১৯৭০ সালের এক জনসভায় সাঈদী বঙ্গবন্ধুকে জগ বন্ধু বলেছে। এতে এলাকার লোকজনের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাঈদী রওশন আলীর বাড়িতে আত্মগোপন করে ছিলেন। মামলার ১৫ তম সাক্ষী মোঃ: সোলায়মান হোসেন ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ কথা বলেন।
দুপুর ২ টায় চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ তার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে।
সাক্ষী সোলায়মান বলেন, ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে থেকে তিনি সাঈদীকে চেনেন। ১৯৭০ সালে আমার বাড়ির পাশে মশিউল আলমের নেতৃত্বে জামাতে ইসলামীর একটি সভা হয়। সেখানে সাঈদী বঙ্গবন্ধুকে জগ বন্ধু বলেন। আমি সহ উপস্থিত আরও অনেক ব্যক্তি এ বক্তব্য শুনে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করি। এভাবে আমি সাঈদীকে সেদিন চিনতে পারি।
সাক্ষী সোলায়মান আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে সাঈদী রওশন আলীর বাড়িতে গিয়ে থাকে। নিজেকে আত্মগোপনে রাখতে তিনি রওশন আলীর বাড়িতে থাকেন। আমরা রওশন আলীর বাড়িতে থাকা ব্যক্তিটির পরিচয় জেনে জানতে পারি তিনি স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলো।
এ বক্তব্য’র সমর্থনে তিনি বলেন, ২০০৫-২০০৬ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বাঘার পাড়া পাইলট স্কুলে এক ধর্মসভা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি রওশন আলী নামে এক ব্যক্তির খোঁজ করেন।
তিনি বক্তৃতার এক ফাঁকে বলেন, দুর্দিনে এই গ্রামের রওশন আলী আমাকে আশ্রয়(শেলটার) দিয়েছিলেন। তিনি এখানে আছেন কিনা সকলের মাঝে জানতে চান। রওশন আলী সাঈদীর আহ্বানে সাড়া দেন। তিনি বক্তৃতার মঞ্চে গিয়ে সাঈদী সাথে হাত মেলান এবং তার পাশে বসেন। অনুষ্ঠান শেষে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী রওশন আলীর বাসায় যান।
খবরের সূত্র এইলিংক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।