আমি যে কেনো কাঁদি , জন্মাবধি ! বৃষ্টি-দগ্ধ হয়ে ডুবে থাকি কারো তন্দ্রাহত দৃষ্টির গভীরে ... ঊরুসন্ধির দেয়াল পিঠে বেঁধে রাখা বিরঞ্জিত মধ্য-মগজ এর সহস্র কোলাহল থেকে তুলে আনি আমার প্রিয় অর্কেস্ট্রা । মৃত ধুলোবালি , আর মাকড়শার বীর্য ঝেড়ে রজঃস্রাবে ফেলি পা , তারপর হৃত - কাঁকড়ার রক্তের খোলকে সুর তুলি পৌরাণিক বিষাদের । পারিজাত পাপীদের দৃষ্টিমৃত্যুময় বৈঠকখানায় - মিশে যাই অচিরেই ,তারপর ? মায়া হরিণের ভোজন উৎসবে চলে জারজ শব্দের সুঘ্রাণ । যে সুর হারিয়েছি একদিন শুঁয়োপোকার যোনীর ভাঁজে , ম্যাগনোলিয়া অথবা ক্রিসেনথিমামে আজও খুঁজে পাইনি - সেই বেশ্যা যুবতীর কচি নাভিমূল । টেলিগ্রাফ তারে কাঁদে ম্যাচের কাঁঠি , সেগুনের ডালে কাম-মোহিত বকদের স্তন-পিয়ানো-রীডে অলিক সুরের যাদুকরী মূর্ছনার সৃষ্টি জাল । আমাদের আগুন-পাখি তখন খুঁজে ফেরে কালসাপের ওষ্ঠ - কাঠগোলাপ ঠোঁট , আর ইতি উতি জেগে থাকা ঊরুসন্ধির কোমল কালো লোম । প্রিয় জলপাই আচারে - ভাসে তেলাপোকার শুঁড় , একে একে তুলে নিয়ে রচিত হয় বন্য শূকরীর গান , যে গানে মিশে থাকে অপাংতেয় জীবনের বিরঞ্জিত , স্বেচ্ছা- মৃত্যু -ঘ্রাণ । ***
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।