কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠাইন-অষ্টগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে আজ বুধবার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই ভোট গ্রহণ। এখন চলছে ভোট গণনা। সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা বেড়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন জানান, আনুমানিক ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাতবারের সাংসদ আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আসনটি শূন্য হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহামঞ্চদ। বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ মহিতুল ইসলাম আওয়ামী লীগের অষ্টগ্রাম উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক। ফুটবল প্রতীক নিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৯ হাজার ৭১৯ জন।
সকাল নয়টার দিকে ইটনার চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। সেখানে পাঁচটি কক্ষে ভোট নেওয়া হয়।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এস এম আবু নাসের জানান, এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৬৫১। সকাল নয়টার মধ্যে ভোট পড়েছে ৭৮টি।
সকালে ভোট দেওয়ার পর চৌগাঙ্গা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামের হাজেরা বেগম (৫০) জানান, ভোট দিতে তাঁর কোনো সমস্যা হয়নি।
হাওরের নারী ভোটাররা মূলত দুপুরের রান্নাবান্না শেষ করে ভোট দিতে আসেন। তাই দুপুরের পর থেকে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।
অষ্টগ্রাম উপজেলার অষ্টগ্রাম পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও পূর্ব অষ্টগ্রামের বীরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে গিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখা গেছে।
সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সৈয়দ মহিতুল ইসলাম অষ্টগ্রাম মসজিদ জাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রেজওয়ান আহামঞ্চদ মিঠামইন উপজেলার কামারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ভোট দেন।
১১৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১০৪টি ‘গুরুত্বপূর্ণ’: রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, তিন উপজেলার ১১৮ কেন্দ্রের ১০৪টিকে তাঁরা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ বলতে নির্বাচন কমিশন ঝুঁকিপূর্ণই বুঝিয়ে থাকে।
জাহিদ হোসেন জানান, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও আনসারের প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক হাজার ৯৩৬ জন পুলিশ, ৫৯৪ জন ব্যাটালিয়ন আনসারসহ দুই হাজার ২৪৬ জন আনসার সদস্য ও ৩২৫ জন র্যাবের সদস্য।
এ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ব্যাটালিয়ন আনসার ও আনসারের সমন্বয়ে ২৭ সদস্যের একটি করে দল মোতায়েন রয়েছে। একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল (মোবাইল টিম) কাজ করছে।
পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রয়েছে। প্রতি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিরাপত্তাব্যবস্থা তদারক করছেন। একই সঙ্গে র্যাবের মোট ৩২৫ জন সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতি উপজেলায় র্যাবের আটটি করে টহল দল কাজ করছে। আর ১২টি টহল দল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন রয়েছে।
একই সঙ্গে প্রতিটি উপজেলায় এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে আছেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।