আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

“ডেইলি বালছা নিউজ"

খেলা নিয়ে স্যাট্যায়ার লেখায় আমার উৎসাহ। “ডেইলি বালছা নিউজ" বালছেলনা-ওসাসুনা ম্যাচ পুনরায় অনুষ্ঠিত!!!!বালছেলনার ১০-০ গোলের বিশাল ছলনাময় জয়!!!!! গতকাল দিবাগত রাত্রে বালছেলনা-ওসাসুনা ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়......মূলত রেফারিরা গত পরশুর ম্যাচে ঠিকমতো টাকা না পাওয়ায় বালছা কে সাহায্য করেনি......তাই শক্তিশালী অসসুনার কাছে তারা ৩-২ গোলে হারে......পরবর্তীতে বালছার সাথে মিটিং এ রেফারীদের বিদ্যমান সমস্যা মিটমাট হওয়ায় ম্যাচটি পুনরায় মাঠে গড়ায়......এসময় ওসাসুনার কোন অভিযোগ বা ওজর আপত্তি আমলে নেওয়া হয়নি...... ম্যাচটি শুরু হবার আগেই রেফারিরা বালছাকে তাদের প্রাপ্য ২টি গোল দিয়ে দে......তবে ওসাসুনার গুলো জরিমানা হিসেবে দেওয়া হয় নাই...... ম্যাচ শুরু হওয়ার সাথে সাথে লেকিচকে ধাক্কা দিয়ে মেষী বল নিয়ে প্রতিপক্ষের পোস্টে এগিয়ে যান......এসময় মেষী পাস দিলে ওসাসুনার ডিফেন্ডার সারজিও সেই পাস প্রতিহত করেন......তার এই মারাত্মক “ফাউলের” জন্য রেফারি তাকে তৎক্ষণাৎ লাল কার্ড দিয়ে একদম স্টেডিয়াম থেকেই বের করে দেন আর তার বাসায় যাওয়ার লোকাল বাসে তুলে দেন......এছাড়াও মেষীকে এই পাসের জন্য একটি গোল মঞ্জুর করা হয়...... এরপর ওসাসুনার প্লেয়াররা তুমুল বেগে বালছার গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে গিয়ে বালছার ডিফেন্স তছনছ করে দে......এসময় হেড ললনা পুওল আর ললনা পিকে এতো পুরুষ দেখে দিশেহারা হয়ে উঠে......এরপর গারসিয়া চমৎকার শট দিয়ে বলকে জালে জড়ালেও রেফারি এই গোলকে ফুটবলীও চেতনার বিরোধী বলে বাতিল করে আর তাকে হলুদ কার্ড দে......পরে বালছার প্লেয়ারদের সুপারিশে তাকে লাল কার্ড দিয়ে মাঠে থেকে বের করে দেওয়া হয়......এসময় অন দা স্পট রেফারীকে বালছার তরফ থেকে ৳৫০০০ ডলার দেওয়া হয়...... এরপর ললনা টেল্লো হুদাই কিছুক্ষণ ছলনা কইরা কচি ললনা আলেক্সিস কে পাস দে......আলেক্সিস এর শট পোস্টের মাত্র ২৫ হাত উপর দিয়ে যায়......এসময় বলটি নুনু কাম্পে আশ্রয় নেওয়া কিছু ছিন্নমূল গে এর মশারীর সাথে লাগে......যেহেতু মশারীও “নেট”--এই অকাট্য ও যুক্তিসঙ্গত কথায় রেফারী এই গোল মঞ্জুর করে...... এরপর ওসাসুনার ফ্রান্সিস্ক পুনাল উইং ধরে বালছার গোলপোস্টের দিকে ছুটে যান......তখন বালছার ডিফেন্ডার কাম ফাইটার আল্ভেজ তাকে দুই ঠ্যাং দিয়া লাথি দেন আর পিকে তার উপর জন সিনার স্টাইলে বসে পরেন......পুনাল উঠে দাঁড়ালে রেফারী তাকে বালছার দুই ললনাকে অযথা কষ্ট দেওয়ার জন্য দুইটা লাল কার্ড দেন......এসময় লেকিচের মতো তাকেও স্টেডিয়াম থেকে বের করে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়......কিন্তু বালছা কমিটির কাছে টাকা না থাকায় তাকে আবার ফেরত এনে স্টেডিয়ামে বেঁধে রাখা হয়...... এসময় হাফ-টাইম শেষ হওয়ায় সব প্লেয়াররা ড্রেসিং-রুমে ফিরতে থাকে......ফেরার সময় বালছার লেডিসদের আগে যেতে না দেওয়ায় ওসাসুনার ৩ জন প্লেয়ারকে ১১ টা করে লাল কার্ড দেওয়া হয়......এসময় কার্ডের সংকট পরায় গুয়ারদিওলা তার নিজের লাল অন্তর্বাস রেফারীকে দান করেন...... এরপর খেলা শুরু হওয়ার পর ওসাসুনার প্লেয়ার ইব্রাহিম বালদে একটি সহজ সুযোগ মিস করেন......তাই রেফারী খেলার সৌন্দর্যের স্বার্থে বালছা কে গোলটি দান করেন......এসময় গোলটি কে পাবে টা নিয়ে ললনাদের মধ্যে চুলোচুলি শুরু হয়ে যায়...... এর কিছুক্ষণ পর বালের ললনা রবার্টো একটি শট নিলে টা কর্নার ফ্ল্যাগের লাইন ঘেঁষে যায়......যেহেতু গোলপোস্টের লাইন আর এই কর্নারের লাইন একই—তাই রেফারী এটিকে গোল ধরেন...... এরপর আরও কিছুক্ষণ ছলনা আর প্রহসন শেষে খেলা ৮-০ গোলে সমাপ্ত হয়......কিন্তু হঠাৎ মাঠে গুয়ারদিওলা প্রবেশ করেন......তিনি বল নিয়ে আস্তে ধীরে ওসাসুনার পোস্টের দিকে এগিয়ে যান......এরপর ফাঁকা পোস্টে একটি শট নেন আর গোল করেন......তার এই অসাধারণ গোল দেখে নুনু ক্যাম্পের সকল গে লোকজন করতালিতে ফেটে পরেন...... এই দৃশ্য দেখে ও শটে মুগ্ধ হয়ে রেফারীরা এটিকে গোল ঘোষণা করেন......তার এই শট অত্যন্ত শৈল্পিক হওয়ায় এই গোলকে দুটি গোলের সমান ধরা হয় আর বালছা কে ১০-০ গোলে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়...... ম্যাচ শেষে রেফারীরা প্রত্যেকে তাদের প্রাপ্য ঘুষ বালছা থেকে নিয়ে নেন......নগদ টাকার সংকট দেখা দেওয়ায় পরে চাঁদা উঠিয়ে রেফারীদের টাকা পরিশোধ করা হয়......

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.