দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দল দাপটের সঙ্গে খেলে বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ডকে সাথে নিয়ে টেস্ট ড্র করেছে। অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে!
অভিনন্দন সোহাগ গাজী! বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি, হ্যাট্ট্রিক সহ ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাসের খাতায় নাম লেখাবার জন্য! এ এক বিরাট গর্বের ব্যাপার হয়ে থাকবে প্রতিটি বাংলাদেশীর জন্য! মজার ব্যাপার হল লেগ স্লিপ থেকে উড়ে এসে সাকিব যে ক্যাচটি তালু-বন্দি করেছে সেটাও দেখার মতন ছিল। এই ক্যাচটি ছিল টেস্টে সাকিবের শততম ক্যাচ।
৮/২ অবস্থা থেকে টেনে তুলে এই ম্যাচে বাংলাদেশকে ড্রাইভিং সিটে বসিয়েছেন মমিনুল। তার ১৮১ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংসটির পুরো টিমের জন্য টনিক হিসেবে কাজ করেছে; গাজীও তার দেখানো পথে সেঞ্চুরি করেছেন যার ফলশ্রুতিতেই এই সম্মিলিত সাফল্য এসেছে।
মমিনুলকে অভিনন্দন।
নিউজিল্যান্ড ২৫৬ রাবের টার্গেট দিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। ৪৬ ওভারে সেই রান তাড়া করা খুবই সম্ভব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সে পথে হাটেনি। কিউই অধিনায়ক ম্যাককালামের চ্যালেঞ্জ আসলে বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি।
যদিও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলা খুব সহজ হতোনা তবু আমিও মনে প্রাণে চাইছিলাম বাংলাদেশ একটা চান্স নিক। বেদনার ব্যাপার তা হয়নি। বরং ৯৯ রানে ২য় এবং ১০১ রানে ৩য় উইকেট হারিয়ে নিজেদের চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। সাকিব যদি ইনিশিয়েটিভ নিয়ে পালটা আক্রমণাত্মক কিছু শট না খেলতো হয়তো বাংলাদেশের সামনে বিপদ আরও বাড়ত। নিউজিল্যান্ড তখন বাংলাদেশকে চেপে ধরতে চেয়েছিল।
যাক তেমন কিছু হয়নি।
এই টেস্টের পিচ এ কোন কিছু ছিল না। না সুইং বোলারদের জন্য! না স্পিনের জন্য! বোলারদের ঘাম ঝরাতে হয়েছে। উইকেটে গতি, বাউন্স ছিলনা! খুব বেশী টার্নও কেউ পাননি! বাংলাদেশ দল টেস্টে নিজেদের শক্তিমত্তার নিরিখে পিচ বানাতে এখনো আসলে শিখে উঠতে পারেনি। অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে কিছু করতে গেলে এতে ফল হয় উলটো।
এই ক্ষেত্রে ভারত এর কথা বলা যায়, তারা বিরাট সাবধানী। বিশেষ করে টেস্টে তারা তাদের মতন পীচ তৈরিতে সিদ্ধহস্ত!
এই ম্যাচে এনামুল হক বিজয় এর খেলা আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। বাংলাদেশ দলে তামিমের সঙ্গে সাবলীল প্রত্যয়ী ওপেন করার একজন যোগ্য সঙ্গীর অভাব টের পাচ্ছি। এই ম্যাচে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি সে।
বাংলাদেশ দলের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড দলের কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটার এর পারফর্মেন্স ছিল চোখে পড়ার মতন।
কেইন উইলিয়ামস এর শতক, পিটার ফুলটনের ডাবল ফিফটি, ওয়াটলিংকসের সেঞ্চুরি, ট্রেন্ট বোল্ট এর ১১ তম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরি সব মিলিয়ে তারা শুধু জিততে পারেনি এই দুঃখ ছাড়া তারাও বেশ খুশী!
এই ম্যাচের আম্পায়ারিং আমার কাছ সন্তোষজনক মনে হয়েছে। বড় ধরনের কোন ভুল তারা করেননি। কোন ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আসেনি তাদের কাছ থেকে। বিষয়টি স্বস্তির!
বাংলাদেশ - নিউজিল্যান্ড প্রথম টেস্ট!
চট্টগ্রাম।
ছবিসুত্রঃ ক্রিকইনফো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।