Claustrophobic হওার কারনে ভির এ যেতে পারিনা কোখোনো। বিভিননো সময় অনেক কিছু মিস করেছই আমার এই অদ্ভুত ফোবিআ'র কারনে। সবচে বরো যে ব্যপার টা মিস করি আমি প্রতি বছর সেটা হল শহীদ মিনারে একুশে ফেব্রুয়ারি'র দিন ফুল নিবেদন করে শ্রদ্দা যানানো। নিজেক এই বলে স্বান্তোনা দিতাম যে ফুল দিতে না পারলে ও শহিদ দের প্রতি শ্রদ্দা ও বাংনা ভাষার প্রতি ভালোবাসা কোন অংশে কম নেই।
কিন্তু এবার শহিদ মিনার এলাকায় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা) গিয়ে মনে হল, শুধু মনের ভালবাসা দিয়ে আর কাজ হবেনা।
কারন মুললোবোধ এর এতোটাই অবক্ষয় হয়েছে যে যাদের মনে এই চেতনা টুকু অবোশিষ্ট আছে তাদের কে সেটা রক্ষা করতে হবে।
এই কথাগুলি কেন বলছি তা কয়েকটা দৃশ্যের বর্ননা দিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
দৃশ্য - ১:
একটি নির্জন জায়গায় কিছু কপোত কপোতি এতোটাই আপোত্তই জনক ভাবে ছিল যে আমরা বুজে পাচ্ছিলাম না এটা শোবার ঘর নাকি বিশ্ববিদ্যালয়!! তাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। কাল সারি র পন্জাবি পরে ভালবাসা কদর্য করাটাই কি একুশ?
দৃশ্য - ২:
আরেক রাস্তায় বিরাট বড় বড় স্পিকার এ ফুল ভল্যুমে "চিকনি চামেলি" বাজাচ্চেন এবং নাচানাচি করছেল কয়েরযন। সংগীত সার্বজনীন, কিন্তু এক টা দিন ও কি মাতৃভাষার প্রতি শ্রদধা দেখান যায়না?
দৃশ্য - ৩:
একটি Video তে দেখান হল, কিছু তরুনদের ক জিগ্গেষ করা হচ্ছে একুশে ফেব্রুয়ারি'র ইতিহাস সম্পর্কে।
আফসোস, অধিকাংশই এই গৌরবগাথা ঠিকমত জানেন না। তাহলে এটা কি শুধুই একটা HOLIDAY??
দৃশ্য - ৪:
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভাষা সৈনিক দের ইন্টারভিউ দেখান হল। ভাষার অবক্ষয় এর ব্যাপারে অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তই বক্তব্য দিলেন। অথচ, একটা ব্যাপারে কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সেটা হল, ঢাকা শহরে এত ইংরেজি মাধ্যম স্কুল কেন? কারন দেশ এর কোন চাকরির ইন্টারভিউ তে প্রার্থী কে বাংলায় প্রশ্ন করা হয় না।
আজকাল তো চাকরিতে বাংলা না জানা টাই STYLE. জীবন ধারনের উপায় নিশ্চিত করতে তাই সবাই জুকছেন ইংলিশ এর দিক এ যেখানে আমাদের এই ভাষাটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর সম্মান পে্য়েছে। এখানে বলা যেতে পারে যে আমাদের দেশ টা তো এখনো এতো উন্নত না যে যারা আমাদের কে ব্যাবসা দেয়, তাদেরেকে অপ্রস্তত করি কি করে। চীন আজ যে অবস্থানে আছএ, তা বেশিদিন হয়নি, অথচ তারা আগেও নিজের ভাষায় সব কাজ করত, এখন ও করে। তাহলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর জন্ম যে দেশে, পৃথীবির একমাত্র দেশ যে দেশের লোক মাতৃভাষার জন্নে জীবন দিয়েছএ সে দেশ কেন শুধু একটি দিন বুলি আউরানর মতন করে কিছু গতবাধা কোথা বলে??
অতঃপর: কিছু ফুটফুটে শিশু কে দেখলাম বাব মা'র হাত ধরে ফুল হাতে নিয়ে, বুকে কাল ব্যজ এটে, ছোট ছোট পায়ে অনেক খানি রাস্তা হেটে শহীদ মিনারে যাচ্চে ফুল দিতে। তখন, আশাহত হতে গিয়েও আশা জাগল, এখনও সব শেষ হয়নি।
কেউকেউ এখনো তাদের বাচ্ছাদের সঠিক পথ দেখাচ্চেন। ওদের নিঃষ্পাপ চোখ এর দিকে চেয়ে এত হতাশার মঝেয় আশা হল যে খুব শীঘহ্রী ই একদিন হয়ত এই জাতি তার সত্যিাকার গৌরব কে চিন্হিত করতে পারবে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।