বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... জানিনা তবে সবাই বলাবলি করছে ব্যাপারটা....এখানে শেয়ার করলাম হ্যালো টুডে থেকে - লিংক নিচে///
অভিনেত্রী মিতা নূরের স্বামী শাহানুর রহমান রানা পরকীয়ায় আসক্ত। এই সন্দেহে ঝগড়া হওয়ায় অভিমান করে মিতা নূর আত্মহত্যা করেছেন।
জানা গেছে, পরকীয়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ স্বামীর সাথে মিতা নূরের ঝগড়া হতো। তীব্র অভিমান আর হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন নিহতের পিতা ফজলুর রহমান ও তার নিকট আত্মীয়রা। অভিনেত্রী ও মডেল মিতা নূরের লাশ সোমবার সকালে উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম হ্যালো-টুডে ডটকমকে জানান, সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় এ খবর পান। গুলশান-১ এর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের (প্রাসাদ লেকভ্যালি) অ্যাপার্টমেন্টের ষষ্ঠ তলার নিজ বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মিতা নূর দুই ছেলে সন্তানের জননী।
তারা হলো, সাদমান নূর প্রিয় এবং শেহজাদ নূর পৃথি। তার স্বামীর নাম শাহানুর রহমান রানা। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যাজনিত ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। গুলশান থানার ওসি বলেন, তার মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা তা জানতে নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলা হচ্ছে। কেউ প্ররোচণা করে থাকলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নাট্যাঙ্গনের একাধিক ব্যক্তি জানান, মিতা নূর চাপা স্বভাবের হওয়ায় সহজে কিছু বুঝা যেতো না। তবে তার স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে না বললেও সবাই তা জানতো। মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার স্বামী শাহানূর রহমান রানার অত্যাচার ও নির্যাতনকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে মিতা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ঝগড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, স্বামী শাহনূরের সাথে পরকীয়া সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মিতার প্রায়ই ঝগড়া হতো।
এছাড়াও পূর্বে রানা মিতাকে দুইবার হত্যার চেষ্টা করেছিলো বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরে বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। এদিকে, মিতা নূরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাসায় হাজির হন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) খন্দকার লুৎফুল কবিরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও উপস্থিত হন অভিনেত্রী তারানা হালিম এমপিসহ নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মিতা নূর ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাপ্তাহিক নাটক ‘সাগর সেচা সাধ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন।
১৯৯২ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অলিম্পিক ব্যাটারির বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে ব্যাপক পরিচিত পান তিনি। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে মিডিয়ায় কাজ করছেন তিনি। এ সময়ে তিনি নাটকে অভিনয় ছাড়াও নিজে পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন। টিভি নাটকে অভিনয় ও মডেলিংয়ের পথ ধরে ২০১১ সালে নাট্য নির্মাতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন বলে জানা যায়।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।