আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে একেকটা সময় একেকটা পেশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। নীচে তার কিছু পরিসংখ্যান দিলাম_________

২০০৩-২০০৪ >> ডেস্টিনীঃ ওই সময়ে বেশির ভাগ পোলাপাইন্ রে জিগাইলেই পোলাপাইন কইতো ডেস্টিনী করি। ভাবটা বিল গেটসের নাতির মতো। পোষাকেও মাশাল্লাহ্‌ , পুরা অফিস অফিস ভাব। আমি তখন চিন্তা করতাম... আজীবন কি আমি এই রকম রাস্তার পোলাপাইন্‌ই থাকুম? ২০০৫ >> বিবিএঃ এই সময়ে বি.বি.এ. নামক বিষয়টির ব্যাপক প্রসার ঘটে। পোলাপাইনের 'বাপ-মা' একজন আরেকজনকে বলতো - বি.বি.এ. পড়ে নাই! আপনার পোলা তাইলে তো চাকরি পাইবো না! করছেন টা কি? পোলার ভবিষ্যত তো শেষ! ২০০৬>> সিএসইঃ ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের প্রসারের জন্য এই সময়ে সি.এস.ই. বিষয়ের বাম্পার ফলন হয়।

বিজ্ঞানে এইচ.এস.সি. পাশ করলেই কম্পিউটারে পড়তে হইবো! কারন এইটা একটা হেব্বি ভাবের বিষয় ছিলো আর চাকরিও নাকি ওয়ান-টু'র ব্যাপার! ২০০৭-২০০৮>> ইইইঃ বিদ্যুতের ব্যাপক সংকটের কারনে কিনা জানি না! কিন্তু এই সময়ে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কদর জামাই বাড়ির মতো বাড়তে থাকে। যদিও বিদ্যুত সমস্যার সমাধান না হইলেও ইলেক্ট্রিক্যাল্‌ ইঞ্জিনিয়ারের অভাব হইলো না দেশে। কোন মতে ভোল্টেজ মাপতে পারলেই হইলো। ২০০৯>> ফ্যাশন ডিজাইনিং ও ফিল্ম : এই সময়ে সবার মাঝে শিল্প চেতনার বিকাশ ঘটে। মার্চেন্ডাইজিং এর অনেক বেতনের লোভে ফ্যাশন ডিজাইন, টেক্সাটাইল এইসবে পোলাপাইনের জোয়ার দেখা যায়।

সাথে ফ্লিম লাইনেও পোলাপাইন্‌ হুমড়ি খায়। কে জানে পরবর্তী অনন্ত জলিল তৈরির কারখানা হয়তো ওই খানেই! ২০১০ >> ফটোগ্রাফারঃ এই সময়ে ফটোগ্রাফিতে পিপঁড়ার মতো সিরিয়াল দেখা যায়। হয়তো এস.এল.আর. ক্যামেরার দাম কইমা যাওয়া এর একটি প্রধান কারন হইতে পারে। যাই হোক এক সমীক্ষায় দেখা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে ফটোগ্রাফারের সংখ্যা আর কাউয়ার সংখ্যা সমান! ২০১১ >> শেয়ার ব্যাবসাঃ এই সময়ে এই ব্যাবসাটি মহামারী আকার ধারন করে এবং এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে আছে! কেউ হালের বলদ, কেউ চাষের জমি বিক্রি করে শেয়ার বাজারে টাকা খাটায়। তারপর সর্বস্বান্ত হয়ে ঘরে ফিরে।

(আমি নিজেও এই ব্যবসায় মারা খাইছি) ২০১২ >> সাংবাদিকঃ টিভি চ্যানেল বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে পিঁপড়া আর সাংবাদিক সংখ্যা সমান হয় এই সময়ে। কেরামতের বাথরুম হয় না এইটাও লাইভ দেখায়! আবার আব্দুর রহিম বাজার করতে গিয়া রিকশা থেকে পইড়া গেছে এইটাও লাইভ দেখায়! ২০১৩ >> ব্লগিংঃ বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্বেও অনিবার্য কারনবশতঃ এই ব্যাবসাটির বাম্পার ফলন হয় নি। চিটা ধরা ধানের মতো অকালেই মৃত্যুবরন করিলো এই উজ্জ্বল সম্ভবনাময় শিল্প! শুরুর দিকে অনেকেই কইতো আপনি কি ব্লগার? যখন বলতাম না! তখন অনেকেই বলতো - অশিক্ষিত পোলাপাইন্‌। এখন এদের অনেকেই আমি ব্লগার না কইয়া দিনে ১০টা স্ট্যাটাস মারে দেখি। দ্রষ্টব্যঃ গবেষণাটি আমি একাই করিয়াছি এবং অনেক তথ্যে হালকা গোলমাল থাকতে পারে! আশা করি এই গবেষণা পত্রটি দেখিয়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করিবে।

আইজকালকার বাজারে ডক্টরেট ডিগ্রী ওয়ালা পাত্রের নাকি অনেক দাম! সংগৃহীত কৃতজ্ঞতায়- গালিব ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.