কোন এক সময় আকাশ ছোয়া স্বপ্ন ছিলো, শরতের মেঘ হয়ে ভেসে বেরাতাম পুরোটা আকাশ, পৃথিবীর প্রথম রোদ্দুর ছিল আমার পরম বন্ধু , প্রজাপতির ডানায় খেলা করত জীবনের রঙ, বাকা চোখের চাহনিতে দুলে উঠত মন। হৃদয়ের আবেগ ছিল বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত। একটা নীল অপরাজিতার জন্য বাজি রাখতে পারতাম পুরোটা জীবন,গ্রীষ্মের কোন এক অলস দুপুরে ফুটপাতের দোকানে চা খেতে খেতে মনে হত কি সুন্দর এই বেচে থাকা, আহ কতনা মধুর স্বরে ছোট চড়াইটা ডাকছে, প্রতিদিন বিকেলে বাড়ি থেকে ঢালু রাস্তা বেয়ে নামলে চোখে পড়ত লাল সূর্য, আমার মুখ, গলা, চিবুক বেয়ে রোদেরা ছড়িয়ে পরত সারা শরীর জুড়ে। রাতে নদীর জলে ডুবে থাকা চাদ দেখতাম, দূরে জ়েলে নৌকার জালে ধরা পড়ত অবারিত জোছনা, আমি আজলা ভরে তুলতাম – কি অদ্ভুত সুন্দর, দু হাতের ফাকে জ্বলজ্বল করত পুর্নিমার চাদ। মুখ এগিয়ে দিতাম খুব ধীরে ধীরে চাদের গায়ে- ঠোট ছুইয়ে প্রন ভরে জোছনা খেতাম।
অনেক রাতে যখন বাড়ি ফিরতাম, জামার বোতাম গুলো খুলে দিতাম, মনে হত রাস্তার পাশে আমাদের মাঠ থেকে বাতাস এসে প্রিয় মানুষের মত আমায় জড়িয়ে ধরত আমায়। মনে হত আমার শরীর ভেদ করে ওদের মমতা ঢুকে যাচ্ছে আমার শরীরের ভিতরে। খুব দ্রবীভুত হয়ে যেত মনটা,খুব কান্ন পেত তখন, এত ভালোবাসা তো সহ্য করতে পারব না, তাই ভেবে কষ্ট পেতাম। এখনো সেই হব কিছুই আছে, চাদ ওঠে, ফুল ফোটে, প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় দখিনা হাওয়ায় কিন্ত আমি হতভাগা মনুষ আর মাতাল হতে পারিনা। আমি আর মাতাল হতে পারিনা- না কবিতায় , না গানে, না প্রেমে .........।
আঙ্গুলের ফাক গলে জোছনা পড়ে যায় এখন, আমি শুধু শুষ্ক চোখে চেয়ে থাকি পরম বুভুক্ষের মত....পথের পানে, কবে দেবী আসবে শোনাবে জীবনের গান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।