কিছুদিন ভেবেছি, পৃথিবীর পূ্র্ব-পশ্চিম নিয়ে। পূর্ব পশ্চিম নিয়ে আমি প্রচন্ড কনফিউজড। একটা গ্লোবের দুটো নিদৃষ্ট দিক কি করে হতে পারে? কি করে বলতে পারি যে, আমেরিকানরা পশ্চিমা আর জাপানীরা প্রাচ্যের মানুষ! এই পূর্ব পশ্চিমের সীমারেখা কোন জায়গা থেকে শুরু হয়েছে আর কোন জায়গা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে, আমি বুঝিনা। এভাবে পুর্ব পশ্চিম ধরতে হলে একটা নিদৃষ্ট দূরত্ব পর্যন্ত স্থানকে পুর্ব এবং বাকিটুকুকে পশ্চিম বলে ডিফাইন করে নিতে হয়। আমি আসলেই কনফিউজড পৃথিবী চৌকোণা হলেই কেবল এটা বুঝা যায়, কিন্তু তা তো না আচ্ছা, এটাও হতে পারে যে আমি আমার সাপেক্ষে কাউকে প্রাচ্য বা কাউকে পাশ্চাত্য বলতে পারি, কিন্তু আমার অবস্থানের পরিবর্তনের সাথে সাথে তো ওগুলো পুর্ব না পশ্চিম , তা ও পরিবর্তিত হয়ে যাবার কথা
আজকে অবশ্য ভাবতেছি অন্য একটা ব্যাপার নিয়ৈ।
আমি খেয়াল করে দেখলাম, পৃথিবীর ম্যাপের যে অংশটা উত্তর বলে পরিচিত, সেই অংশটা উন্নত। একেবারে পুরো পৃথিবী জুড়েই। দক্ষিণের অংশটা দারিদ্রপিড়ীত এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন। দুচারটা সার্চ দিলাম, প্লাম না কিছু। আমেরিকা অংশটায় ল্যাটিন আমেরিকার পার্টটা আমাজানের মহাবনের অন্ধকারাচ্ছন্ন অনুন্নত দেশগুলো নিয়ৈ অথচ উত্তরের কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট শুনলেই আলো ঝলমলে নগড়ীর চিত্র।
আবার গ্লোবের মধ্যভাগের ভুখন্ডে, দক্ষিণের আফ্রিকান অন্ধকারের ঠিক বিপরীত চিত্র উত্তরের ইউরোপ। একইভাবে "পূর্ব" সীমান্তেও রাশিয়া - চীনদের অবস্থান ঠিক ই পৃথিবীর উত্তরে! দক্ষিনে হিমালয়ের পরবর্তী নগরীগুলোকে অন্ধকারই বলা যায় সেই তুলনায়।
মনে হয়, দুনিয়ার উত্তরাঞ্চলের আদম সন্তানদের কুটবুদ্ধি, শক্তি সামর্থ্য ভৌগোলিক কোন কারনেই দক্ষিনাঞ্চলের চেয়ে বেশি ছিলো যার মাধ্যমে ওরা দক্ষিণকে শোষন ও শাষন করে নিজেদের ভবিষ্যত নগরীগুলোকে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করার মূলধন উপার্জন করে নিয়ৈছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।