দিলের দরজা ২৪/৭ খুইলা রাখি মাছি বসে মানুষ বসে না। মানুষ খালি উড়াল পারে! এক দিন আমি ও দিমু উড়াল, নিজের পায়ে নিজে মাইরা কুড়াল...
মেয়ে ছোটটা জিজ্ঞেস করল, বাবা আমরা কি আজকে তারাতারি ঘুমাবো? আমি বললাম, হ্যা। তারাতারি ঘুমাতে হবে, কাল সকালে বের হবো। মেয়েরা জিজ্ঞেস করল, আমরা কোথায় যাচ্ছি সকালে! আমি বললাম, বাবা শহীদ মিনারে যাবো। ঐ যে মনে নাই একুশে ফেব্রুয়ারী।
কানাডায় থাকতে বাংলা স্কুলে ছবি আঁকা প্রতিযোগীতায় শহীদ মিনার একে তুমি পুরস্কার পেয়ে ছিলে! কাল সকালে আমরা ঐখানে যাবো। মনে নাই, ইন্টার ন্যাশনাল মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ ডে! ভেন্কুভারের দুইটা বাংলা ম্যান, আবদুস্ সালাম আর রফিকুল ইসলাম!
আমার বড়টা বলে উঠল, আই নো। আই নো। ছোট টা বলে উঠল, হুজুর পিপল মাইট থ্রো আস আ বোম্ব! আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু গো। বড়টা বলে উঠল, উই ডোন্ট ওয়ান্ট টু ডাই! আমি বললাম, কে বলেছে তোদের এই সব! ওরা বলল, তাবিয়া আপু বলেছে।
ও টিভিতে দেখেছে। আমরা ও দেখেছি!
বোনের বাসায় গিয়েছিলাম বিকেলে, চ্যানেল আই'র খবর দেখে জে এম বি'র মামুনের বোমাবাজীর খবর দেখছিলাম। ছোটটা বার বার জিজ্ঞেস করছিল, হু ইজ মামুন? ও'দেখতে কেমন! ইজ হি বল্ড!
আমি মেয়ে কে আবার ডেকে বলি, বাবা তাবিয়া আপু কি বলেছে! মেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে ভয়ে ভয়ে বলল, বাবা তুমি জানো ওই যে মানুষ গুলো আছে মাথায় সাদা কাপড় পড়ে। ওদের ড্রেস গুলো লং, আর সাদা! ওরা বম্ব থ্রো করতে পারে। মে বি আই আন্ডাষ্টান্ড রং! বাট ও এইটা বলছে!
মনটা আমার খারাপ হয়ে গেল।
আমাদের ছোট বেলায় ২০ তারিখ রাতে মহল্লার ফুল চুরির হিড়িক পরে যেত। ২১ তারিখ ভোর হতে বাপের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাওয়া হয়ে যেতাম। টইটই করে ফিরতাম শহীদ মিনার থেকে শহীদ মিনার। আর আমি যখন বাবা হলাম, বাচ্চাদের নিয়ে নিজেই বের হতে চাই অথচ ওরা বলে অন্য কথা!
ফাল্গুনের ১ তারিখ ওদের নিয়ে বের হইছিলাম, জানি না ভীড় টির ঠেলে কাল ওদের নিয়ে কতটুকু যেয়ে উঠতে পারবো। মেয়েদের বললাম কোন বোমাটোমা কেউ মারবে না, আমরা কালকে যাবো বাবা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।