আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
বস্তুত ২০০৭ এর কয়েক বছর আগে হতেই ১/১১র ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃতে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই তাদের ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সীমাহীন প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। যে আলীগ নেতা-কর্মী সহ সংখ্যালুঘুদের মেরে সাফ করা হচ্ছে। তার উপর ভারতে জেএমবি সহ তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীবাদের আস্তানা গেড়ে সারা বিশ্বে প্রচার করা হচ্ছিল জোট সরকার নাকি পাকিস্তানী আই.এস.আইয়ের সহযোগীতায় সে দেশে বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছে। অথচ জেএমবির অস্ত্র, বোমার ভান্ডারই ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ জেলায়(দৈনিক প্রথম আলো ৫ই জুন ২০০৯)।
আর ২০০১ সালে কোলকাতা হতে হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় শাহরিয়ার কবির গ্রেফতার হয়। এই সবের একটাই উদ্দেশ্য ছিল যে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে হাসিনা ভারতকে স্থল করিডোর এবং সমুদ্র বন্দর ব্যাবহারের যে সুযোগ দিতে পারেনি তা জোট সরকারকে বাধ্য করানো। উল্লেখ্য ২০০১-০৬ মেয়াদে জোট সরকার ভারতের সাথে নতুন কোন অসম চুক্তি করেনি।
উপরের বিষয় গুলো ছিল দেশের বাইরে হাসিনার প্রভু দেশ ভারতের সহযোগীতায় বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। আর এর পাশাপাশি দেশের ভিতরও শুরু হতেই বিভিন্ন অযৌক্তিক, বিভ্রান্তিকর, বিকৃত সত্য এবং মিথ্যার মাধ্যমে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র-অপপ্রচার চলে।
এক্ষেত্রে হাসিনা ও তার আলীগ যে ইস্যুটি জনগণের সামনে পাগলের মত তুলে ধরে তা হল চাল, ডাল, তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি। উল্লেখ্য জোট সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে ৯/১১ এবং আফগানিস্তানে যুদ্ধের সুচনা হয়। তাই হাসিনা ২০০১ জুলাইয়ে ক্ষমতা ছাড়ার সময় যে জ্বালানি তেলের(অপরিশোধিত) মূল্য ছিল ২২ ডলার/ব্যারেল সেটা অক্টোবরে দাড়ায় ৪০ ডলারেরও বেশী। আর ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন অভিযানের দরুণ এটা ৭০ ডলারেরও বেশী হয়। এ কারণে জোট আমলে সব দ্রব্যের মূল্য বাড়লেও তা খুব বেশী অথবা অতিরিক্ত ছিল না।
উদাহরণ স্বরুপ হাসিনা ২০০১ সালে যে মোটা চালের দাম ১৪ টাকা রেখে গিয়েছিল সেটা জোট আমলে ১৮ টাকা হয়(দৈনিক জনকন্ঠ, ১০ই অক্টোবর ২০০৫)। কিন্তু হাসিনা ও তার দলতো বটেই তথাকথিত সুশীল সমাজ ও তাদের পত্রিকা গুলোও বলত যে তারেক রহমান হাওয়া ভবন এবং জোট সরকারের সীমাহীন র্দূনীতি জনগণের জীবন নাকি র্দূবিষহ করে তুলেছে। তাদের কথা শুনে মনে হত প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঘটত! হাসিনা বলত মানুষ আজকে অল্প রুজি করে ঠিক মত খেতে পায় না ও চলতে পারে না। হাসিনা প্রায়ই বলত আমরা পুনরায় ক্ষমতায় গেলে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে ও স্থিতিশীল রেখে জনগণের সুখ-সাচ্ছন্দ্যর জীবন যাপন নিশ্চিত করব। এই জোট সরকারের হাতে দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়।
