মুশতাহির কল্পবাবু
কেউ কারো জন্য অপরিহার্য নয়। somewhere in blog এর মত আরো যেমন সাইট হবে, তেমনি প্রতিবাদরত পাঠকরা না লিখলেও সময়ের সাথে সাথে তাদেরকে নতুনরা প্রতিস্থাপিত করবে।
দেখুন দোষ দুপক্ষেরই আছে। ব্যান করার পর নোটিশ দেয়ার কোন মানে হয়না। যাদেরকে ব্যান করা হবে তাদেরকে প্রকাশ্যে আগে warning দেয়ার প্রয়োজন ছিল।
এভাবে ব্যান করাতো হুট করে গলা টিপে দেয়ার শামিল।
কিন্তু আমি বলব না তাদের এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে চিন্তা করাটাই ভুল ছিল। নোটিশ ছাপানোর আগের রাতে আমি ছিলাম। সেরাতে রাজাকারপন্থীরা তো বটেই , দেশপ্রেমী যারা তারাও উত্তেজনায় নিজেদের কীবোর্ড সামলাতে পারেননি। ভেবেছিলাম নিজের একটি পোস্ট দেব, কিন্তু ফ্লাডিং আর নোংরা কথায় বিরক্ত হয়ে সেদিন লগআউট করি
পরদিন দেখি এই নোটিশ।
আর তার প্রতিবাদে অনেকের কীবোর্ড বিরতি।
দুটোতেই আমি হতভম্ব।
ধর্মঘট বাঙালির রক্তে ঢুকে গেছে। বোধহয় আমাদের পূর্বপুরুষরা বেশির ভাগই নীলের কারখানায় কাজ করত সেজন্য।
আজ এসব ধর্মঘটের প্রয়োজন নেই।
এটা মালিক শ্রমিক সম্পর্ক নয়। দুপক্ষেরই একে অপরের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। একলেখায় পড়লাম এই সাইটের কর্তৃপক্ষকেই রাজাকার বলা হয়েছে!অথচ ব্যান করার মূল কারণ ছিল ফ্লাডিং এবং স্ল্যাং। তাছাড়া এই সাইট যে আমাদের লেখার ক্ষমতা প্রকাশের একটি বিরাট ক্ষেত্র তৈরী করে দিয়ে আসছে সেটা কি কেউ অস্বীকার করতে পারবে?
আজ কি ঠান্ডা মাথায় সমঝোতা প্রয়োজন নয়?
সব banned লেখককে মুক্ত করা হোক। তাদেরকে আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনা হোক।
পরবর্তীতে এরকম পদক্ষেপের আগে অবশ্যই জানানো হোক।
যারা লেখা বন্ধ করেছেন, তারা ফিরে আসুন। লেখা দিয়ে নিজের মনের ভাব জানান, নিজেকে গুটিয়ে নয়। আপনাদের মাঝে অনেকে অসাধারণ প্রতিভাবান। আমি চাই না হারিয়ে যান তারা।
গলাটিপে দেয়ার প্রতিবাদে নিজেও বোবা সাজা কি যুক্তিসঙ্গত বলুন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।