সদিন বাজারে এক পরিচিত দৃশ্যের সম্মূখীন হলাম। পরিচিত বললাম এজন্য এধরণের দৃশ্যেপট বাস্তবতায় এবং নাটক- নভেলের কল্যাণে আামাদের নিকট পরিচিত হয়ে গিয়েছে। দোকানে কাপড় দেখছেন এক ভদ্রলোক এবং ভদ্রমহিলা। হঠাত ভদ্রমহিলা গলায় কিছুটা ঝাঁঝ নিয়ে বলে উঠলেন ‘তুমি কি বোঝ?” (আগের কথা শুনিনি এটি একটু চড়া স্বরে হওয়ায় পাশ থেকে শুনে ফেললাম) আড়চোখে ভদ্রলোকের দিকে তাঁকিয়ে দেখলাম। বেশ কেতাদুরস্তই মনে হলো।
মনে মনে হাসলাম তার এই হাল দেখে।
মনে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের আমাদের স্যার খন্দকার বজলুল হক (যিনি বর্তমানে একটি সরকারী ব্যাংকের চেয়ারম্যান) একদিন ক্লাশে সফল ব্যবস্থাপক বনাম সফল স্বামী প্রসঙ্গে কথাচ্ছলে বলছিলেন যে, সব স্ত্রীই তার স্বামীকে অকর্মণ্য,অপদার্থ মনে করে থাকে। একজন সফল ব্যবস্থাপক বা একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক যার দক্ষতার কোন তুলনা হয়না কোন কালেই, তার স্ত্রীকেও যদি জিজ্ঞাসা করা হয়: ‘স্বামী হিসেবে উনি কেমন’ ? তাহলে চট করে বলে ফেলবেন ‘উনি কোন কাজেরই না’। স্মামীদের বেলায়ও তাই। নিজের স্ত্রী,-সে রুপে গুণে এলাকায় সেরা হলেও, স্বামীর ধারণা তার স্ত্রী কোন কাজের না।
তার চেয়ে বরং অমুকের স্ত্রীটি অনেক ‘চার্মিং’।
তরুণ বয়সে স্যারের এই কথার মর্ম বুঝিনি। বা তেমন গুরত্ব দিইনি। আজ পরবর্তী জীবনে বাস্তবতার প্রয়োগ দেখে স্যারের কথা মনে পড়ে। ইদানীং অবশ্য টিভিতে সেলিব্রেটিদের ব্যাক্তিগত আলাপচারিতায়/টকশোতে এ ধরণের প্রশ্নের উত্তরে এক কথায় বলতে শুনি ‘স্বামী/স্ত্রী হিসেবে ও খুব কেয়ারিং’ (হা...হা ...ক’দিন বাদেই ‘কেয়ারিং’ থেকে ‘ফায়ারিং’ এর শব্দ শুনা যায়)।
মানুষের আচরণের এটিই হলো রহস্যময় দিক। সবসময় ওপারের স্বর্গসুখের বিশ্বাসে নিশ্বাষ ফেলতে ফেলতে আকুল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।