আমি মানুষ হতে চাই।
চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে করে আবুবকর হানিফ আমেরিকায় আসেন ডিভি লটারি পেয়ে।
কিছুদিন ওড জব করে ভর্তি হয়ে গেলেন নিউইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজিতে। ১৯৯৯ সালের দিকে চাকরিতে যোগ দিয়ে দেখলেন বিশাল একটি খাত এই আইটি খাত।
যোগ্য দক্ষ মানুষের বেশ অভাব আর যারা আসছে তাদের অধিকাংশই ভারতীয়।
তার মাথায় দ্রুত চিন্তা আসলো, বাংলাদেশিদের এই পথে কিভাবে এগিয়ে আনা যায়। তাই নিজেই এবার ট্রেইনিং দেওয়া শুরু করলেন।
ওয়াশিংটনের ভার্জিনিয়ায় ততদিনে নিজের সংসার পেতে বসেছেন আবু হানিফ। দেশ থেকে বিয়ে করে স্ত্রীকেও নিয়ে এসেছেন। ভার্জিনিয়ায় ভাড়া করা ছোট্ট একটি বাড়িতে তখন অনেক মানুষের আনাগোনা।
কেউ টেক্সাস থেকে কেউ মিশিগান থেকে ছুটে আসছেন হানিফের কাছে প্রশিক্ষিত হতে। অনেকেই পুরো সপ্তাহ কাজ করে শুক্রবার রাতে ভার্জিনিয়া ছুটে যেতেন। সারা রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে আবু হানিফের কাছে নিতেন প্রশিক্ষণ। দুই দিন-রাত প্রাণান্ত খেটে রোববার রাতে ফের ছুটতেন কাজে যোগ দিতে।
২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাব যাত্রা শুরু হলো “পিপল এন টেক ” নামক ট্রেইনিং সেন্টারের।
স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশন ফর ভার্জিনিয়ার সার্টিফায়েড কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এটি। এছাড়া নিউইয়র্ক সিটির অথরাইজড এম্লয়মেন্ট এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে পিপল এন টেক।
আবুবকর হানিফ দাবির সঙ্গে বলেন, “ভার্জিনিয়ার প্রতিটি বাঙালি পরিবারে এখন একজন করে আইটি শিক্ষিত রয়েছে। ”
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের মধ্যে ট্যাক্সিক্যাব চালানোর প্রবণতা বেশি এই কথা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আমার ইচ্ছা এই ট্যাক্সি কে আইটি দিয়ে রিপ্লেস করে দেবো।
তিনি জানান, বয়ষ্করা যারা দিনান্ত খেটেও বছরে ৩০ হাজার ডলার আয় নিশ্চিত করতে পারেন না, অনেক ভালো ভালো পদে কাজ করেও যাদের আয় ৫০ হাজার ডলারের ওপরে ওঠে না, তারাই এখন কাজ ফেলে এই প্রশিক্ষণ নিতে চান।
তথ্য সূত্র
ফেসবুক পেইজ
"পিপল এন টেক" এর কিছু রিভিউ
এক্সট্রা রিভিউ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।