আমি একজন ........
নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে লুৎফুন্নাহার নয়ন নামে এক গৃহবধুর পুরো শরীর বেধড়ক পিটিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে স্বামী ইদ্রিস। মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ২ দিন পরও তাকে কোন রকম চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে ঘরে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে বড় বোন গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। স্বামী ইদ্রিস স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে এজন্য তার কিছুই হবেনা বলে দম্ভোক্তি করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয়ন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৬ সালে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চর এলাহির চাঁন মিয়ার ছেলে ইদ্রিস কবির হাট উপজেলার আবুল হাসানের ছোট মেয়ে লুৎফুন্নাহার নয়নকে বিয়ে করে।
প্রথম দিকে নয়ন ও তার পরিবারের এ বিয়েতে অমত থাকলেও ইদ্রিস ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে অনেক চাপাচাপিতে বিয়ে করে। বিয়ের প্রথম সপ্তাহেই ইদ্রিস স্ত্রীর সমস্ত স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে দেয়। এরপর থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য একের পর এক নয়নের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ৮ মাসের মাথায় শশুর বাড়ির টাকায় ইদ্রিস বাহরাইন গেলেও সেখান থেকে স্ত্রীর সাথে তার সব রকম যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। চলতি বছরের জুলাইয়ে বিদেশ থেকে এসে ইদ্রিস আরো টাকার জন্য নয়নের ওপর নির্যাতন শুরু করে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। লাঠির আঘাতে লুৎফা জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পরও থামেনি নির্যাতন। এক পর্যায়ে গরম লোহার রড দিয়ে তার সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। বিনা চিকিৎসায় তিন দিন গৃহকোণে আবদ্ধ অবস্থা থেকে বড় বোন আলেয়া বেগম নয়নকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সরা জানান, আঘাত গুরুতর হওয়ায় সেরে উঠতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
সু: http://www.loksangbad.com/details.php?id=237
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।