দেশের মানুষকে সর্বস্বান্ত করে পথে নামিয়ে রাস্তার ফকির বানিয়ে ছাড়বে। এভাবে চরম মিথ্যা ও প্রতারণামূলক কথার মাধ্যমে জনগণকে উস্কানি দেয়ে দেশে অহেতুক উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টি করত। কথায় কথায় হরতাল, অবরোধ করে দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে বিঘ্নিত করত। খালেদা জিয়া Look East নীতি নিলে হাসিনা বলত "উনি ভুল কেবলায় যাচ্ছেন"। মানে ভারতকে বাদ দিয়ে চীন ও আসিয়ানের প্রতি ঝুকাকে হাসিনা কখনই নেক নজরে দেখেন নি।
দিল্লীর সাথে পানি বন্টন, সীমান্ত, বাণিজ্য, নেপাল-ভুটান ও চীনকে ট্রানজিট দেওয়া নিয়ে কোন ফলপ্রসু অগ্রগতি ছাড়া জোট ভারতকে এতরফা ও নতুন কোন সুবিধা দিতে রাজী ছিল না। এই নিয়ে দিল্লীর সাথে হাসিনাও প্রচন্ড গত্রদাহের শিকার হত। ২০০৪ সালে হুমায়ুন আযাদের উপর ষড়যন্ত্র মূলক হামলা ও আহত করা, ৩০শে এপ্রিল সরকারের পতন তারিখ ঘোষণা এবং ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার নাটক ঘটিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার কুটিল চক্রান্ত করেছিল হাসিনা ও তার আওয়ামী-বাকশালী গংরা। তারপর ২০০৪ সালে ভারতে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে হাসিনার সে দেশে ভ্রমণ ও দহরম মহরম আরো বেড়ে যায়। বিশেষ করে প্রণব মুখার্জীর সাথে ঘনিষ্ঠতা আমরা জানি।
হাসিনা আজমীর শরীফে ভ্রমণের নাম করে দিল্লীতে এক ঘন্টাব্যাপী প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সাথে বৈঠক করে ২০০৫ সালে। বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রীর ব্যাক্তিগত(ভারত আমন্ত্রণ করেনি) ভ্রমণে ১০০ কোটি লোকের দেশের প্রধানমন্ত্রী যার প্রতি সেকেন্ডের দাম শত কোটি রুপি সে কিভাবে হাসিনাকে এক ঘন্টা সময় দিয়ে আলাপ করে? ঐ ২০০৫ সালের ডিসেম্বরেই ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সর্বজিত চক্রবর্তী আলীগের এক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বলে বসেন "ভারত আর বেশী দিন ট্রানজিটের জন্য বসে থাকবে না"। এই বহিঃশক্তি ভারত ও তার ক্রীতদাসী হাসিনা গং এভাবেই ১/১১র রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করে। বিশ্বে ও বাংলাদেশে এমন অবস্থা তৈরি করে যে জোট সরকার জঙ্গীবাদ ও র্দূনীতির জন্য তারা একটি বিপজ্জনক শক্তি। বিদেশের কথা বাদ দিলেও দেশের জনগণ তথাকথিত র্দূনীতি এবং দ্রব্যমূল্য কমানোর আশায় জোট সরকারের প্রতি তাদের সমর্থন অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছিল যদিও তা ২০০৮ সালের সাজানো নির্বাচন তথা সিলেকশনকে বৈধতা দেয় না।
চার দলীয় জোট পক্ষের ১/১১ রুখার মত রাজনৈতিক শক্তি ছিল না। ভারতপন্থী সুচতুর সেনা প্রধান মঈন ইউ জাতিসংঘের তথাকথিত মিথ্যা চিঠির অবতারণা ঠিক ১/১১র কিছুদিন আগে ঘটান সেটাকেও সামাল দিতে পারেনি চার দলীয় জোট। ফলে ভারত ও আলীগের সম্মিলিত চক্রান্তে ঘটল ১/১১ যাকে হাসিনা বলল তার আন্দোলনের ফসল। বাকী ঘটনাতো সবাই জানি যে কিভাবে ১/১১ হতে আজ পর্যন্ত সব কিছু ঘটে আসছে। এখানে ২০০১-০৬ সালে মরহুম সাইফুর রহমান দেশের অর্থনীতিকে খুব আহামরি না হলেও বিশ্ব ও দেশের বৈরী পরিস্থিতি সত্ত্বেও বেশ উন্নতি ও স্থিতিশীল অবস্থায় রেখে যান।
