হরবোলা পৃ্থিবীর সমৃদ্ধ ভাষা সমূহের মধ্যে বাংলা অন্যতম। যার রয়েছে স্বাতন্ত্র্য, রয়েছে ঐতিহ্য। ১৯১৩ সালে রবি ঠাকুরের নোবেল বিশ্ব দরবারে বাংলার ঝান্ডা উড়িয়েছে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাংলাকে দ্বিতৃীয় বার বিশ্ব দরবারে চিনিয়েছে। ২১শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাকে সম্মানের আসনে বসিয়েছে।
শুনেছি বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্য তোড়জোড় চলছে। জয়তু বাংলা, জয়তু বাংলাদেশ।
বাঙ্গালী হয়ে বাংলাকে কি আমরা মন প্রাণ সপেঁ ভালবেসেছি? আমাদের যুব সমাজ হিন্দি ও ইংরেজীতে আসক্ত। বাংলা ভাষার রস ও রুপ তাদের আকৃষ্ট করতে পারছেনা। ফলে আমরা নিজকে পরের চাঁচে গড়ে মেকী সাজার আয়োজন করছি।
যার ফল আজকের সামাজিক বিশৃংখলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও পারস্পরিক অসহিষ্ণুতা। আজকের রাহাযানি, হানাহানির মূলে রয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা। বাংলার প্রতি ভালবাসাই পারে আমাদের বহুধা বিভক্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে এক সূতায় বাঁধতে।
দু’য়ে দু’য়ে চার আবার দু’ দু’গুণে চার। যোগ আর গুণনের একি অত্যাচার? অত্যাচার আর ভালবাসা যাই হউক চার সংখ্যাটির গুরত্ব অপরিসীম।
চার খলিফা, চার ঈমাম। চতুষ্পদী জন্তু ও চৌকোণাকার। বাঙ্গালী সমাজ চারের অত্যাচারে বিপর্যস্ত।
বাংলাদেশে বর্তমানে চার ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। বাংলা মাধ্যম, ইংরেজী মাধ্যম, সরকারী মাদরাসা ও কাওমি মাদরাসা।
যা চার মেজাজ ও মননের মানুষ ফয়দা করছে। ইংরেজী ও কাওমি দু’টি ধারা দ’মেরুর হলেও সমাজে সমান সমস্যা সৃষ্টি করছে। ইংরেজীর উৎপাদ পশ্চিমা কৃষ্টি-কালচার চাষবাস করে সাথে আগাছা হিসাবে হিন্দি পেয়েছে। তারা পশ্চিমের ভূগোল, ইতিহাস ও সাহিত্য পড়ে পশ্চিমা মননের মানুষ হবার বৃথা চেষ্টা করছে। বাসায় হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়াল দেখে তারা পশ্চিমা ও প্রাচ্যের জগাখিচুড়ি হচ্ছে।
বাংলা তাদের অন্দর ও বাহিরে স্থান করেনি। নিত্যান্ত ক্ষেত না হলে তারা বাংলা চর্চা করেনা।
কাওমি উৎপাদ হাদিস কোরানের সাথে আরবি সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ইতিহাস অধ্যয়ন করে। সাথে ফার্সি শেইর ও ইসলাম জহাদের জযবা শিখছে। এরা জেহাদী বলে বলিয়ান হয়ে মাথার চুল খাড়া করে বাংলা ও বাঙ্গালীকে প্রতিনিয়ত ধর্ষন করছে।
সরকারী মাদরাসার উৎপাদ দু’মেজাজের সংমিশ্রণে ঘন্ট পাকিয়ে ভণ্ড সাজছে। জেহাদি চেতনা ও কোমর দুলানী সংস্কৃতিকে পুঁজি কর সমাজকে প্রতারিত করছে। এরা গাছের খেয়ে তলার কুড়াবার আশায় সমাজকে বিশৃংখলা ও ভঙ্গুরতার দিকে ঠেলছে।
বাংলা মাধ্যমের উৎপাদ আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখছে বললে অতুক্তি হবেনা। তবে আজকাল এতে হিন্দির অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
এক বঙ্গদেশে চার ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা চার মননের মানুষ তৈরী করছে। যা সমাজকে প্রতিনিয়ত অস্থির করছে। আমরা বঙ্গীয় বাঁশীওয়ালার অপেক্ষায় প্রহর গুণছি। যার সুরের মোহে চার ধারা এক হয়ে পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় বয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়ে সঙ্গম করিবে। অন্যথায় জাতির ললাটে দুঃখ আছে।
এই বঙ্গদেশে কাহরো আলখেল্লা বড় হতে হতে গোড়ালীর নিচে নেমেছে। কাহারো ফুলপ্যান্ট থ্রী-কোয়াটার, অতঃপর হাফপ্যান্ট হয়ে অবশেষে পেন্টিতে ঠেঁকেছে। কাহারো পাঞ্জাবীর নিচে পায়জামার পরিবর্তে প্যান্ট গজিয়েছে বটে, তবে দাঁড়ী বহাল তবিয়তে আছে। বাকীদের শাট-প্যান্ট ও লুঙ্গী ও শাড়ী এদিক সেদিক উকি-ঝুঁকি মারছে।
পেন্টি দেখে আলখেল্লাওয়ালার লালা ঝরছে।
পায়ের রক্ত মাথায় উঠছে। মষ্তিষ্ক বিকৃত হলে বোমা ছুঁড়ে মারছে। তিন বিকৃত রুচির ধর্ষনে বাঙ্গালী সমাজের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে যে কোন সময়ে সংজ্ঞা হারাতে পারে। মাননীয় কর্তৃপক্ষ, এই চার ধারাকে এক করে বাঙ্গালী সমাজের সাথে মালা বদল করে দেন।
তবে এরা রাতের বেলা সুখের বাসর করে সকালে সংসার সাজাবার আয়োজন করবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।