আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় বাঁশ বনাম স্বজাতীয় বাঁশ

"অ্যাবসার্ড" বর্তমানে সিমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন নিয়া কঠিন আলোচনা সমালোচনা চলসে। সকলে ভারতীও পণ্য বর্জনের ডাক দিতেসে। স্বদেশী আন্দোলনের এক প্রেক্ষাপট তৈরি হইয়া গেসে বলা যায়। এক বন্ধু ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহবান জানাইলে, আমি তারে জিগাইলাম," ভারতিয় পণ্য বর্জন করলেই কি সমাধান হইব?" সে চেইত্তা মেইত্তা আমারে ভারতের দালাল জাতীয় গালাগাল করল। আমাদের তুলনায় অনেক শক্তিধর রাষ্ট্র ভারত।

চামে বন্ধু কইয়া বাঁশ হান্দাইতাসে। আমাদের দেশের কর্তা ব্যাক্তিরা জনগনের পাছা দিয়া বাঁশ ঢুকাইতে ঢুকাইতে কাহিল হয়ে গেসে। এখন নিজের পাছা এবং তৎসংলগ্ন গদি রক্ষার্থে তেনারা ভারতীয় বন্ধুদের কে জনগনের পাছা দিয়া বাঁশ ঢুকানোর আমন্ত্রন জানাইসেন। তাইতো,নিজের দেশের কৃষ্টি কালচার ভুইলা বিশকাপে ভারতীয় নাচা গানা হয়। ভারতীও ছিনেমা আমাদের হলে দেখানো হয়।

দেশের সকল স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়া ভারতকে ট্রানজিট দেয়া হয়। তো কাহিনী খারাইসে এই যে, আমাদের পাছা দিয়া এখন নিয়মিত, টিপাই মুখের বাঁশ, সিমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, নির্যাতনের বাঁশ, ট্রানজিট এবং ট্রানজিটের নামে দেশের সকল নদী হত্যার বাঁশ ইত্যাদি ঢুকানো হইতেসে। তো এইগুলান হইল আমগো বন্ধু রাষ্ট্র ভারতীয় বাঁশ। এই বাশের ইতিহাস কিন্তুক আজগের না। এই ইতিহাস বাংলাদেশের জন্মলগ্নের থেকে রচিত।

মুক্তিযুদ্ধের সাহায্য সহযোগিতা করসে বিধায় অনেক অন্যায় সুবিধা নিসে তারা। পরে যখন ২৫ বছরের চুক্তি হয় তখনও। তিন বিঘা করিডোর নিয়া ছিনিমিনি খেলসে। শত শত টন পদ্মার ইলিশ খাইসে মাগার তিস্তা চুক্তি করে নাই মমতা বেগম। কিন্তু এদেশীয় পা চাটা কুকুরের দল লেজ নেরে গেসে।

জনগনের পাছা মারার প্রতিযোগিতায় ভারতীয় দের সাফল্যে হাত তালি দিসে। তো যেহেতু এদেশের জনগন উভয় ক্ষেত্রে মারা খাইতাসে সুতরাং মারা খাওয়া থিকা বাঁচতে হইলে নিজেদের ই কিছু করতে অইব। এখন কি করন যায়?? সবাই মিল্লা ঠিক করল ভারতীয় পণ্য বর্জন করবো। উত্তম, অতি উত্তম প্রস্তাব। ।

সকলে মিল্লা লিস্টি বানাইল, কি কি পণ্য বর্জন করতে হইব। চকলেট, ক্যান্ডি বাদ। যা শালা দিলাম বাদ। (যদিওবা কোন কোম্পানি কোয়ালিটির ধার ধারে না,অবশ্য আমি এটাও জানি না ভারতীও কোম্পানি কোয়ালিটির ধার ধারে কিনা) চিপস, পেপসি বাদ। হিরো হোন্ডা এবং এজাতীয় পণ্য বাদ।

