তখন আমি ছিলাম ক্লাস থ্রি কিংবা ফোর এ পড়ুয়া একটা বাচ্চা ছেলে। মনে আছে বাবা থখন খাগড়াছড়ি সেনাবাহীনির সদস্য হিসেবে শান্তি মিশনে কাজ করতেন। বাবার ইচ্ছা থেকেই আমি মাদ্রাসায় ভর্তি হই। আমি কাওমি মাদ্রাসার ছাত্র তখন। আমি আর আম্মু ছিলাম নানার বাড়িতে।
ঐ বাড়িতে থেকেই আমি মাদ্রাসায় পড়তাম। আমরা উর্দূ, আরবি, বাংলা, আর ইংরেজী পড়তাম। সন্ধা প্রদীপ জ্বেলে ঢুলু ঢুলু হয়ে টেনে টেনে সুর করে পড়তাম। ওয়াজ মাহফিলে হুজুরেরা যেমন টেনে টেনেওয়াজ করেন অনেকটা সেরকম। নিজেকে কেমন মৌলানা মৌলানা মনে হতো।
আমার ছোট্র খাট্র নাদুস নুদস দুইটা মাত্র ভাই। নাদুস নুদুস হলে কী হবে,ভীষন ডানপিঠে। আম্মু তো সারাদিন আমাদের পিছনে খেটে মরতেন! সব মিলিয়ে আমাদের ব্যাস্ত সংসার।
আমাদের একটাও মোবাইল ফোন ছিলনা। হুজুরদের বাড়িতে বাবা মাঝে মাঝে ফোন করতেন।
তবু আমাদের প্রতি মিনিটের জন্য দু টাকা করে দিতে হতো। কখনো যদি আমরা ফোন দিতাম, তাহলে পাঁচ টাকা করে দিতে হতো।
সংসারে বড় ছেলে হওয়ায় রিতিমত বিপদের মধ্যেই ছিলাম বলা যায়। আমাকে প্রায়ই মাইল দুইয়েক হেটে মাথা বোঝাই করে বাজার করে আনতে হতো! আর গ্রামের দুই মাইল মানে বিশাল ব্যাপার! বিকেলে রওয়ানা দিলে পৌছতাম সন্ধা নাগাদ। তার পর বাজার করতাম, ফিরতেই রাত নটা পার! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।