আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুক আইডির নিরাপত্তায় ৭ টি মন্ত্র

সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। আজকের দিনের টেক সচেতন একজন ব্যাক্তিকে যদি জিজ্ঞেস করেন তার ফেসবুক আইডি আছে কিনা? এবং উত্তর না হবে এটা খুজে পাওয়া ভার। কারন আজকাল ব্যক্তিগত প্রয়োজন থেকে শুরু করে ব্যবসায়িকসহ প্রায় সব কাজেই এখন ফেসবুক চাহিদা মিটাচ্ছে। এই যেমন চ্যাটিং, ভয়েস কল কিংবা সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল দূরে থেকেও কাছে থাকা। আর ফেইসবুকের জনপ্রিয়তার প্রমান আপনারা গত কয়েক বছরের দিকে তাকালেই পেয়ে যাবেন।

ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড জায়েন্ট, গুগলকে কে না চিনে, সেই গুগলকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড সাইট হিসেবে উঠে এসেছে ফেইসবুক । অবশ্য ২০১০ এ এই ফেইসবুক ১০ এর ঘরেই ছিলো, এবং বিগত ৩-৪ বছর তারা সামনেই আগাচ্ছে। ফেবুর জনপ্রিয়তার প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে গুগল প্লাস মাঠে আছে তাই দেখা যাক গুগল আর এফবির খেলায় কে যেতে। খেলায় যেই জিতুক শেষ পর্যন্ত আজকে আমরা আলাপ করবো ফেইসবুক আইডির নিরাপত্তা নিয়ে। নিচে দেখা যাক এর প্রতিরোধের কিছু উপায়, যা অবলম্বন করলে হয়তো আপনি ক্ষতি থেকে আপনার আইডি রক্ষা করতে পারবেননা, কিন্তু অনেকটা সুবিধাজনক পর্যায়ে রাখতে পারবেন।

১. হুমকি ধামকি চলবেনাঃ কাউকে ভুলেও, মজা করেও ফেইসবুকে থ্রেট দেওয়া যাবে না। আবার গালিগালাজ করা থেকে ও বিরত থাকতে হবে। নাহলে কেউ যদি রিপোর্ট করে আইডির আশা ছেড়ে দিতে হবে। ২. শক্তিশালী পাশওয়ার্ড প্রয়োগঃ কোন আইডির সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে মিশ্র ধরনের পাশওয়ার্ড এর দিকে নজর দিতে হবে। মানুষ সবসময় যে কমন ভুলটা করে তা হল নিজের ডিটেলস দিয়ে পাশওয়ার্ড দেয়, কিন্তু তা মোটেও নিরাপদ না।

যেমনঃ নিজের নাম, পরিবারের কারো নাম, জন্ম তারিখ কিংবা মোবাইল নাম্বার এ ধরনের তথ্যাদি। মনে রাখবেন পাশওয়ার্ড দিতে গেলে বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর যেকোন অংক, স্পেস ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। আর স্পেশাল চিহ্ন ও রাখতে পারেন। যথাঃ *, %, # ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন। পাসওয়ার্ডের মোট অক্ষর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কমপক্ষে ৬ সংখ্যার পাশ দিতে হলেও চেষ্টা করুন যাতে মিনিমাম ১০-১৫ অংক বিশিষ্ট হয়। আর পাসওয়ার্ডকে যাতে ভুলে না যান সেজন্য অন্য কোথাও সংরক্ষন করুন। ৩. নিয়মিতভাবে পাশওয়ার্ড পরিবর্তনঃ নিয়মিত ভাবে নতুন পাসওয়ার্ড দিন, দেখবেন তাতে পাশ ফাস হলেও ভয়ের কিছু থাকবেনা। আর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে Forgot Password নামক অপশনটিতো অপেক্ষা করছেই আপনাকে হারানো পাশ ফিরে পেতে। ৪. ব্যাক্তিগত তথ্য সম্বন্দে সাবধানতাঃ প্রোফাইলে এমন কোন তথ্য দিবেন না যাতে দুষ্টচক্র এর হাতে আপনার তথ্য পাচার হয়ে যায়, আর সেই তথ্য থেকেই আপনার পাশওয়ার্ড ব্রেক হয়ে যায়।

এক্ষেত্রে নিরাপদ হল সেইসব তথ্য কাউকে না দেওয়া। এবেপারটা ব্যবহার করে আমি নিজে ৬ টা আইডি চেষ্টা করে ১০০% সফল হয়েছি। সো ডন্ট ডু দ্যাট, অবশ্য আমি তাদের দূর্বলতা চেক করার উদ্দেশ্যেই সেটা করেছি। ৫. অপরিচিত/ফেক একাউন্টকে বন্ধু বানাবেন নাঃ একটা অপরিচিত ব্যাক্তিকে কখনোই রিকোয়েষ্ট বা এক্সেপ্ট করা উচিত নয়, কারন এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাড়াতে পারে। তাই ছবিহীন প্রোফাইল বা প্রয়োজনীয় ইনফো ছাড়া কাউকে এড করা কোন ভাবেই উচিত নয়।

৬. লিঙ্ক ক্লিকে সতর্কতাঃ ধরুন আপনাকে কেউ একজন একটা লিঙ্ক দিল, কিন্তু আপনাকে সেই লিঙ্কে ক্লিক করার আগে বেশ কয়েকবার চিন্তা করা উচিত। যেমন এমন হল এটা পিশিং লিঙ্ক, বা কুকি ষ্টিলিং স্ক্রিপ্ট বা বিপদ জনক কিছু, যা আপনার যেকোন প্রাইভেসি ভাংতে পারে। ৭. ইমেইল সূরক্ষা ও এর সতর্ক ব্যবহারঃ ইদানিং সবচেয়ে বেশি হ্যাক হয় ইমেইল এর মাধ্যমে, তাই ইমেইল এড্রেসের কোন লিঙ্কে যদি ব্যাক্তিগত তথ্য চায়, তাহলে ভুলেও সেই খানে কিছু দিবেননা, আর ফেইসবুকের হ্যাক কিন্তু ইমেইল দিয়েই করা যায়, তাই আপনার ইমেইল এড্রেসের পাশওয়ার্ডও অনেক ষ্ট্রং করবেন, নাহলেতো বুঝতেই পারছেন। আর সবসময় খেয়াল রাখবেন http://www.facebook.com এর লিঙ্ক ছাড়া আর বাকি সব লিঙ্ক ফেইক যেমন http://www.faceb00k.com। কি দেখতে একই মনে হচ্ছে তাইনা, কিন্তু বিপদ এখানেই কাজেই কখনো এই ধরনের মেইলে ক্লিক করবেন না।

কারন এগুলো ফিশিং সাইট, যা ফেইক অর্থাৎ ভুয়া। এই কয়েকটা পয়েন্ট কাজে লাগিয়ে আশাকরি আপনি বেশ শক্ত একটা অবস্থানে যেতে পারবেন, আপনার আইডিকে ৬০% সেফার বলতে পারবেন।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.