আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে মির্জা গোলাম কাদিয়ানী কাফির কারণ। সে “খাতামুন নাবিইয়ীন”-এর মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা করে নিজেকে নবী দাবি করেছিল। মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, কিয়ামতের আগে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আগমন করবেন। মির্জা কাদিয়ানী দাবি করলো সে সেই প্রতিশ্রুত ঈসা আলাইহিস সালাম। কিন্তু হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম উনার পুত্র হিসেবে আগমন করবেন।
মির্জা কাদিয়ানী তো আর হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম উনার পুত্র না। এটার সুরাহা কিভাবে করা যায়? সেটার সুরাহাও সে করল। মির্জা কাদিয়ানী কিভাবে হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম উনার পুত্র হল সেই বক্তব্য হলো:
‘বারাহীন-ই-আহমাদিয়া’র তৃতীয় ভলিউমে খোদা আমার নাম রাখেন মারইয়াম। দুই বছর আমি মারইয়াম হিসেবে প্রতিপালিত হই এবং নারীসুলভ গোপনীয়তায় বেড়ে উঠি। অতঃপর ঈসার রুহ আমার ভেতর ফুঁকে দেয়া হয় সেভাবে যেভাবে মারইয়ামকে দেওয়া হয়েছিল।
কাজেই রূপকভাবে আমি গর্ভবর্তী বিবেচিত হতাম। বারাহীন-ই-আহমাদিয়া’র চতুর্থ ভলিউমের শেষ অংশে লিপিবদ্ধ ওহি অনুসারে, বেশ কয়েক মাস পর, ১০ মাসের বেশি নয়, আমি মারইয়াম হতে ঈসায় পরিণত হই। এভাবেই আমি হয়ে গেলাম মারইয়াম ইবনে ঈসা। কিন্তু, খোদা সে সময় এই গোপন বিষয়টি আমাকে অবহিত করেননি। ” [কিস্তি-ই-নূহ, রুহানি খাজায়েন, ভলিউম ১৯, পৃষ্ঠা ৫০]
এভাবেই মির্জা কাদিয়ানী সে হযরত মরিয়ম আলাইহিস সালাম হলো।
তারপর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার রূহ গর্ভে ধারণ করে গর্ভবতী হলো এবং নিজের গর্ভে নিজেই হয়ে উঠল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম! নাঊযুবিল্লাহ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।