২০০১ সালে যেখানে রিজার্ভ ৯৮ কোটি ডলার তা ২০০৬ সালে ৪০০ কোটি ডলারের কিছু বেশী দাড়ায়। এটা খালেদা জিয়ার সৎ ও যোগ্য প্রধানমন্ত্রীত্বেরও অবদান। কিন্তু আজকে ২০১২ সালে তথা ১/১১ হতে দীর্ঘ ৫ বছর পর এই কি দেখছি! যে মোটা চালের দাম ১০ টাকা/কেজি খাওয়ানো সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দার স্থিতিশীল তথা সাধারণ মানুষের আয়ত্বের মধ্যে রাখার ওয়াদা হাসিনা করেছিল সেটার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সেই ১৯৭২-৭৫ মুজিব আমল বাদ দিলে স্বৈরাচার এরশাদের আমলেও এতটা খারাপ অবস্থা হয়নি যে হাসিনার তথাকথিত ডিজিটাল মহাজোট সরকারের সময় সিংহভাগ জনগণের আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী। মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিট হয়ে ১১.৫৯% হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না দেশের সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ। আয় যত বাড়ছে, তার তুলনায় ব্যয় বাড়ছে বেশি;
Click This Link
অথচ বিগত জোট সরকারের আমলে(২০০১-০৬) মানুষের খুব বেশী আয় না বাড়লেও ব্যায়ও তেমন বাড়েনি। মানুষের সীমিত হলেও সঞ্চয় ছিল। আর বর্তমানে হাসিনার তেলেসমাতি ও আলাদ্দিনের চেরাগ মার্কা মিথ্যা, প্রতারণা মূলক আশ্বাস-প্রতিশ্রুতি দিয়েও উন্নতিতো হলোই না বরং মানুষের দেউলিয়া হবার যোগাড়! হাসিনা ২০০৮ সালে তথাকথিত নির্বাচনের আগে এমন সব বক্তব্য দিয়ে তর্জন-গর্জন ও মিষ্টি কথা বলত যে সে ক্ষমতায় গেলে দেশটা রুপকথার মত স্বর্গোদ্যান হয়ে যাবে এবং মানুষ খুব সুখে থাকবে। কিন্তু বাস্তবতা হল এখন সেই জায়গায় মানুষ ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে! স্বর্গোদ্যানের বদলে মরুভূমির ক্যাকটাসের কাটা তার শরীরে জায়গায় জায়াগায় বিধেছে এবং ক্রমশই এই কাটাবিদ্ধ হওয়া বেড়েই চলছে।
জনগণের যে উন্নতি হওয়ার কথা ছিল তাতো নয়ই বরং তার যা অর্জন ছিল সেটাও ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। পুজি ভেঙে খাচ্ছে। বলেছিল ভারতকে ট্রানজিট দিলে দেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। আর নির্মম সত্য হল বাংলাদেশই ভারতীয় নদীর জাহাজ, ট্রাককে উল্টা ভর্তূকি দিচ্ছে। ভারত সেবা ও দেশে লুটপাট, অনিয়ম ও অদক্ষতা ছাড়া কোন উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি হাসিনার মহাজোট।
২০০৯ সালে গ্যাস-কয়লা উত্তোলনের কোন ব্যাবস্থা করতে পারেনি, নতুন স্থায়ী ষ্টেশন তৈরি হয়নি যে ন্যায্য মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, পারেনি রাস্তাঘাট ও রেলপথের উন্নয়ন ঘটাতে, পদ্মা সহ অন্যান্য নদীর উপর তেমন সেতু নির্মাণের কাজও শুরু হয়নি যোগাযোগ ব্যাবস্থা বেসামাল। এখন সব জট পাকিয়ে ফেলেছে। যদি ২০০৯ সালেই যথাযথ উদ্যোগ, র্দূনীতর মাত্র সীমিত রাখত তাহলে দেশে এই সীমাহীন ও অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি ঘটত না। আর শেয়ার বাজারে কি হয়েছে তাই নিয়ে কিছু নাইবা বললাম। আমাদের দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দুটি পথ এক রপ্তানি এবং আরেকটি প্রবাসে কর্মসংস্থান।
