলছে অথবা সত্য গোপন করছে ।
পুরুষ কি ? বা পুরুষ কে ? এই প্রশ্নের একটা উত্তর হতে পারে যার পুরুষত্ব আছে সেই পুরুষ । কিন্তু এই পুরুষত্বের পরিমাপক কি ? কি দিয়ে আমরা পুরুষত্ব পরিমাপ করব ? সম্ভাব্য একটা সমাধান হতে পারে নারীত্বের বিপরীতে যে বৈশিষ্টগুলো আছে তাই পুরুষত্বের পরিমাপক । তাহলে আমরা কি পুরুষত্ব কিংবা নারীত্ব এই দুই ক্যাটাগরির বাইরে অন্য কোন ক্যাটাগরির স্বীকৃতি দিচ্ছি না ? পুরুষত্ব কিংবা নারীত্ব সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্যগুলোর সার্বজনীন কোন চেহারা কি আমরা দাঁড়া করাতে পারি? বয়স, সমাজ ও সংস্কৃতি ভেদে কি পুরুষত্ব কিংবা নারীত্বের চেহারা পাল্টায় না ? এই ব্যক্তি তার জীবনের ৫২টি বছর কাটিয়েছেন ছদ্মবেশে ।
শুনলে আরও বিস্মিত হবেন যে, জেমস ব্যারী ছিলেন একজন মহিলা কিন্তু তিনি ৫২ বছর কাটিয়েছেন পুরুষের ছদ্মবেশে । আর এই দীর্ঘ সময় তিনি কাটিয়েছেন পুরুষ বেশে সেনাবাহিনীতে । তিনি এমন ভাবে তার পরিচয় গোপন করে রেখেছিলেন যে, সেনাবাহিনীতে কোনও লোকই তার আসল পরিচয় সম্পর্কে জানতে পারিনি । এমনকি তার ব্যক্তিগত ভৃত্য যে তার সাথে ৫০ বছর সময় কাটিয়েছে সেও কখনও তার আসল পরিচয় জানতে পারিনি । তার সত্যিকার পরিচয় ধরা পড়ে তার মৃত্যুর পর ।
মৃত্যুর পরই সবাই জানতে পারে ডা. জেমস ব্যারী পুরুষ ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন নারী । ১৮৬৫ সালের ২৫ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন ।
একটি ছেলে ১টাকার জিনিস ২টাকায় কিনবে যদি এটা তার প্রয়োজনে লাগে । আর একটি মেয়ে ২টাকার জিনিস ১টাকায় পেলেই কিনবে জিনিসটা তার কাজে লাগুক চাই না লাগুক । একজন পুরুষের সাথে সুখে থাকার মন্ত্র কি ? You must understand him a lot and love him a little. একটি মেয়ের সাথে সুখে থাকতে হলে you must love her a lot and not try to understand her at all.-বিবাহিত পুরুষেরা চিরকুমারদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচে ।
সাধারণভাবে আমরা ধরে নিই যে, একজন পুরুষ এবং একজন নারীর মাঝে ভালোবাসার বন্ধনে পরিবার গড়ে ওঠে, তাদের যুগ্ম প্রচেষ্টায় ভালোবাসার ফসল হিসেবে আসে সন্তান-সন্ততি, আরো আসে ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, ইত্যাদি । পরিবারের সদস্যের পারস্পরিক ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে প্রত্যেকের জীবন হয়ে ওঠে সুখময় । কিন্তু নারী+পুরুষের ভালোবাসা কি আসলেই পরিবারের প্রকৃত ভিত্তি ? তাহলে ধূমধাম করে বিয়ের আচার-সংস্কার পালন কেন ? কেন বিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি নেওয়া ? দুজনে নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে একত্রে বসবাস শুরু করলেই ত হয় ! অন্যদিকে, পারস্পরিক ভালোবাসা, এমনকি জানাশোনা না-থাকা সত্বেও ত বিয়ে অহরহই হচ্ছে । অর্থ্যাৎ, বিয়ের মাধ্যমে যে পরিবার, তা’র মূলে প্রায়শঃই ভালোবাসা থাকুক বা না-থাকুক, পরিবার গঠন ত হচ্ছেই । অতএব, নারী+পুরূষের ভালোবাসা পরিবার গঠনে আবশ্যক নয়, আবশ্যক হচ্ছে সামাজিক+রাষ্ট্রীয় রীতিনীতি এবং আইন ।
