মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! বাবা বিশ্বাসঘাতক কি?
------------- ডঃ রমিত আজাদ
গতকাল আমার এগারো বছরের ছেলেটিকে আর্কিমিডিসের কাহিনী পড়ে শোনাচ্ছিলাম। জ্ঞানী বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস অভূতপূর্ব বিজ্ঞানকে ব্যবহার কেমন শিক্ষা দিয়েছিলেন ভেজাল মুকুট বানানো ঠগ স্যকরাকে। আর কেমন জব্দ করেছিলেন মহাপরাক্রমশালী রোমান সৈন্যবাহিনীকে। আর্কিমিডিস তার স্প্রিং কামানের সাহায্যে বড় বড় পাথর ছুঁড়ে ছুঁড়ে ক্ষত-বিক্ষত করেছিলেন রোমানদের জাহাজ; লিভার, কপিকলের সাহায্যে শূণ্যে তুলে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন পেল্লায় জাহাজগুলোকে, আর অবতল আয়নার সাহায্যে পুড়িয়ে ছাই করেছিলেন জাহাজের পাল মাস্তুল সব। আমার ছেলেটি এই কাহীনি শুনে বারবার রোমাঞ্চিত হচ্ছিলো
ছেলেঃ ও বাবা! একজন মানুষ পুরো একটি বাহিনীর সাথে লড়েছিলো! কি সাংঘাতিক!
আমিঃ হ্যাঁ বাবা, জ্ঞান পেশীর চাইতেও শক্তিশালী।
ছেলেঃ তারপর বাবা? রোমানরা যুদ্ধে হেরে ফেরৎ চলে গিয়েছিলো?
আমি হতাশ হয়ে বলললাম
আমিঃ না বাবা। কিছু বিশ্বাসঘাতকদের কারণে, শেষ পর্যন্ত রোমানরা সিরাকিউজে প্রবেশ করেছিলো। আর এক রোমান সৈন্যের হাতে জ্ঞানী আর্কিমিডিস নিহত হয়েছিলেন।
এমন মহান বিজ্ঞানীর হত্যাকান্ডে ব্যাথিত হয়ে ছেলে চোখ বড় বড় প্রশ্ন করলো
ছেলেঃ বাবা বিশ্বাসঘাতক কি?
আমি একটু থমকে গেলাম। কি জবাব দেব?
আমিঃ কিছু লোক আছে, যারা নিজের দেশকে অন্য দেশের কাছে বিকিয়ে দেয়।
ফলে তাদের নিজেদের দেশ অন্যের দখলে চলে যায়।
ছেলে আরও বড় চোখ করে দ্বিগুন অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো
ছেলেঃ ওরা এরকম কেন করে?
এতটুকু শিশুর এই প্রশ্ন শুনে আমি স্থবির হয়ে গেলাম। ঠিক কি উত্তর দেব বুঝতে পারছিলাম না। সত্যিই তো ওরা এরকম করে কেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।