পরিশ্রমে সার্থকতা খুজেঁই চলছি। আজ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় এত পরিস্কার করে ছাপানো হয়েছে- চট্টগ্রাম পলেটেকনিকে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা নিজেদের মধ্যে দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র হাতে একজন আরেকজনকে তাড়া করছে। ভাবতে কষ্ট হয়- ছাত্ররা লেখা পড়া শিখতে এসে কি শিখছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ অন্যান্য সকল রাজনৈতিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গদের অনুরোধ করবো- আপনারা নিজেদের স্বার্থে বাংলা হত-দরিদ্র পিতা-মাতার সন্তানদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে জাতীর ক্ষতি না করলে আমরা উপকৃত হবো।
মাননীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবরেণ্য আপনাদের কাছে আবেদন- ছাত্রদের রাজনীতি শিক্ষাগ্রহণে উৎসাহিত করুন তবে কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আদর্শে নয়।
বরং পাঠ্যপুস্তকে রাজনীতি একটি বিষয় সন্নিবেশিত করে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দিন পাশাপাশি ছাত্র থাকা অবস্থায় ছাত্রদের কি বিষয়ে আন্দোলন করা উচিত দেশে কোন সংকট মুহুর্তে তাদের বলিষ্ট ভূমিকা থাকবে সে বিষয়ে জ্ঞান দান করা দরকার। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ছাত্ররা রাজনীতির নামে চাঁদা-বাজি, টেন্ডারবাড়ী, ফুটপাতের দোকান দখল, একালায় কোন বিল্ডিং হচ্ছে সেখান থেকে টাকা উত্তোলন - নাই এহেন খারাপ কাজ তারা করছেনা। আবার এই খারাপ কাজ করতে গিয়ে গুরুতর অপরাধ করলে যায় রাজনীতি বিদদের কাছে- মামা, খালু, চাচা, নেতা - এইটাতো করে ফেলেছি- এখন উপায় কি হবে। আপনি থাকতে আমার যেন কিছু না হয় একটু দেখবেন। আর তখনই ঐ ছাত্র হয়ে যায় নাচের পুতুল।
তাই আপনাদের নিকট আকুল ছাত্র বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যারা অপরাধ করবে সকলকে তার নির্ধারিত শাস্তি পাবার ক্ষেত্রে আপনারা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাধাঁর সৃষ্টি করবেন না। তাহলেই দেখবেন এই দেশে সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজ থাকবে না।
আমি জানি আমার এই আকুতি নদীর চরে সেচ দেয়ার মতো। তবুও চেষ্টা করলাম যদি কোন দিন প্রলেপ পড়ে পলির সৃষ্টি হয়। তাহলে কোন এক সময় বালুচরেও ফসল জন্মাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।