আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

weapon of mass destruction - কম্পিউটার, মডেম আর মনিটর

মৌলবাদী আস্তিক যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি মৌলবাদী নাস্তিকও ভয়ঙ্কর। হাতেগোনা দুই চারজন নাস্তিক মৌলবাদীর জন্য আজকে বাঙলা ব্লগ এবং ব্লগার হুমকির মুখে। বাঙলাব্লগ আস্তে আস্তে হয়ে উঠছিল মুক্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিশাল এক মাধ্যম। কবিতা, গল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, দেশ, ধর্ম, অর্থনীতি.. কি নিয়ে এখানে লেখালেখি হয়নি বা হয়না ? বাঙলাব্লগ ধ্বংসের জন্য অতি ইসলামী মৌলবাদিদের নাম যেমন ইতিহাসে লেখা থাকবে তেমনি সেই ইতিহাস থেকে অতিমাত্রার নাস্তিক মৌলবাদীদের নামও বাদ যাবেনা। অতিমাত্রায় আস্তিক মৌলবাদীরা যেমন ধর্মের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে, তেমনি অতি মাত্রার ধর্মবিদ্বেষী মুক্তমনারাও মুক্তচর্চার জন্যও ক্ষতি বয়ে আনে।

২০০৬ সালে শুরু হওয়া বাঙলাব্লগে এখন ব্লগারের সংখ্যা দুই লাখের কম হবেনা। এদের-কে রুখে দেওয়া এবং আটকানো সরকারের মাথায় অনেক আগেই ছিল। ব্লগনিয়ন্ত্রনের চেষ্টা আজকে নতুন না। ব্লগার আজকে নতুন গ্রেফতার হয়নি। আগে হয়েছে অন্য ইস্যুতে, এবার আস্তিক নাস্তিক ইস্যুতে।

সরকার এবং বিরোধীদল সবার মেইন টার্গেট একটাই- ব্লগ এবং ব্লগার আরও বাড়ার আগেই এদের ঠেকানো। টিভি-পত্রিকা-সাংবাদিক কেনা যায়, খবর সেন্সর করা যায় কিন্তু ব্লগ এবং ব্লগার যায়না। টিভি পত্রিকায় যেসব খবর আসতে পারেনা, সেসব খবর ব্লগে এসে যায়। সরকার এবং বিরোধীদল খুব ভালোভাবেই জানে যারা ব্লগিং করে তারা মোটামোটি দেশ দুনিয়ার খবর রাখে। এরা একশ টাকার একটা নোট আর এক প্যাকেট বিড়ি পেয়ে ভোট দিয়ে দেওয়া ভোটার না।

এটাই মাথাব্যাথার প্রধান কারন। যে রাসেল ভাই শুধু মাত্র দেশকে ভালোবেসে নিজের এবং ছেলেমেয়ের সুন্দর ভবিষ্যত পিছনে ফেলে আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করে দেশে চলে আসল দেশে কিছু করবে বলে। উনাকে আজকে নেয়া হলো সাত দিনের রিমান্ডে। আজকে উনার ছবি যেভাবে পত্রিকায় আসল, মনেহয় পুলিশ যেন কালা শাহিন কিংবা মুরগি মিলনকে ধরেছে। ঋক আর ঋন যখন বড় হয়ে বাবার এই ছবি দেখবে ওদের কেমন লাগবে? ওদের কি মনে হবেনা যে ওদের বাবা আমেরিকা থেকে এসে ভুল করেছিল।

ওদের কি মনে হবেনা যে, এইদেশকে ভালোবেসে কিছু করতে যাওয়াই ভুল ! আজকে সন্ত্রাসীদের মত করে যাদের ছবি পত্রিকায় দেখেছি সেই তিনজনই দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আর উনাদের সামনে রাখা হল কিছু weapon of mass destruction - কম্পিউটার, মডেম আর মনিটর। কারও লেখার জবাব দেয়া হোক লেখা দিয়ে। খুন হত্যা, গ্রেফ্তার বা রিমান্ডে নিয়ে নয়। লেখালেখির জন্য এভাবে কাউকে গ্রেফ্তার করে, শীর্ষ সন্ত্রাসিদের মতন তাদের ছবি যেভাবে তোলা হল সেই নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই।

সরকার এদেরকে গ্রেফ্তার করে "পাগলকে" সাকো নাড়ানো শিখালো। কিন্তু সরকার কি জানেনা যে এই "পাগল" একদিন সাকোটাই ভেঙে ফেলবে ? আশিক আহমেদ ১৯ চৈত্র, ১৪১৯  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।