প্রবাসে কর্মসংস্থানের কথা বাদ দিয়ে যদি রপ্তানির কথা ধরি তাহলে যথেষ্ঠ উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে। আমাদের রপ্তানির মূল বিষয়ই হল সস্তা শ্রমিক প্রাপ্তি। কি গার্মেন্টস কি অন্য শিল্প কারখানা সব জায়গাতেই দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষ নিরন্তন মাথার ঘাম ঝরিয়ে বলতে গেলে অমানুষিক পরিশ্রম করে এই ক্ষেত্র গুলো সচল রাখে। কিন্তু এই ভাবে যদি মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেতেই থাকে তখন তাদের নিজ পরিবারতো দূর নিজেদেরই টিকে থাকা দায় হবে। কারণ আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রচন্ড প্রতিযোগীতা হয়।
কি জাপান, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় সব আমদানিকারক ক্রেতাই খুজে যে তৃতীয় বিশ্বের কোন যোগ্যদেশ তাদের চাহিদা মাফিক পণ্যের কতটা কমে দিতে পারবে। এখানে সস্তা শ্রমের পাশাপাশি তার অবকাঠামোগত সুবিধা যেমন বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক বিষয় গুলোও জড়িত। তাই সব মিলিয়ে কম খরচে ও সময় মত কোন দেশের স্থানীয় কোম্পানী গুলো পণ্য সরবারাহ করতে পারে তাদেরকেই আমদানীকারকগণ বেশী মূল্যায়ন করে। তাই আমাদের দেশে এই অবকাঠামোর সমস্যার পাশাপাশি জীবন নির্বাহ ব্যায় বৃদ্ধি পায় তাহলে গার্মেন্টস ও অন্যান্য কারখানায় তাদের বর্তমান মজুরীতে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পরবে। আমাদের দেশের রপ্তানীকারকদের সবার চাইলেই পণ্যের বাড়তি মূল্য চাওয়া সম্ভব নয়।
তাতে অর্ধেক হলেও ক্রেতা এশিয়ার অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামের দিকে ঝুকবে। আর একবার ক্রেতা ছুটে গেলে তাকে পাওয়াও অনেক কঠিন কোন ক্ষেত্রে তা অসম্ভব। ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে সেখানে র্দূনীতি থাকলেও সামগ্রিক অবকাঠামো ভাল এবং শ্রম মূল্য দিক হতে আমাদের কাছাকাছি। ২০০৮ সালের মার্চ পর্যন্ত দেখা যায় ২২ টি দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক খরচ কম;
Click This Link
ইন্দোনেশিয়াতে জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে বেশী এবং শ্রম মূল্য বাংলাদেশ হতে অনেক বেশী না। আর ভিয়েতনামও কম যায় না তারাও এই শ্রম মূল্য কম হওয়াতে চীনকে বেশ কিছু সেক্টরে টেক্কা দিয়েছে।
তাই অনেক আমদানীকারক চীনের বদলে ভিয়েতনামকে বেছে নিয়েছে;
Click This Link
নিউইয়র্ক টাইমস যা বলছে তাতে চীনের মত দেশেরও শ্রম মূল্য ও বিদ্যুতের ঘাটতিও ভিয়েতনামকে আমদানীকারকদের বেছে নেওয়া অন্যতম কারণ। আমি ভয় পাচ্ছি যে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর সহ আরো দুয়েকটি সেক্টরের রপ্তানি যদি ২০-৪০% এই দুটি দেশে চলে যায় তাহলে ডলার আয়ের বিরাট ধ্বস নামবে। এটা তখন গার্মেন্টস নয় পুরো দেশের অবস্থারই বারোটা বাজাবে। কারণ জ্বালানি তেল, খাদ্য সহ বহু প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানী ব্যায় ডলারে মিটাতে হয়। তাই পর্যাপ্ত রপ্তানি ও রেমিট্ন্সে আয় না হলে কিভাবে ব্যায় নির্বাহ করা যাবে? দেউলিয়া হওয়ার পথে ইউরোপের দেশ গ্রীসকে উদ্ধার করতে জার্মানী, ফ্রান্স, চীন, বিশ্বব্যাংক-আই.এম.এফ তাদের সহযোগীতার জন্য আছে।
কারণ জানে যে গ্রীস চরম র্দূনীতিগ্রস্থ দেশ নয় সে একটু আভ্যন্তরীন ব্যায় কমালেই সে সব ঋণ সুদে-আসলে শোধ করতে পারবে। কিন্তু শেয়ার বাজার, পদ্মা সেতু সহ বাংলাদেশে সীমাহীন র্দূনীতির জন্য আমাদেরকে কোন দেশ বা সংস্থা বিশ্বাস করবে? তাই দেশ যে এক অনিশ্চিত ও আশংকাজনক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।