...................আমার বিচারে স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বোত্তম আশ্চর্য বস্তু হল হযরত মাওলানা আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। তাঁকে কি কারণে এ দুর্লভ সম্মানে ভূষিত করতে হল সেটা একটু ব্যাখ্যা করার দাবি রাখে। গত ফাল্গুনে আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাতৃবধূ কে-টু সিগারেট পান করছেন এবং ক্যাসেটে দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবের মিলাদ শুনছেন। আমার বাবা-মা যদ্দিন বেঁচেছিলেন ওই মহিলাকে জোর করে একবারও নামাযের পাটিতে দাঁড় করাতে পারেননি। আমার ভাইও অনেক চেষ্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছিলেন।
আমি দেখলাম হযরত সাঈদী এই মহিলার অন্তরে ধর্মপিপাসা জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছেন। তারপরেও যদি তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি দিতে আমি রাজি না হই, নিজের উৎকৃষ্ট অংশের প্রতি আমি অবিচার করব। ভাবীর এই রূপান্তর দেখে আমি নিজেও হযরতের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। তার কারণ আছে। অন্য মাওলানার মিলাদ আমি শুনেছি।
তাঁরা ধর্মকথা পুণ্যকথা বলেন। কিন্তু সেগুলো বোরিং লাগে। মাওলানা সাঈদীর ক্যাসেট যখন শুনলাম, বুঝতে পারলাম মিলাদ কাকে বলে। এখনে ধর্ম অর্থ মোক্ষ কাম সব মেলে। হযরত সাঈদী যদি গান করতেন, মাইকেল জ্যাকসনের কাছাকাছি পৌঁছুতেন।
অভিনয় করলে ছবি বিশ্বাসকে ছাড়িয়ে যেতেন। নাচ করলে বুলবুল চৌধুরীর রেকর্ড ম্লান হয়ে যেত। নাচ গান অভিনয় এবং তার ওপর ধর্মকথা এই একের ভেতর চার তিনি সমন্বয় করেছেন। তাঁকে কি করে আমি সামান্য মানুষ বলব। সুতরাং বরণীয় স্মরণীয়দের তালিকায় আমি সাঈদী সাহেবকে একটা জায়গা দিয়ে বসে আছি
(ত্রি বঙ্গাশ্চর্য পরিচয় / আহমদ ছফা)নিকট ও দূরের প্রসঙ্গ, ১৯৯৫।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।