আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অভিনন্দন বিএসএফ'কে

বিএসএফএর কার্যকর পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারলাম না। 'মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী ২০০২ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১০ বছরে সীমান্তে মোট ৮৭৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয়েছে। ২০১১ সালে ৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন, ২০০৯ সালে ৯৬ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন, ২০০১ সালে ৯৪ জন এবং ২০০০ সালে ৩৯ জন বাংলাদেশী বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছে। ' [সূত্র বিবিমেহের জান] আমাদের সোনার সন্তান বিজিবি যেটি করতে পারে না সেটি প্রতিনিয়তই করে দেখাচ্ছে বিএসএফ। একজন সীমান্তরক্ষী হিসেবে যে দায়িত্ব তাদের পালন করা উচিত তারা প্রতিনিয়ত সেটিই করে চলেছে অত্যন্ত সুনামের সহিত।

আমাদের সোনার সন্তান যারা আছেন বিজিবি'তে তাদের মাধ্যমেই জানা যায় সীমান্তে পোষ্টিং নেয়ার জন্য রীতিমত লবিং চলে এবং চলে আর্থিক লেনদেনও। আর জীবনে একবার যদি পোষ্টিং হয় তা হলে সারা জীবনে আর চাকরী না করলেও নাকি চলে বলে শুনতে পাওয়া যায়। তবে শুনতে যেটিই পাওয়া যাক তাদের বেতন ও সুবিধার সাথে যে চলাফেরা ও আর্থিক ব্যয়ের কোন মিল পাওয়া যায় না সেটি শুধু বিজিবি নয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল স্তরের সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেলায় প্রযোয্য। সাধারণ একজন অফিস সহকারী চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যায় যখন, সরকার তখন তার আয়ের হিসেব খতিয়ে যখন দেখে না তখন আয় করতে বাধাই কোথায়? একজন সামান্য কাস্টমস সিপাহি যখন কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়, চলাফেরা করে নিজস্ব গাড়ীতে, ছেলে মেয়ে পড়ালেখা করান বিদেশে তখন সবাই তাকে বাহাবা দেয় এই বলে যে সামান্য কর্মচারী হয়ে তার এত সম্পদ গড়ার ক্ষমতা জন্য। যখন উত্তরার মত অভিজাত এলাকায় সামান্য ইনন্সপেক্টর একাধিক বাড়ীর মালিক থাকে তখন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় আমাদের শাসকেরা।

এসব লোক আবার প্রশাসনকে নাকি দেখায় বাড়ী তাদের শালা/শ্বশুরু করে দিয়েছে বাস্তবিক খোজ নিলে দেখা যাবে শ্বশুরের ঘরে চাল উড়ে গেছে কিন্তু জামাইয়ের পাকা দালান তাও আবার শ্বশুরের দানের। যা হউক ফিরে যাই বর্ডারে, যেখানে বিএসএফ প্রতিনিয়তই আমাদের লাশ উপহার দিচ্ছে এবং রাষ্ট্র এ নিয়ে চিন্তিতও নন। কিন্তু এই কাজগুলিই করার কথা ছিল আমাদের বিজিবির। প্রতিনিয়ত যারা মারা যাচ্ছে তারা চোরাকারবারী না হলেও হিন্দু শাস্ত্রের ধোয় তুলসির পাতা না। আমাদের প্রশ্ন আসে তাই বলে খুন? জীবন দিতে হবে? প্রতিনিয়ত যারা সামাজকে ধ্বংশ করছে চোরাকারবারীর মাধ্যমে, মাদক প্রাচার করে অধপতন ঘটাচ্ছে সমাজের তাদের শাস্তি কি সেটি আমার জানতে চাই না আবেগের বশবর্তী হয়ে।

কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। বিএসএফ যে লাশগুলো উপহার দিচেছ তারা যেমন হিন্দু শাস্ত্রের ধোয়া তুলসি পাতা নয় তেমনি খুন হওয়ার মত অপরাধিও নয়। অপরদিকে যারা খুন হওয়ার মত অপরাধি তারা সর্বদায় থেকে যাচ্ছে নিরাপদে। যারা নিয়মিত বখরা দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে তাদের কপালে মৃত্যুর পরিবর্তে সর্বদায় জোটে সাদর সম্ভাষণ অন্যদিকে যারা পাকামো করছে, ফাকি দিচ্ছে বিএসএফকে তখনই তার মাসুল গুনতে হচ্ছে জীবন দিয়ে। তারপরও যে সকল চোরাকাবারী মারা যাচ্ছে তাদের জন্য মায়া কান্না না দেখিয়ে বরং বিএসএফকে ধন্যবাদি দিতে হয় এই জন্য যে বিজিবি যেটি করতে পারছে না বিএসএফ সেটি করে দেখাচ্ছে।

আমাদের সোনার বিজিবি খনই এই কাজটি করবে না, যদি করত তা হলে লোকগুলি সেখানে যেতেই পারত না মৃত্যু তো দুরে থাক। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.