আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতই যুদ্ধাপরাধী দলঃ সাঈদী



যুদ্ধাপরাধের সাথে কারা জড়িত, এই প্রশ্নের উত্তর যারা জড়িত ক্রমাগতভাবে তারাই দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের ইসুটি বর্তমানে আলোচনায় উঠে আসলে জামাত প্রথম থেকেই বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ বলে কিছু নেই এমন ধুয়া তোলতে থাকে। সেই প্রতিষ্ঠিত প্রবাদ “ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাই না”। গত কয়দিন যাবত জামাত নেতা রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদী তার নিজের এলাকায় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন তিনি যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত নয়, এটি প্রমাণের চেষ্টায়। জামাত, মুসলিমলীগ, নেজামে ইসলামসহ আরও কয়েকটি ইসলামি মৌলবাদী দল যে যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত ছিল তা আর নতুন করে বলার দরকার নাই। আর তার প্রমাণ আরও জোড়দার করলেন সাঈদী নিজেই, গত ২৪ এপ্রিল ২০০৯ ঢাকায় জামাত সমর্থিত মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের আলোচনা সভায় বললেন ১৯৭৪ সালের আগে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য এই কথাটি বলে কি প্রমাণ করেননি যে দেশে যুদ্ধাপরাধ আছে এবং সেই দল জামাত? এছাড়া রাজনৈতিক দল ছাড়া যে কেউ যুদ্ধাপরাধী হতে পারবে না এমন কোন নীতি কি প্রতিষ্ঠা পেয়ে আছে? আসলে জামাতই যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত এটি জামাত নানান কায়াদায় নিজেদের বাঁচানোর অপচেষ্টা করছে বৈকি। প্রসঙ্গত, শামছুল আরেফিনের লেখা মুক্তিযুদ্ধে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ের ৪৩১ পৃষ্ঠায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর দেশবিরোধী ভূমিকা উল্লেখ আছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।