একারণেই, দুজনে ভালোবেসে একত্রে থাকার ইচ্ছে+চর্চা করলেই যেমন তা’ পরিবার নয়, তেমনি একবার আইনত বিয়ের মাধ্যমে পরিবার শুরু করার পর স্বামী বা স্ত্রী ইচ্ছেমত যখন তখন চাইলেই তা’ থেকে বের হয়ে যেতেও পারে না, বা একই সাথে অন্য কারো সাথেও জড়াতে পারে না ।
বিয়ে সংক্রান্ত প্রচলিত আরেকটি অবিদ্যা হলো বিয়ের জন্যে খরচের প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠা । একটিমাত্র বিয়ের জন্যে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি পোশাক ও অলঙ্কার কেনাকাটা করতে গিয়ে হয় টাকার শ্রাদ্ধ । ঋণ করে হলেও বিয়ের এই ফুটানি করতে গিয়ে অনেক পরিবার দুর্দশায় নিপতিত হয় । বিয়েতে দেয়া হীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে পারিবারিক অশান্তি বয়ে আনে ।
কারণ হীরা বেশিরভাগ মানুষের জন্যেই অশুভ । আসলে বিশ্ব পুঁজিবাদী চক্র নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থেই ভোজন, বিনোদন এবং জৈবিক চাহিদা পূরণকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে প্রচার করতে মিডিয়াকে ব্যবহার করছে । এজন্যেই মিডিয়াতে বিয়েকে কাল্পনিক এক বিশাল ব্যাপার হিসেবে চিত্রিত করা হয় । অথচ বিয়ে একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক ঘটনা যার মাধ্যমে দুজন নর-নারীর জৈবিক চাহিদা পূরণের বিষয়টিই সর্বজন গ্রহণযোগ্যতা পায় । তাই একটি স্বাভাবিক ঘটনাকে আকাশ কুসুম মনে করা এবং এর জন্যে অপচয়ে মত্ত হওয়া অবিদ্যা ছাড়া আর কিছু নয় ।
বরং এই খরচ, ধুমধাড়াক্কা, অপচয় শুধু অকল্যাণই বয়ে আনে । যে বিয়েতে ধুমধাড়াক্কা অপচয় যত বেশি, সে বিয়েতে সুখের পরিমাণ তত কম ।
নারী পুরুষের সম্পর্ক অত্যন্ত সাবলীল একটি ব্যপার । নারী পুরুষের সম্পর্ক হয় বন্ধুত্বের, আবার তা ভালোবাসারও হয় । তবে কারো জীবনে একজন পুরুষ বা একজন নারীর আবির্ভাবই যে ঘটে তা কিন্তু নয় ।
খুব কম সংখ্যক মানুষ আছেন যাদের এমনটি হতে পারে । তবে একজন নারী বা পুরুষের জীবনে ঠিক কতজন নারী বা পুরুষের আবির্ভাব ঘটে তা হিসেব করা কঠিন । অনেক পুরুষ গর্ব করে বলেছেন তারা তারা ১০ জনেরও বেশি নারীর সঙ্গ পেয়েছেন আর নারীদের অনেকেই বলেছেন তারা মাত্র একজনের সঙ্গ পেয়েছেন ।
( চলবে )
( একটা বিষয় নিয়ে লেখার সময় আরো নানান বিষয় চলে আসে । হয়তো অবচেতন মনেই চলে আসে ।
নানান বিষয় আসুক ক্ষতি কি ? নানান বিষয়ের মধ্যে দিয়েই আসল ব্যাপারটা বের হয়ে আসবে । গতকাল আমাকে একজন বলল- "ছেলেরা যেমন হয়" এই লেখাটাতে কি তোমাকে নিয়ে কিছু লিখবে না ? তুমিও তো একটা ছেলে ! আমি বললাম- লিখব, অবশ্যই লিখব । যেদিন ১০০ পর্ব হবে, সেদিন । ১০০ পর্ব থাকবে শুধু আমার নিজের কথা । একান্ত গোপন কথা ।
সত্য কথা । এরপর কেউ হয়তো আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখবে না । যাই, গোছল করি । ভাত খাই । বহুত ভুখ লাগা ।
) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।