জীবন চলা মানে প্রতিক্ষন জীবনান্তের দিকে এগিয়ে চলা প্রেয়সীর হাত মুঠোয় নিয়ে চলতে চলতে এই তারার মত ফুলগুলি দেখে
আবেগের বশে যদি মনে পড়ে যায় সেই বিখ্যাত নজরুল গীতি মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবো খোপায় তারার ফুল কর্ণে দোলাবো তৃতীয়া তিথী চৈতী চাঁদেরওওওও দুউউউউল। আহারে কবির ভাবনা আরও গভীর, চৈত্র মাসের তৃতীয় তিথীতে চাঁদ যেমন সরু থাকে সেরকম দুল দেওয়ার ইচ্ছা, অন্যকোন মাস হলে নৈব নৈব চ । আপনিও কবির প্রেরনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রেয়সীর খোপায় একটি ফুল গুজে দেওয়ার প্রত্যাশায় যখন এগিয়ে গেলেন, তখন বেরসিকের মত এই সাইনটি
আপনার আবেগকে চুরমার করে দিয়ে আপনাকে পপাত ধরনীতল মানে বাস্তব জ্ঞানে ভরপুর করে দিয়ে সামনে এগোবার প্রেরনা যোগাবে ।
নিয়ম মেনে এগিয়ে যান
একটু সাবধান সামনে রয়েছে সব প্রাগৈতিহাসিক জন্তু জানোয়ার ডাইনোসোরাস, টিরানোসোরাস এগুলোর কোনটা হার্বিভোরাস কোনটা কার্নিভোরাস । দেখতে জীবন্ত মনে হয় খোদা না খাস্তা যদি এক আধটা জ্যান্ত হয়ে যায় পালাবার পথ থাকবেনা ।
সাথের ক্ষুদে সঙ্গীগুলি হয়তো ভাবছে দূর বাসায় থাকলে মিঃ বিন, টম এণ্ড জেরী, মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, স্কু বিডু ইত্যাদি ইত্যাদি কত গুলি সিরিজ দেখে ফেলতে পারতাম আর আব্বু আম্মু বা আপা ভাইয়ারা শুধু শুধু হাটিয়ে হাটিয়ে পা ব্যাথা করে দিলো । সেই সোনামনিদের খুশী করার জন্য প্রিয় কার্টুন চরিত্র গুলি এইখানে ।
এবার চলুন আমরা আবার স্বপ্নের দেশে হারিয়ে যাই ।
এক ছিলো রাজা আর এক ছিলো রানী । তাদের ছিলো এক পুত্র ।
সেই রাজপুত্রের মনে কোন সুখ ছিলো না কারন পার্শ্ববর্তী রাজ্যে ছিলো তার বাগদত্তা রাজকন্যা । একদিন কোথা থেকে এক রাক্ষস এসে সেই রাজকন্যাকে নিয়ে উধাও হয়ে কোথায় চলে যায় কেউ তার হদিস জানেনা । রাজকন্যার খবর আর পাওয়া যায়না । একদিন ধৈর্য্যহারা হয়ে রাজপুত্র বেরিয়ে পড়লো রাজকন্যাকে খুজে বের করে উদ্ধার করার জন্য । রাজপুত্র বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায় ফলমূল খেয়ে দিন পার করে কিন্তু রাজকন্যাকে উদ্ধারের জন্য কোন সূত্র আর খুজে পায়না ।
একদিন রাজপুত্র ক্লান্ত হয়ে এক গাছের নীচে বিশ্রাম নিচ্ছে এমন সময় শুনতে পেল এক ব্যঙ্গমা আর এক ব্যঙ্গমীর আলাপ ।
ব্যঙ্গমা বলছে হ্যাগো শুনছো বেচারা রাজপুত্র বনে বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ আগামি জোৎস্নায় তেপান্তরের মাঠে যে পংখীরাজ ঘোড়াগুলি
নামবে ওগুলোর একটায় চড়ে রাজকুমারকে যেতে হবে নীল শাপলার সরোবরে ।
সেখান কার জলপরী
ওকে নিয়ে যাবে পাতালপুরীর দেশে । পাতালপুরীর রাজকন্যা হলো মৎসকন্যা ।
সেই একমাত্র জানে রাক্ষসের প্রান ভোমরাটা কোথায় আছে ।
রাক্ষসকে মারতে পারলে তার মায়াবী জাল ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলেই রাজকন্যা উদ্ধার পাবে । ব্যঙ্গমী ব্যঙ্গমাকে বললো হ্যাগো এত ঝামেলা না করে রাক্ষসের মাথাটা ঘাড় থেকে নামিয়ে দিলেইতো হয় । না না না ব্যঙ্গমী রাক্ষসের একফোটা রক্ত মাটিতে পড়লে একশটা রাক্ষস জন্ম নেবে ওভাবে হবেনা । হ্যাগো রাজপুত্র পংখীরাজ ঘোড়া ধরবে কি করে ? ঐযে দেখো সামনের গাছে এক ধরনের লতার মত ফল ঝুলছে না ? ওগুলো পংখীরাজ ঘোড়ার খুব প্রিয় খাবার ওগুলো যে খাওয়াবে ঘোড়া তার বশ মেনে যাবে তবে ফল সংগ্রহের সময় আশে পাশের গাছে ঝুলন্ত সাপগুলি দেখে কিন্তু ভয় পেলে চলবে না । ।
এ কথাগুলি বলেই পাখীগুলি ফুরুৎ । এদিকে রাজকুমারকে আর পায় কে সে তো সবই শুনেছে । সে সাহসে ভর করে লতার মত ফলগুলি নিয়ে তেপান্তরের মাঠে গিয়ে পংখীরাজে চড়ে নীল শাপলার সরোবরে এসে পৌছুলো । এখানকার উট পাখীরা
জলপরীকে খবর দিলো । জলপরী এসে রাজকুমারকে পাতালপুরীর রাজ্যে নিয়ে এলো ।
পাতালপুরীর মৎসকন্যা একটি বাক্স দেখিয়ে দিলো । ওটা নিয়ে রাজকুমার তীরে উঠে ভিতর থেকে ভোমরাটি বের করে পিষে ফেললো আর সাথে সাথে মেঘের মত গর্জন করে রাক্ষস মারা পড়লো । এরপর মায়াজাল ছিন্ন হয়ে রাজকন্যার দেখা পাওয়া গেল । রাজকন্যা একটা হীরার পালঙ্কে শুয়ে আছে । মাথার কাছে রুপার কাঠি পায়ের কাছে সোনার কাঠি ।
রাজকুমার সোনার কাঠি আর রুপোর কাঠি অদল বদল করে রাজকন্যার ঘুম (আমাদের ঘুম ও ) ভাঙ্গিয়ে দিলো তারপর তাকে নিজ দেশে নিয়ে গেল ।
বিদ্রঃ অনেকগুলি ছবি দেওয়া গেলনা ( ওগুলো ৫০০কেবির উপরে ) সেজন্য দুঃখীত ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।