লীগের উচিৎ এই মুহুর্তে কারো দিকে সহানুভূতি প্রদর্শন না করে ডাইরেক্ট অলআউট অবস্হান গ্রহণ করা । অন্তত নিজের পিঠ বাচাতেই । নইলে জন-মানুষের কাছে এই ঐতিহ্যবাহী দলটি নবীজিকে অপমানকারী নাস্তিকদের মদদদাতা হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করবে । ১) লীগের উচিৎ নাস্তিকের পক্ষধারী হরতাল আহহ্বানকারীদের দমনে ছাত্রলীগকে মাঠে নামানোর ঘোষণা দেয়া !! ২) হেফাজতে ইসলামের মূল দাবি " ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তি " এই ইমানী ইস্যুটির প্রতি সংহতি জানিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামের এই লং মার্চ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে সুষ্পষ্ট বিবৃতি দেয়া । এবং হেফাজতের হুজুরদের প্রতি সুষ্পষ্ট বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়া যে- আমরা সবকটা ধর্ম অবমাননাকারী ব্লগারদেরই কঠিন শাস্তি দেবো ।

এরা কেউ এক ইঞ্চি ছাড় পাবে না । এবং বিবৃতি দেয়া যে আগামী সংসদ অধিবেশনেই ধর্ম অবমাননাকারীদের শাস্তি যাবৎজ্জীবণ দন্ড/ মৃত্যু দন্ড ;এই টাইপের কঠিন শাস্তির বিধাণ রেখে আইন সংশোধণ করা হবে এবং এদের শাস্তি দেয়া হবে। ৩) হেফাজতের লং মার্চ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে শিবিরেরা ২/১ টি ককটেল বিস্ফোরণ করে একটা ভয়ানক অস্হিতিশীল পরিস্হিতি তৈরি করতে পারে । যাতে করে সরকারের পুলিশ আর হেফাজতের কর্মিদের মাঝে সংঘর্ষের সুত্রপাতের সৃষ্টি হয় । তৃতীয় পক্ষের (শিবিরের) দ্বারা এ ধরনের ঘটনা ঘটার যে সম্ভাবনা আছে সে ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে হেফাজতের হুজুরদের প্রতি অগ্রীম সতর্ক বার্তা দিয়ে রাখা ।

এই টাইপের ভয়ানক বিব্রতকর পরিবেশ যদি সৃষ্টি হয় , তাহলে লীগ সরকারেরই কপাল পুড়বে । এই টাইপের ভয়ানক বিব্রতকর পরিবেশ এড়ানোর জন্য লীগের উচিৎ লং মার্চ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কোন পুলিশ বাহিনীকেই নিয়োজিত না রাখা । রাখলেও বহুদূরে রাখা যেতে পারে । আর পুলিশকে নির্দেশ দেয়া যে, ভাংচুর বা কোন অস্হিতিশীল পরিবেশ তৈরি হলেও পুলিশ যাতে অন্তত সেইদিন নাক না গলায় । তাহলে লং মার্চকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষের (শিবিরের) দ্বারা বোমাবাজি ,ককটেল বাজি, ভাংচুর বা যে কোন ধরনের নাশকতা ঘটলেও তখন উদ্ভূত খারাপ অবস্হার জন্য অন্তত কেউ লীগ কে বা পুলিশকে দায়ী করতে পারবে না ।

"রাজাকার-নাস্তিক ভাই ভাই এক রশিতে ফাশি চাই" ।