রেকর্ড রান তাড়া করে সিরিজজয়ী বাংলাদেশ দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন!সে ম্যাচে দেশসেরা ইনিংস খেলে বাংলাদেশের বিজয়ের প্রধান স্থপতি তামিম ইকবালকেও প্রাণঢালা অভিনন্দন!
কভেন্ট্রির বিশ্বসেরা (যৌথ) ১৯৪ অপ. রানের বদৌলতে জিম্বাবুয়ে ৩১৩ রানের এক হিমালয়প্রতীম টার্গেট দেয় বাংলাদেশকে। কভেন্ট্রি ১৫৬ বলে ১৬টি ৪ এবং ৭টি ৬ মেরে অপরাজিত ১৯৪ রান করেন। ১৯৯৭ সালের ২১ মে চেন্নাইতে সাঈদ আনোয়ার ১৪৬ বলে ১৯৪ করেছিলেন। ১৪৬ নং বলটি করেছিলেন শচিন টেন্ডুলকার। সাঈদ ছক্কা মেরে প্রথম একদিবসীয় ডাবল সেঞ্চুরী করতে চেয়েছিলেন।
ডিপ ফাইন লেগে সৌরভ গাঙ্গুলী ক্যাচ ধরে সে স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন। সাঈদ অবশ্য এখন এসবের ঊর্ধ্বে গভীর আধ্যাত্মিকতায় মগ্ন এক মানুষ।
বাংলাদেশ এর আগে ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৭৪ রানের জবাবে ২৭৬/৭ করেছিলো। এটা ছিলো সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। কাল সোটকে ৩১৩/৬ করে নতুন রেকর্ড বানালো টাইগাররা।
কালকের ম্যাচে স্কোর লাইনটা খুব মজার। জিম্বাবুয়ের কার্ডে কভেন্ট্রির মহাকাব্যিক ১৯৪* এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাৎসিকিনারির ৩৭। অতিরিক্ত ১৬ সহ দলের বাকী সবার মোট রান ১১৮ মাত্র। বাংলাদেশের স্কোর কার্ডে তামিমের অতিমানবিক ১৫৪ রানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাঁর ওপেনিং পার্টনার জুনাইদের ৩৮ (২৭ বলে)। মি.এক্সট্রা ১৭ সহ দলের বাকী সবার মোট রান ১৫৯।
তামিম বাংলাদেশের একদিবসীয় দেড়শ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। এর আগে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে একদিনের খেলায় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিলো তামিমের বর্তমান দলনেতা সাকিবের কানাডার বিপক্ষে করা ১৩৪।
তামিম এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৩, দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৯, তৃতীয় ম্যাচে ০ করার পর কাল করলেন ১৫৪।
বাংলাদেশের কালকের ম্যাচের সবচেয়ে বড় অর্জন ৩১২ রানের এভারেস্টকে তাজিন ডংও মনে না করে পাড়ার টিলার মতো ঠান্ডা মাথায় টপকে যাবার পেশাদার ভঙ্গি। কভেন্ট্রির ১৯৪*কে খেলোয়াড় সুলভ ভদ্রতায় অভিনন্দিত করা এবং ম্যান অব দ্যা ম্যাচের ট্রফিটি এককভাবে তামিম কর্তৃক কভেন্ট্রিকে দিয়ে দেয়ার সুন্দর উদারতা আমাদের গৌরব বাড়িয়েছে।
সে জন্য সবাইকে বিশেষত: তামিমকে অভিনন্দন।
অসাধারণ খেলার জন্য, মধুর বিজয়ের জন্য আবারো সবাইকে অভিনন্দন !
সামনের খেলার জন্য শুভ কামনা !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।