ওকে বাদ(যদিওবা অয়ালটন কিন্না আমাদের প্রতিদিন মেরামত খরচ দেয়া লাগে, তেল খরচ বেশী লাগে) যাবতীয় মনিহারি দ্রব্য সামগ্রী বাদ। যা দিলাম বাদ। যাবতীয় টি ভি চ্যানেল বাদ। ওকে তো এই যে বাদ দিলাম তার বিকল্প কি আসে??থাক বা না থাক গুনগত মাণ এবং দাম বিচার না কইরাই ঠিক করলাম দেশি পণ্য ব্যাবহার করুম। এখন প্রশ্ন, ভারতের থেকে আসা চাল, পেয়াজ, ডাল, তেল ইত্যাদির কি উপায়?? যা শালা খামু না ভারতীও পণ্য।

এই বারে আসলো স্বজাতির বাঁশ। ভারতীও পণ্য বাজারে থাকার পরেও যেই পরিমান দাম সব কিছুর, সেখানে যদি ভারতীও পণ্য না থাকে তাইলে কি হইব আশা করি ধরতে পারসেন। রক্ত পাণি করা টাকা দিয়া আপনে যখন আউল ফাউল জিনিস কিনবেন তখনই একটা স্বদেশী বাঁশ ঢুইকা গেল। যখন সিন্ডিকেট এর কারনে ১০ টাকার সবজি ৯০ টাকায় কিনলেন অথবা এক কেজি চাল ৭০ টাকায় কিনলেন তখনো। কোথাও যাওয়ার সময় যখন বাসে উঠতে না পাইরা(বাসে উঠতে না পারারই কথা, কারন কেউ তো ভারতীয় সি এন জি চড়ে না, শুধু বাস চড়ে) বেবি ট্যাক্সি ওয়ালা কে ১০ গুণ বেশী ভাড়া দিলেন তখনও কিন্তু আন ক্লিন বাঁশ ই ঢুকল।

স্বজাতির দেয়া বাঁশের একটা সত্য ঘটনা কই,ঘটনাটা আজকে শুনলাম, যদিও ভারতের সম্পর্ক নাই এর সাথে-এইটা পিওর স্বদেশী বাঁশ এক ছেলে। মুদি দোকানদার। একদিন এক লোক তার কাসে একটা চুরি করা মোবাইল বেচতে আসে। ছেলেটা মোবাইল কিনে না। পরের দিন পুলিশ ওই চোরসহ তার দোকানে আসে।

বলে যে মোবাইল ফেরত দিতে। সে বলে আমিতো মোবাইল কিনি নাই। পুলিশ তখন ওই এতিম পোলারে সহ মামলা দিল। পোলার মা আসলো দৌড়াইয়া। দারোগা সাহেবের হাঁতে পায়ে ধরল।

তখন এক সাংবাদিক এবং কিছু এলাকার পোলাপাইন ওই মহিলারে কইল, ৫০০০ টাকা দেন আমরা দেক্তাসি কি করন যায়। মহিলা গয়নাগাটি বেইচা টাকা দিল। সেই টাকা নিয়া সাংবাদিক এবং এলাকার পোলাপাইন উধাও। আর সেই গরিবের ছেলে দোকান বন্ধ কইরা পালাইল। পুলিশ টাকা চাইসে কিনা বুইজা নেন।

তো সব বাঁশ কি এদেশের আম পাবলিকের খাইতে হইব???কেনরে ??? তোরাও কিছু খা। ধ্বজভঙ্গ স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র নীতি লইয়া পইরা থাকলে তো হইব না। যেই বাশগুলান আম পাবলিকের পাছা দিয়া ঢুকাস, ওই গুলা তোদের ভারতীও দাদাদের পাছা দিয়া ঢুকা। এই করতে গিয়া তোদের পাছা দিয়া যদি বাঁশ ঢুকে তো ঢুকুক না, পাছার নিচে গদি যদি নইরা যায় তো যাক না। তোদের ব্যর্থতার দায় আমরা কেন মাথায় নিয়া উভয় পক্ষের মারা খামু??? আর যদি তা না পারিস তবে ভারতীও পণ্য বর্জন ই সই।

মারা খাইলে খামু। । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.